alt

সম্পাদকীয়

বদরখালীতে প্যারাবন নিধন: প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের বদরখালীতে ধ্বংস করা হচ্ছে প্যারাবন। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল প্যারাবন নিধন করে মৎস্য ঘের তৈরি করছে। এই ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর মামলাও দায়ের করেছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। জানা গেছে, লবণচাষি, কৃষক, নৈশপ্রহরী, এমনকি দোকানের কর্মচারীদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীরা আইনের বাইরে থেকে যাচ্ছে, আরও নিরীহ মানুষকে মামলার ফাঁদে ফেলে হয়রানি করা হচ্ছে।

পরিবেশ ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের পিছনে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার অভিযোগ নতুন নয়। বন ধ্বংসের পেছনে প্রশাসনের উদাসীনতাও রয়েছে। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের তদন্তে নিরীহ ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত হল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। এই মামলা করার উদ্দেশ্য কি প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া নাকি নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা? প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী বার্তা দিতে চাচ্ছে সেটা আমরা জানতেচাইব।

উপককূলীয় অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্যারাবনের ভূমিকা অপরিহার্য। এসব বনাঞ্চল প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে এবং মৎস্যসম্পদ রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অপরাধীরা প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘেরের মত মুনাফামুখী প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে, যা কক্সবাজারের পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন ধ্বংস করার কারণে স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রায়ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

কক্সবাজারের প্যারাবন রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য যেন বিপন্ন না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশিষ্ট বিভাগের আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করি, সংশিষ্ট প্রশাসন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবে। নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বদরখালীর প্যারাবন এবং এর অধিবাসীদের জীবনযাত্রা সুরক্ষিত রাখতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

বদরখালীতে প্যারাবন নিধন: প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের বদরখালীতে ধ্বংস করা হচ্ছে প্যারাবন। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল প্যারাবন নিধন করে মৎস্য ঘের তৈরি করছে। এই ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর মামলাও দায়ের করেছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। জানা গেছে, লবণচাষি, কৃষক, নৈশপ্রহরী, এমনকি দোকানের কর্মচারীদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীরা আইনের বাইরে থেকে যাচ্ছে, আরও নিরীহ মানুষকে মামলার ফাঁদে ফেলে হয়রানি করা হচ্ছে।

পরিবেশ ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের পিছনে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার অভিযোগ নতুন নয়। বন ধ্বংসের পেছনে প্রশাসনের উদাসীনতাও রয়েছে। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের তদন্তে নিরীহ ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত হল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। এই মামলা করার উদ্দেশ্য কি প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া নাকি নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা? প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী বার্তা দিতে চাচ্ছে সেটা আমরা জানতেচাইব।

উপককূলীয় অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্যারাবনের ভূমিকা অপরিহার্য। এসব বনাঞ্চল প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে এবং মৎস্যসম্পদ রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অপরাধীরা প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘেরের মত মুনাফামুখী প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে, যা কক্সবাজারের পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন ধ্বংস করার কারণে স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রায়ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

কক্সবাজারের প্যারাবন রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য যেন বিপন্ন না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশিষ্ট বিভাগের আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করি, সংশিষ্ট প্রশাসন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবে। নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বদরখালীর প্যারাবন এবং এর অধিবাসীদের জীবনযাত্রা সুরক্ষিত রাখতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top