রেলপথ একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাহন। কিন্তু ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের চার রেলপথের ১৪টি স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ায় এ অঞ্চলের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে রেল যোগাযোগের সুবিধা থেকে। জনবল সংকট, অব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব স্টেশন কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগ যেমন বাড়ছে, তেমনি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার এবং ধ্বংস হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রেলওয়ে সম্পদ।
গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশনগুলো জনবল সংকটের শিকার। স্টেশনমাস্টার, টিকেট বিক্রেতা, সিগন্যাল অপারেটরসহ প্রয়োজনীয় কর্মচারীর অভাবে স্টেশনগুলো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। স্টেশনগুলোর অচলাবস্থার কারণে স্থানীয় জনগণ ন্যূনতম রেলসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষিপণ্য পরিবহন, যাত্রী যাতায়াত এবং স্থানীয় বাজারের কার্যক্রমে রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু স্টেশন বন্ধ থাকায় এসব সুবিধা ব্যাহত হচ্ছে।
রেলপথের এই বিপর্যয় মূলত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব এবং অব্যবস্থাপনার একটি উদাহরণ। করোনাকালে কিছু ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার পর সেগুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এছাড়া, স্টেশনগুলোর জনবল কাঠামো ও পরিচালন ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কোনো উন্নয়ন হয়নি।
গৌরীপুর রেলওয়ে জংশন ও এর অন্তর্গত স্টেশনগুলোর পুনরুজ্জীবনের জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
স্টেশনমাস্টার, টিকেট বিক্রেতা এবং রক্ষণাবেক্ষণ কর্মচারী নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। স্টেশনগুলোর ধ্বংসপ্রায় ভবন ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা মেরামত করা জরুরি। স্থানীয় জনগণের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের চাহিদা বিবেচনায় ট্রেন চলাচলের একটি কার্যকর সময়সূচি প্রণয়ন করতে হবে। চুরি ও লুটপাট বন্ধে প্রতিটি স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা উচিত। বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেনগুলো পুনরায় চালু করতে হবে।
জনবল সংকট ও অব্যবস্থাপনার মতো সমস্যাগুলো সমাধান করে রেলওয়ে স্টেশনগুলোকে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা গেলে গৌরীপুর এবং এর আশপাশের জনপদে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের যথাযথ পদক্ষেপই হতে পারে এই অঞ্চলের জনগণের স্বস্তি ফেরানোর মূল চাবিকাঠি।
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
রেলপথ একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাহন। কিন্তু ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের চার রেলপথের ১৪টি স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ায় এ অঞ্চলের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে রেল যোগাযোগের সুবিধা থেকে। জনবল সংকট, অব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব স্টেশন কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগ যেমন বাড়ছে, তেমনি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার এবং ধ্বংস হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রেলওয়ে সম্পদ।
গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশনগুলো জনবল সংকটের শিকার। স্টেশনমাস্টার, টিকেট বিক্রেতা, সিগন্যাল অপারেটরসহ প্রয়োজনীয় কর্মচারীর অভাবে স্টেশনগুলো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। স্টেশনগুলোর অচলাবস্থার কারণে স্থানীয় জনগণ ন্যূনতম রেলসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষিপণ্য পরিবহন, যাত্রী যাতায়াত এবং স্থানীয় বাজারের কার্যক্রমে রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু স্টেশন বন্ধ থাকায় এসব সুবিধা ব্যাহত হচ্ছে।
রেলপথের এই বিপর্যয় মূলত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব এবং অব্যবস্থাপনার একটি উদাহরণ। করোনাকালে কিছু ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার পর সেগুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এছাড়া, স্টেশনগুলোর জনবল কাঠামো ও পরিচালন ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কোনো উন্নয়ন হয়নি।
গৌরীপুর রেলওয়ে জংশন ও এর অন্তর্গত স্টেশনগুলোর পুনরুজ্জীবনের জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
স্টেশনমাস্টার, টিকেট বিক্রেতা এবং রক্ষণাবেক্ষণ কর্মচারী নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। স্টেশনগুলোর ধ্বংসপ্রায় ভবন ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা মেরামত করা জরুরি। স্থানীয় জনগণের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের চাহিদা বিবেচনায় ট্রেন চলাচলের একটি কার্যকর সময়সূচি প্রণয়ন করতে হবে। চুরি ও লুটপাট বন্ধে প্রতিটি স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা উচিত। বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেনগুলো পুনরায় চালু করতে হবে।
জনবল সংকট ও অব্যবস্থাপনার মতো সমস্যাগুলো সমাধান করে রেলওয়ে স্টেশনগুলোকে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা গেলে গৌরীপুর এবং এর আশপাশের জনপদে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের যথাযথ পদক্ষেপই হতে পারে এই অঞ্চলের জনগণের স্বস্তি ফেরানোর মূল চাবিকাঠি।