alt

সম্পাদকীয়

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

আমনের ভরা মৌসুমেও চালের দাম বৃদ্ধি একটি গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, মোটা ও মাঝারি চালের দাম এক সপ্তাহে কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেড়েছে। যদিও খাদ্য উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন যে, আমন ধান বাজারে এলে চালের দাম কমবে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

আমনের ভরা মৌসুমেও চালের দাম বাড়ার প্রধান কারণ হিসেবে বাণিজ্য উপদেষ্টা সাময়িক মজুতদারিকে দায়ী করেছেন। তবে অনেকে মনে করেন, আমনের উৎপাদন আশানুরূপ না হওয়া এবং সরকারের পর্যাপ্ত মজুত গড়ে তুলতে না পারা এ সংকটের মূলে রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, চালের দাম বাড়ার ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশাঙ্কা রয়েছে, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষভাবে সংকটজনক।

চাল আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি খাতে আমদানি লাভজনক নয়। যদিও সরকার ভারত, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার এবং পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে, তবু তা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়।

সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মজুতের অভাব বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে বড় প্রতিবন্ধকতা। বর্তমানে সরকারের চালের মজুত মাত্র আট লাখ টন, যা চাহিদার তুলনায় কম। এছাড়া, সরকার নির্ধারিত মূল্য কেজিপ্রতি ৪৭ টাকা থাকায় মিলমালিকরা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহে আগ্রহী নয়। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে যাচ্ছে, যা দামের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সাময়িক মজুতদারি বন্ধে কঠোর নজরদারি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রয়োজন। বাজারে মনিটরিং বাড়াতে খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত কার্যক্রম জরুরি। স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। কৃষকদের জন্য সারের মূল্য ও জ্বালানি খরচ কমিয়ে উৎপাদন খরচ হ্রাস করতে হবে। পাশাপাশি, সরকারি ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা জরুরি। চাল আমদানিতে দু-একটি দেশের ওপর নির্ভর না করে মাল্টি-সোর্সিং নীতি গ্রহণ করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে। চাল আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের সহজলভ্যতা বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে। নিম্ন আয়ের জনগণের জন্য ওএমএস (খোলাবাজারে চাল বিক্রি) কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা উচিত।

সংকট সমাধানে দায়সারা উদ্যোগ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। সরকার, মিলমালিক এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নইলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আরও চাপ সৃষ্টি করবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

আমনের ভরা মৌসুমেও চালের দাম বৃদ্ধি একটি গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, মোটা ও মাঝারি চালের দাম এক সপ্তাহে কেজিতে তিন থেকে চার টাকা বেড়েছে। যদিও খাদ্য উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন যে, আমন ধান বাজারে এলে চালের দাম কমবে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।

আমনের ভরা মৌসুমেও চালের দাম বাড়ার প্রধান কারণ হিসেবে বাণিজ্য উপদেষ্টা সাময়িক মজুতদারিকে দায়ী করেছেন। তবে অনেকে মনে করেন, আমনের উৎপাদন আশানুরূপ না হওয়া এবং সরকারের পর্যাপ্ত মজুত গড়ে তুলতে না পারা এ সংকটের মূলে রয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, চালের দাম বাড়ার ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশাঙ্কা রয়েছে, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষভাবে সংকটজনক।

চাল আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চাল আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি খাতে আমদানি লাভজনক নয়। যদিও সরকার ভারত, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার এবং পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে, তবু তা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়।

সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মজুতের অভাব বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে বড় প্রতিবন্ধকতা। বর্তমানে সরকারের চালের মজুত মাত্র আট লাখ টন, যা চাহিদার তুলনায় কম। এছাড়া, সরকার নির্ধারিত মূল্য কেজিপ্রতি ৪৭ টাকা থাকায় মিলমালিকরা সরকারি গুদামে চাল সরবরাহে আগ্রহী নয়। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে যাচ্ছে, যা দামের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সাময়িক মজুতদারি বন্ধে কঠোর নজরদারি ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রয়োজন। বাজারে মনিটরিং বাড়াতে খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত কার্যক্রম জরুরি। স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। কৃষকদের জন্য সারের মূল্য ও জ্বালানি খরচ কমিয়ে উৎপাদন খরচ হ্রাস করতে হবে। পাশাপাশি, সরকারি ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা জরুরি। চাল আমদানিতে দু-একটি দেশের ওপর নির্ভর না করে মাল্টি-সোর্সিং নীতি গ্রহণ করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে। চাল আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের সহজলভ্যতা বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে। নিম্ন আয়ের জনগণের জন্য ওএমএস (খোলাবাজারে চাল বিক্রি) কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা উচিত।

সংকট সমাধানে দায়সারা উদ্যোগ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন। সরকার, মিলমালিক এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নইলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে, যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আরও চাপ সৃষ্টি করবে।

back to top