alt

সম্পাদকীয়

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

রেলপথ একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাহন। কিন্তু ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের চার রেলপথের ১৪টি স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ায় এ অঞ্চলের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে রেল যোগাযোগের সুবিধা থেকে। জনবল সংকট, অব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব স্টেশন কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগ যেমন বাড়ছে, তেমনি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার এবং ধ্বংস হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রেলওয়ে সম্পদ।

গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশনগুলো জনবল সংকটের শিকার। স্টেশনমাস্টার, টিকেট বিক্রেতা, সিগন্যাল অপারেটরসহ প্রয়োজনীয় কর্মচারীর অভাবে স্টেশনগুলো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। স্টেশনগুলোর অচলাবস্থার কারণে স্থানীয় জনগণ ন্যূনতম রেলসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষিপণ্য পরিবহন, যাত্রী যাতায়াত এবং স্থানীয় বাজারের কার্যক্রমে রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু স্টেশন বন্ধ থাকায় এসব সুবিধা ব্যাহত হচ্ছে।

রেলপথের এই বিপর্যয় মূলত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব এবং অব্যবস্থাপনার একটি উদাহরণ। করোনাকালে কিছু ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার পর সেগুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এছাড়া, স্টেশনগুলোর জনবল কাঠামো ও পরিচালন ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কোনো উন্নয়ন হয়নি।

গৌরীপুর রেলওয়ে জংশন ও এর অন্তর্গত স্টেশনগুলোর পুনরুজ্জীবনের জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

স্টেশনমাস্টার, টিকেট বিক্রেতা এবং রক্ষণাবেক্ষণ কর্মচারী নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। স্টেশনগুলোর ধ্বংসপ্রায় ভবন ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা মেরামত করা জরুরি। স্থানীয় জনগণের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের চাহিদা বিবেচনায় ট্রেন চলাচলের একটি কার্যকর সময়সূচি প্রণয়ন করতে হবে। চুরি ও লুটপাট বন্ধে প্রতিটি স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা উচিত। বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেনগুলো পুনরায় চালু করতে হবে।

জনবল সংকট ও অব্যবস্থাপনার মতো সমস্যাগুলো সমাধান করে রেলওয়ে স্টেশনগুলোকে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা গেলে গৌরীপুর এবং এর আশপাশের জনপদে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের যথাযথ পদক্ষেপই হতে পারে এই অঞ্চলের জনগণের স্বস্তি ফেরানোর মূল চাবিকাঠি।

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

tab

সম্পাদকীয়

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

রেলপথ একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাহন। কিন্তু ময়মনসিংহের গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের চার রেলপথের ১৪টি স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ায় এ অঞ্চলের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে রেল যোগাযোগের সুবিধা থেকে। জনবল সংকট, অব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব স্টেশন কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগ যেমন বাড়ছে, তেমনি রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার এবং ধ্বংস হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রেলওয়ে সম্পদ।

গৌরীপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশনগুলো জনবল সংকটের শিকার। স্টেশনমাস্টার, টিকেট বিক্রেতা, সিগন্যাল অপারেটরসহ প্রয়োজনীয় কর্মচারীর অভাবে স্টেশনগুলো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। স্টেশনগুলোর অচলাবস্থার কারণে স্থানীয় জনগণ ন্যূনতম রেলসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষিপণ্য পরিবহন, যাত্রী যাতায়াত এবং স্থানীয় বাজারের কার্যক্রমে রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু স্টেশন বন্ধ থাকায় এসব সুবিধা ব্যাহত হচ্ছে।

রেলপথের এই বিপর্যয় মূলত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব এবং অব্যবস্থাপনার একটি উদাহরণ। করোনাকালে কিছু ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার পর সেগুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এছাড়া, স্টেশনগুলোর জনবল কাঠামো ও পরিচালন ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে কোনো উন্নয়ন হয়নি।

গৌরীপুর রেলওয়ে জংশন ও এর অন্তর্গত স্টেশনগুলোর পুনরুজ্জীবনের জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।

স্টেশনমাস্টার, টিকেট বিক্রেতা এবং রক্ষণাবেক্ষণ কর্মচারী নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। স্টেশনগুলোর ধ্বংসপ্রায় ভবন ও সিগন্যালিং ব্যবস্থা মেরামত করা জরুরি। স্থানীয় জনগণের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনের চাহিদা বিবেচনায় ট্রেন চলাচলের একটি কার্যকর সময়সূচি প্রণয়ন করতে হবে। চুরি ও লুটপাট বন্ধে প্রতিটি স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা উচিত। বন্ধ থাকা লোকাল ট্রেনগুলো পুনরায় চালু করতে হবে।

জনবল সংকট ও অব্যবস্থাপনার মতো সমস্যাগুলো সমাধান করে রেলওয়ে স্টেশনগুলোকে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা গেলে গৌরীপুর এবং এর আশপাশের জনপদে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের যথাযথ পদক্ষেপই হতে পারে এই অঞ্চলের জনগণের স্বস্তি ফেরানোর মূল চাবিকাঠি।

back to top