alt

সম্পাদকীয়

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

: শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে কৃষি লিজের শর্ত ভঙ্গ করে রেলওয়ের জমি ভরাট করার ঘটনা দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটি দৃষ্টান্ত। পূর্ব গোমদ-ী রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী এই এলাকায় ২৫ শতক জমি কৃষি কাজের জন্য লিজ দেওয়া হলেও তা বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য; কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নীরব।

কৃষি লিজের মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং টেকসই জমি ব্যবহার নিশ্চিত করা; কিন্তু এখানে লিজের শর্ত লঙ্ঘন করে জমি ভরাট করে বাণিজ্যিক স্থাপনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল এই অনিয়ম শুরু হওয়ার আগেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। জমি ভরাট বন্ধ করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি।

আমরা মনে করি, জমি রক্ষায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নীরবতা শুধু আইন ভঙ্গকারীদের উৎসাহিত করবে। এ ধরনের উদাসীনতা ভবিষ্যতে আরও অনিয়মের পথ খুলে দেবে। সরকারি সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং নজরদারির অভাব হলে তা দখল এবং অবৈধ কার্যক্রমের আখড়ায় পরিণত হয়।

এ ঘটনাটি শুধু একটি নির্দিষ্ট এলাকার সমস্যা নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ের জমি অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়মিত শোনা যায়। এটি প্রতিরোধে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি এবং স্বচ্ছ নীতিমালা। সরকারি সম্পত্তি ইজারা দেওয়া হলে তা সঠিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। কৃষি লিজের শর্ত ভঙ্গের মতো ঘটনায় আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা হলে ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম কমবে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে জমি ভরাট বন্ধ করে এর প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করা এবং কৃষি লিজের শর্ত ভঙ্গের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। একই সঙ্গে জমি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতে হবে। জমি ভরাটের এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে সেটা রেলওয়ের সম্পদ রক্ষায় একটি ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে কৃষি লিজের শর্ত ভঙ্গ করে রেলওয়ের জমি ভরাট করার ঘটনা দেশের সম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটি দৃষ্টান্ত। পূর্ব গোমদ-ী রেলওয়ে স্টেশনের নিকটবর্তী এই এলাকায় ২৫ শতক জমি কৃষি কাজের জন্য লিজ দেওয়া হলেও তা বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য; কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নীরব।

কৃষি লিজের মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং টেকসই জমি ব্যবহার নিশ্চিত করা; কিন্তু এখানে লিজের শর্ত লঙ্ঘন করে জমি ভরাট করে বাণিজ্যিক স্থাপনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল এই অনিয়ম শুরু হওয়ার আগেই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। জমি ভরাট বন্ধ করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি।

আমরা মনে করি, জমি রক্ষায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নীরবতা শুধু আইন ভঙ্গকারীদের উৎসাহিত করবে। এ ধরনের উদাসীনতা ভবিষ্যতে আরও অনিয়মের পথ খুলে দেবে। সরকারি সম্পত্তির সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং নজরদারির অভাব হলে তা দখল এবং অবৈধ কার্যক্রমের আখড়ায় পরিণত হয়।

এ ঘটনাটি শুধু একটি নির্দিষ্ট এলাকার সমস্যা নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলওয়ের জমি অপব্যবহারের অভিযোগ নিয়মিত শোনা যায়। এটি প্রতিরোধে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি এবং স্বচ্ছ নীতিমালা। সরকারি সম্পত্তি ইজারা দেওয়া হলে তা সঠিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত তদারকি প্রয়োজন। কৃষি লিজের শর্ত ভঙ্গের মতো ঘটনায় আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা হলে ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম কমবে।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে জমি ভরাট বন্ধ করে এর প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করা এবং কৃষি লিজের শর্ত ভঙ্গের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। একই সঙ্গে জমি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনতে হবে। জমি ভরাটের এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলে সেটা রেলওয়ের সম্পদ রক্ষায় একটি ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করবে।

back to top