alt

সম্পাদকীয়

বেআইনিভাবে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করুন

: বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

দেশের ফসলি জমি, নদ-নদী রক্ষায় সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন পরিবেশবিদরা। বাস্তবে ঘটে এর উল্টোটা। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের দুই গ্রাম খাগালিয়া ও বালিখোলার মধ্যবর্তী স্থানের ধলেশ্বরী নদীর দুই পাড় এবং কৃষি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। আর সে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ঢাকার কয়েকটি ইটভাটায়। মাটি কাটতে যেন সুবিধা হয় সেজন্য নদীর কিছু অংশ ভরাটও করা হচ্ছে। অপরিকল্পিত ভাবে মাটি কেটে নেয়ার কারণে নদীর পারের মানুষ ভাঙনের আশঙ্কা করছে।

অভিযোগ উঠেছে, অবৈধভাবে নদীর পাড়ের মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত আছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত একজন বলেন, ‘নাসিরনগর ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেই মাটি কাটা হচ্ছে। মাটি বিক্রি না করলে এত মাটি কী করুম বলেন।’

নদীর মাটি লুটের ঘটনা দেশে প্রায়ই ঘটে। সাধারণত স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই নদীর পাড়ের মাটি কেটে নেয়ার সঙ্গে জড়িত থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, জমির ছয় ইঞ্চি পরিমাণ মাটি যেকোনো ধরনের ফসল উৎপাদনের জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু ইটভাটায় জমির এক ফুটের বেশি গভীর করে মাটি কেটে নেয়া হয়। এর ফলে জমি উর্বরতা হারিয়ে ফেলে। এভাবে নদীর পাড় ও কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে নেয়ায় মাটির উর্বরতা কমবে, ফসল উৎপাদনে উপযোগিতা অনেকাংশেই হ্রাস পাবে। পাশাপাশি আবাদ অযোগ্য হয়ে পড়বে কৃষি জমি এবং নাব্য হারাবে নদী। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, উপরিস্তরের মাটি তুলে ফেলার পর জমির উৎপাদন সক্ষমতা ৩৭ থেকে ৭৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। আমরা প্রতিবছর ১ শতাংশ জমি হারাচ্ছি। এর ১৭ শতাংশ জমি ইটভাটার জন্য হারাচ্ছি।

নদীর পাড়ের মাটি বা সরকারি খাসজমির মাটি কাটার কিছু নিয়ম রয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন মেনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে মাটি কাটা যায়। কিন্তু আইন মেনে কাউকে মাটি কাটতে দেখা যায় না। অন্যদিকে, ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে শ্রেণী পরিবর্তন করাও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে

আমরা বলতে চাই, অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। নদীর মাটি কাটতে হলে সেটা আইনের মধ্যে থেকেই করতে হবে। যারা অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটছে এবং এ কাজে তাদেরকে যারা সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

বেআইনিভাবে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করুন

বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

দেশের ফসলি জমি, নদ-নদী রক্ষায় সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন পরিবেশবিদরা। বাস্তবে ঘটে এর উল্টোটা। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের দুই গ্রাম খাগালিয়া ও বালিখোলার মধ্যবর্তী স্থানের ধলেশ্বরী নদীর দুই পাড় এবং কৃষি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। আর সে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ঢাকার কয়েকটি ইটভাটায়। মাটি কাটতে যেন সুবিধা হয় সেজন্য নদীর কিছু অংশ ভরাটও করা হচ্ছে। অপরিকল্পিত ভাবে মাটি কেটে নেয়ার কারণে নদীর পারের মানুষ ভাঙনের আশঙ্কা করছে।

অভিযোগ উঠেছে, অবৈধভাবে নদীর পাড়ের মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত আছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত একজন বলেন, ‘নাসিরনগর ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেই মাটি কাটা হচ্ছে। মাটি বিক্রি না করলে এত মাটি কী করুম বলেন।’

নদীর মাটি লুটের ঘটনা দেশে প্রায়ই ঘটে। সাধারণত স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই নদীর পাড়ের মাটি কেটে নেয়ার সঙ্গে জড়িত থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, জমির ছয় ইঞ্চি পরিমাণ মাটি যেকোনো ধরনের ফসল উৎপাদনের জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু ইটভাটায় জমির এক ফুটের বেশি গভীর করে মাটি কেটে নেয়া হয়। এর ফলে জমি উর্বরতা হারিয়ে ফেলে। এভাবে নদীর পাড় ও কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে নেয়ায় মাটির উর্বরতা কমবে, ফসল উৎপাদনে উপযোগিতা অনেকাংশেই হ্রাস পাবে। পাশাপাশি আবাদ অযোগ্য হয়ে পড়বে কৃষি জমি এবং নাব্য হারাবে নদী। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, উপরিস্তরের মাটি তুলে ফেলার পর জমির উৎপাদন সক্ষমতা ৩৭ থেকে ৭৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। আমরা প্রতিবছর ১ শতাংশ জমি হারাচ্ছি। এর ১৭ শতাংশ জমি ইটভাটার জন্য হারাচ্ছি।

নদীর পাড়ের মাটি বা সরকারি খাসজমির মাটি কাটার কিছু নিয়ম রয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন মেনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে মাটি কাটা যায়। কিন্তু আইন মেনে কাউকে মাটি কাটতে দেখা যায় না। অন্যদিকে, ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কেটে শ্রেণী পরিবর্তন করাও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে

আমরা বলতে চাই, অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। নদীর মাটি কাটতে হলে সেটা আইনের মধ্যে থেকেই করতে হবে। যারা অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটছে এবং এ কাজে তাদেরকে যারা সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

back to top