কক্সবাজারের বদরখালীতে ধ্বংস করা হচ্ছে প্যারাবন। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল প্যারাবন নিধন করে মৎস্য ঘের তৈরি করছে। এই ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর মামলাও দায়ের করেছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। জানা গেছে, লবণচাষি, কৃষক, নৈশপ্রহরী, এমনকি দোকানের কর্মচারীদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীরা আইনের বাইরে থেকে যাচ্ছে, আরও নিরীহ মানুষকে মামলার ফাঁদে ফেলে হয়রানি করা হচ্ছে।
পরিবেশ ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের পিছনে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার অভিযোগ নতুন নয়। বন ধ্বংসের পেছনে প্রশাসনের উদাসীনতাও রয়েছে। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের তদন্তে নিরীহ ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত হল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। এই মামলা করার উদ্দেশ্য কি প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া নাকি নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা? প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী বার্তা দিতে চাচ্ছে সেটা আমরা জানতেচাইব।
উপককূলীয় অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্যারাবনের ভূমিকা অপরিহার্য। এসব বনাঞ্চল প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে এবং মৎস্যসম্পদ রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অপরাধীরা প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘেরের মত মুনাফামুখী প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে, যা কক্সবাজারের পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন ধ্বংস করার কারণে স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রায়ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
কক্সবাজারের প্যারাবন রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য যেন বিপন্ন না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশিষ্ট বিভাগের আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করি, সংশিষ্ট প্রশাসন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবে। নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বদরখালীর প্যারাবন এবং এর অধিবাসীদের জীবনযাত্রা সুরক্ষিত রাখতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪
কক্সবাজারের বদরখালীতে ধ্বংস করা হচ্ছে প্যারাবন। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল প্যারাবন নিধন করে মৎস্য ঘের তৈরি করছে। এই ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর মামলাও দায়ের করেছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। জানা গেছে, লবণচাষি, কৃষক, নৈশপ্রহরী, এমনকি দোকানের কর্মচারীদেরও মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীরা আইনের বাইরে থেকে যাচ্ছে, আরও নিরীহ মানুষকে মামলার ফাঁদে ফেলে হয়রানি করা হচ্ছে।
পরিবেশ ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের পিছনে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জড়িত থাকার অভিযোগ নতুন নয়। বন ধ্বংসের পেছনে প্রশাসনের উদাসীনতাও রয়েছে। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের তদন্তে নিরীহ ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত হল কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন। এই মামলা করার উদ্দেশ্য কি প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া নাকি নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা? প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী বার্তা দিতে চাচ্ছে সেটা আমরা জানতেচাইব।
উপককূলীয় অঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্যারাবনের ভূমিকা অপরিহার্য। এসব বনাঞ্চল প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে এবং মৎস্যসম্পদ রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অপরাধীরা প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘেরের মত মুনাফামুখী প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে, যা কক্সবাজারের পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন ধ্বংস করার কারণে স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রায়ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
কক্সবাজারের প্যারাবন রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য যেন বিপন্ন না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশিষ্ট বিভাগের আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করি, সংশিষ্ট প্রশাসন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনবে। নিরীহ ব্যক্তিদের হয়রানি অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বদরখালীর প্যারাবন এবং এর অধিবাসীদের জীবনযাত্রা সুরক্ষিত রাখতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।