alt

সম্পাদকীয়

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

: রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে যে অস্থিরতা চলছে, তা এখন আর নতুন কিছু নয়। তবে কিছু পণ্যকে কেন্দ্র করে যে সংকট তৈরি হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে সয়াবিন তেল, যার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। খুচরা বিক্রেতারা মনে করছেন, এ পরিস্থিতির পেছনে বড় ধরনের ‘কোম্পানির কারসাজি’ রয়েছে। এটি একদিকে যেমন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের পক্ষে ক্ষতিকর, তেমনি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বাজারে আলুর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে, যদিও এর সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এরকম বাজার অস্থিরতা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সাধারণ ক্রেতাদের জন্য খুবই চাপের। এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ২০ টাকা, এক বছরে তার পরিমাণ বেড়েছে ৩৫ টাকা। যে আলু এক মাস আগেও ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আলু ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

‘কোম্পানির কারসাজি’ শুধু বাজারে অস্থিরতার কারণ নয়, এটি সরকারের জন্যও একটি বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন। কেন বাজারের এই ঘাটতি সমাধান করা হচ্ছে না? কেন কিছু কোম্পানি বাজারের ওপর এত বেশি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর শুধু সরকারের তদারকি ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্ভব।

পর্যাপ্ত নজরদারি এবং তদারকির মাধ্যমে এই বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে মুষ্টিমেয় কিছু কোম্পানির মধ্যে মুনাফা অর্জনের তাগিদে এই ধরনের কারসাজি চলতেই থাকবে। ফলস্বরূপ, সাধারণ জনগণ চড়া দামে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাধ্য হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়িয়ে তুলবে।

বাজারের এই অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজারের প্রতিযোগিতা সুরক্ষিত রাখতে হবে এবং সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি, সাধারণ ক্রেতাদের কাছে প্রয়োজনীয় পণ্য সুলভ মূল্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

tab

সম্পাদকীয়

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে যে অস্থিরতা চলছে, তা এখন আর নতুন কিছু নয়। তবে কিছু পণ্যকে কেন্দ্র করে যে সংকট তৈরি হচ্ছে, তা উদ্বেগজনক। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে সয়াবিন তেল, যার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। খুচরা বিক্রেতারা মনে করছেন, এ পরিস্থিতির পেছনে বড় ধরনের ‘কোম্পানির কারসাজি’ রয়েছে। এটি একদিকে যেমন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের পক্ষে ক্ষতিকর, তেমনি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বাজারে আলুর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে, যদিও এর সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। এরকম বাজার অস্থিরতা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং সাধারণ ক্রেতাদের জন্য খুবই চাপের। এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ২০ টাকা, এক বছরে তার পরিমাণ বেড়েছে ৩৫ টাকা। যে আলু এক মাস আগেও ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আলু ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

‘কোম্পানির কারসাজি’ শুধু বাজারে অস্থিরতার কারণ নয়, এটি সরকারের জন্যও একটি বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন। কেন বাজারের এই ঘাটতি সমাধান করা হচ্ছে না? কেন কিছু কোম্পানি বাজারের ওপর এত বেশি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হচ্ছে? এসব প্রশ্নের উত্তর শুধু সরকারের তদারকি ও কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে সম্ভব।

পর্যাপ্ত নজরদারি এবং তদারকির মাধ্যমে এই বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া না হলে মুষ্টিমেয় কিছু কোম্পানির মধ্যে মুনাফা অর্জনের তাগিদে এই ধরনের কারসাজি চলতেই থাকবে। ফলস্বরূপ, সাধারণ জনগণ চড়া দামে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাধ্য হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং মূল্যস্ফীতি আরও বাড়িয়ে তুলবে।

বাজারের এই অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাজারের প্রতিযোগিতা সুরক্ষিত রাখতে হবে এবং সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি, সাধারণ ক্রেতাদের কাছে প্রয়োজনীয় পণ্য সুলভ মূল্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

back to top