alt

সম্পাদকীয়

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

: রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির সমস্যা একটি উদ্বেগজনক বিষয়। দেশে অনেক ওষুধের দোকান রয়েছে যেগুলোর কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। গতকাল সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে অনেক ফার্মেসি।

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অদক্ষতা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই দোকানগুলোতে কোনো প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট নেই। এর ফলে ভুল ওষুধ দেয়া, ডোজের ভুল নির্দেশনা প্রদান, এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বা নকল ওষুধ বিক্রির ঘটনা ঘটছে।

এ ধরনের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে রোগীরা কখনো কখনো স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছেন। অনেক ক্ষেত্রে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। এর পাশাপাশি, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার একটি ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশিক্ষিত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী রোগ সৃষ্টি করতে পারে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য এক বড় হুমকি।

দেশের ফার্মেসি খাতে যে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে, তার অন্যতম কারণ হলো আইন প্রয়োগে দুর্বলতা। জাতীয় ওষুধ নীতি অনুযায়ী, প্রতিটি ফার্মেসি চালানোর জন্য একটি বৈধ লাইসেন্স থাকা আবশ্যক। কিন্তু বাস্তবে, অনেক দোকান লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাব ও নিয়মিত পরিদর্শনের অভাবে লাইসেন্সবিহীন দোকান সহজেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং অনৈতিক লেনদেন লাইসেন্সহীন ফার্মেসিকে টিকে থাকার সুযোগ দিচ্ছে। আবার গ্রামীণ এবং শহরতলির এলাকায় অনেক ব্যবসায়ী লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানেন না বা তা গুরুত্ব দেন না।

ফার্মেসিগুলো যেন লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

নিয়মিত তদারকি জোরদার করা জরুরি। লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। ফার্মাসিস্টদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে আরও উদ্যোগ নেয়া উচিত। প্রত্যেক ফার্মেসিতে একজন নিবন্ধিত ফার্মাসিস্ট থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে গণমাধ্যম এবং কমিউনিটি পর্যায়ে প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। মানুষকে জানাতে হবে যে, লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনা তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে।

জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে সরকার, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, এবং সাধারণ জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি বন্ধ করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব। এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

tab

সম্পাদকীয়

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

দেশের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির সমস্যা একটি উদ্বেগজনক বিষয়। দেশে অনেক ওষুধের দোকান রয়েছে যেগুলোর কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। গতকাল সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে অনেক ফার্মেসি।

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অদক্ষতা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই দোকানগুলোতে কোনো প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট নেই। এর ফলে ভুল ওষুধ দেয়া, ডোজের ভুল নির্দেশনা প্রদান, এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বা নকল ওষুধ বিক্রির ঘটনা ঘটছে।

এ ধরনের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে রোগীরা কখনো কখনো স্বাস্থ্যগত জটিলতায় ভুগছেন। অনেক ক্ষেত্রে রোগ নিরাময়ের পরিবর্তে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। এর পাশাপাশি, অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার একটি ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশিক্ষিত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে অ্যান্টিবায়োটিকের ভুল ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী রোগ সৃষ্টি করতে পারে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য এক বড় হুমকি।

দেশের ফার্মেসি খাতে যে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে, তার অন্যতম কারণ হলো আইন প্রয়োগে দুর্বলতা। জাতীয় ওষুধ নীতি অনুযায়ী, প্রতিটি ফার্মেসি চালানোর জন্য একটি বৈধ লাইসেন্স থাকা আবশ্যক। কিন্তু বাস্তবে, অনেক দোকান লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাব ও নিয়মিত পরিদর্শনের অভাবে লাইসেন্সবিহীন দোকান সহজেই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে দুর্নীতি এবং অনৈতিক লেনদেন লাইসেন্সহীন ফার্মেসিকে টিকে থাকার সুযোগ দিচ্ছে। আবার গ্রামীণ এবং শহরতলির এলাকায় অনেক ব্যবসায়ী লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানেন না বা তা গুরুত্ব দেন না।

ফার্মেসিগুলো যেন লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

নিয়মিত তদারকি জোরদার করা জরুরি। লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। ফার্মাসিস্টদের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে আরও উদ্যোগ নেয়া উচিত। প্রত্যেক ফার্মেসিতে একজন নিবন্ধিত ফার্মাসিস্ট থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে গণমাধ্যম এবং কমিউনিটি পর্যায়ে প্রচারণা চালানো প্রয়োজন। মানুষকে জানাতে হবে যে, লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনা তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে।

জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে সরকার, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, এবং সাধারণ জনগণকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি বন্ধ করার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব। এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।

back to top