ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেশে ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছর একক মাসে সর্বোচ্চ। গত মাসের তুলনায় মৃত্যু আরও বেড়েছে, যা পরিস্থিতির জটিলতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এডিস মশাবাহিত এই রোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজারো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
রাজধানী ঢাকা যেন এই মহামারীর কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে দেখা যায়, নভেম্বরে ২৯,৬৫২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে,
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সঠিক সময়ে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে না পারা, শহরজুড়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, এবং জনসচেতনতার অভাব এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রথমেই প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। সিটি করপোরেশনের উচিত অবিলম্বে মশা নিধনের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া। এই উদ্যোগ শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না; এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হতে হবে।
জনসচেতনতা বাড়ানো ডেঙ্গু প্রতিরোধের অন্যতম হাতিয়ার। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় কমিউনিটির সাহায্যে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। বিশেষত, বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা, জমে থাকা পানি অপসারণ, এবং মশারি ব্যবহার নিশ্চিত করার মতো ব্যক্তিগত উদ্যোগগুলোতে জোর দেয়া প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। ডেঙ্গুরোগীদের জন্য বিশেষায়িত ইউনিট এবং পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো অত্যাবশ্যক।
ডেঙ্গুর বিস্তার শুধু স্বাস্থ্য সংকট নয়, এটি আমাদের নগর ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতারও প্রতিফলন। জলবায়ু পরিবর্তন, অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ এবং জনসংখ্যার চাপে পরিবেশ ক্রমশ নাজুক হয়ে উঠছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে টেকসই নগর ব্যবস্থাপনা, পরিবেশবান্ধব নীতি, এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় অবহেলা কিংবা অযথা সময়ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রÑ সব স্তরের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে এই মরণব্যাধি থেকে মুক্তির পথ দেখাতে। এখনই সময় দায়িত্বশীল হওয়ার, যাতে আগামী দিনে এমন রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪
ডেঙ্গু পরিস্থিতি দেশে ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। নভেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছর একক মাসে সর্বোচ্চ। গত মাসের তুলনায় মৃত্যু আরও বেড়েছে, যা পরিস্থিতির জটিলতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এডিস মশাবাহিত এই রোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজারো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
রাজধানী ঢাকা যেন এই মহামারীর কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে দেখা যায়, নভেম্বরে ২৯,৬৫২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে,
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গৃহীত পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সঠিক সময়ে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে না পারা, শহরজুড়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, এবং জনসচেতনতার অভাব এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রথমেই প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। সিটি করপোরেশনের উচিত অবিলম্বে মশা নিধনের কার্যকর উদ্যোগ নেয়া। এই উদ্যোগ শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না; এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হতে হবে।
জনসচেতনতা বাড়ানো ডেঙ্গু প্রতিরোধের অন্যতম হাতিয়ার। গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং স্থানীয় কমিউনিটির সাহায্যে মানুষকে সচেতন করা জরুরি। বিশেষত, বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা, জমে থাকা পানি অপসারণ, এবং মশারি ব্যবহার নিশ্চিত করার মতো ব্যক্তিগত উদ্যোগগুলোতে জোর দেয়া প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো দরকার। ডেঙ্গুরোগীদের জন্য বিশেষায়িত ইউনিট এবং পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো অত্যাবশ্যক।
ডেঙ্গুর বিস্তার শুধু স্বাস্থ্য সংকট নয়, এটি আমাদের নগর ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতারও প্রতিফলন। জলবায়ু পরিবর্তন, অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ এবং জনসংখ্যার চাপে পরিবেশ ক্রমশ নাজুক হয়ে উঠছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে টেকসই নগর ব্যবস্থাপনা, পরিবেশবান্ধব নীতি, এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় অবহেলা কিংবা অযথা সময়ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রÑ সব স্তরের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে এই মরণব্যাধি থেকে মুক্তির পথ দেখাতে। এখনই সময় দায়িত্বশীল হওয়ার, যাতে আগামী দিনে এমন রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।