ঢাকা শহরের বুকে সড়ক অবরোধের ঘটনা নতুন নয়, তবে গত রোববার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় একযোগে সড়ক অবরোধের ফলে যে যানজট সৃষ্টি হয়েছে, তা রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থাকে একেবারে অচল করে দিয়েছে। শাহবাগ, কাকরাইল ও বনানী-কাকলী মোড়ে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ চলছিল। এর ফলে সাধারণ মানুষ, অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী, এমনকি জরুরি সেবা প্রদানকারী কর্মীরাও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
রোববার দুপুরে শাহবাগ মোড়ে প্রায় সোয়া চার ঘণ্টা ধরে অবরোধ করে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেন বিএসএমএমইউ ও বিসিপিএসের অধিভুক্ত পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। একইদিনে, কাকরাইল মসজিদ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা তিন দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে অনশন কর্মসূচি পালন করেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ঘটে বনানী-কাকলী মোড়ে, যেখানে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন।
অবরোধের কারণে যখন শহরের মূল সড়কগুলোতে কোনো কর্মদিবসে দীর্ঘ সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে, তখন নাগরিকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অফিসগামীদের জন্য এটি একটি বড় সংকট, তবে সবচে বড় প্রভাব পড়ে জরুরি সেবা এবং মেডিকেল অ্যাম্বুলেন্সের ওপর। আন্দোলনের অধিকার সবার আছে। তবে নগরবাসীর দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে কীভাবে আন্দোলন করা যায় সেটা ভাবার সময় এসেছে।
রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন লাখো মানুষ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে। জনগণের জীবনে তীব্র অসুবিধা তৈরি করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করা কতটা যৌক্তিক সেই প্রশ্ন উঠেছে। অনেক সময় দেখা যায়, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে আন্দোলনকারীদের অনেক ন্যায্য দাবিও জনসমর্থন পায় না।
আমারা বলতে চাই, প্রতিবাদ ও আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মানুষের অধিকার এবং মতপ্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তবে, যখন আন্দোলন সড়ক অবরোধের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তখন এর প্রভাব শুধু আন্দোলনকারীদের ওপরই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং পুরো শহরের নাগরিক জীবনকে প্রভাবিত করে। সড়ক অবরোধের ফলে যে বিপুল পরিমাণে নাগরিক অসুবিধা তৈরি হয়, তা সমাজের সুষ্ঠু কার্যক্রম এবং জনগণের জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। এর পাশাপাশি, সড়ক অবরোধের সমাধান কীভাবে হতে পারে, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা অত্যন্ত জরুরি।
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ঢাকা শহরের বুকে সড়ক অবরোধের ঘটনা নতুন নয়, তবে গত রোববার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় একযোগে সড়ক অবরোধের ফলে যে যানজট সৃষ্টি হয়েছে, তা রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থাকে একেবারে অচল করে দিয়েছে। শাহবাগ, কাকরাইল ও বনানী-কাকলী মোড়ে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ চলছিল। এর ফলে সাধারণ মানুষ, অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী, এমনকি জরুরি সেবা প্রদানকারী কর্মীরাও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
রোববার দুপুরে শাহবাগ মোড়ে প্রায় সোয়া চার ঘণ্টা ধরে অবরোধ করে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেন বিএসএমএমইউ ও বিসিপিএসের অধিভুক্ত পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। একইদিনে, কাকরাইল মসজিদ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা তিন দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে অনশন কর্মসূচি পালন করেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ঘটে বনানী-কাকলী মোড়ে, যেখানে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন।
অবরোধের কারণে যখন শহরের মূল সড়কগুলোতে কোনো কর্মদিবসে দীর্ঘ সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে, তখন নাগরিকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অফিসগামীদের জন্য এটি একটি বড় সংকট, তবে সবচে বড় প্রভাব পড়ে জরুরি সেবা এবং মেডিকেল অ্যাম্বুলেন্সের ওপর। আন্দোলনের অধিকার সবার আছে। তবে নগরবাসীর দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে কীভাবে আন্দোলন করা যায় সেটা ভাবার সময় এসেছে।
রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন লাখো মানুষ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে। জনগণের জীবনে তীব্র অসুবিধা তৈরি করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করা কতটা যৌক্তিক সেই প্রশ্ন উঠেছে। অনেক সময় দেখা যায়, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে আন্দোলনকারীদের অনেক ন্যায্য দাবিও জনসমর্থন পায় না।
আমারা বলতে চাই, প্রতিবাদ ও আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক সমাজে মানুষের অধিকার এবং মতপ্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তবে, যখন আন্দোলন সড়ক অবরোধের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তখন এর প্রভাব শুধু আন্দোলনকারীদের ওপরই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং পুরো শহরের নাগরিক জীবনকে প্রভাবিত করে। সড়ক অবরোধের ফলে যে বিপুল পরিমাণে নাগরিক অসুবিধা তৈরি হয়, তা সমাজের সুষ্ঠু কার্যক্রম এবং জনগণের জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। এর পাশাপাশি, সড়ক অবরোধের সমাধান কীভাবে হতে পারে, সে বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা অত্যন্ত জরুরি।