alt

সম্পাদকীয়

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

: শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

২০২২ সালে ১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়ে নওগাঁ পৌরসভা কোমাইগাড়ী এলাকায় যাত্রা শুরু করেছিল ‘স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার’। উদ্দেশ্য ছিল, শহরের বর্জ্য সমস্যা সমাধান করে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া। কিন্তু দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পটি এখনো চালু হয়নি। এর যান্ত্রিক সরঞ্জামাদি নষ্ট হতে বসেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকল্পের অন্যতম বড় ব্যর্থতা হলো, নকশার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতার অভাব এবং পরিকল্পনার যথাযথ প্রণালির অভাব। প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথক করার জন্য কোনো পদ্ধতি বা যান্ত্রিক ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এর ফলে, প্রকল্পটি কার্যকর হওয়ার আগেই যেসব যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছিল, তা এখন নষ্ট হওয়ার পথে।

প্রকল্প এলাকায় বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদান করা হয়নি, যা একটি বর্জ্য পরিশোধনাগারের জন্য অপরিহার্য। এমন একটি অবকাঠামো নির্মাণের আগে এসব মৌলিক দিক নিশ্চিত করা উচিত ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।

নকশার ত্রুটি ও অনিশ্চয়তা ছাড়াও প্রকল্পের নির্মাণের আগে থেকেই কোমাইগাড়ী এলাকায় বর্জ্য ফেলা হচ্ছিল উন্মুক্ত স্থানে। এখনো সেখানেই বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, যার ফলে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য। বর্জ্য ফেলার অবাধ সুযোগ এবং কার্যকরী ব্যবস্থা না থাকার কারণে তারা নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন।

আমরা বলতে চাই, পরিবেশগত উন্নয়ন, শহর পরিকল্পনা এবং নাগরিক সুবিধার জন্য এমন প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন অপরিহার্য, কিন্তু এর জন্য প্রথম থেকেই কারিগরি দক্ষতা, সঠিক গবেষণা এবং সময়মতো ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ প্রকল্পের ব্যর্থতা শুধুমাত্র নওগাঁর জন্য নয়, বরং সমগ্র দেশের জন্য একটি সতর্ক সংকেত। উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর সঠিক পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন না হলে, আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যকে বিপদে ফেলে দেব।

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : কিছু প্রশ্ন

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

tab

সম্পাদকীয়

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

২০২২ সালে ১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়ে নওগাঁ পৌরসভা কোমাইগাড়ী এলাকায় যাত্রা শুরু করেছিল ‘স্যানিটারি ল্যান্ডফিল্ড ও পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগার’। উদ্দেশ্য ছিল, শহরের বর্জ্য সমস্যা সমাধান করে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া। কিন্তু দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পটি এখনো চালু হয়নি। এর যান্ত্রিক সরঞ্জামাদি নষ্ট হতে বসেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকল্পের অন্যতম বড় ব্যর্থতা হলো, নকশার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতার অভাব এবং পরিকল্পনার যথাযথ প্রণালির অভাব। প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথক করার জন্য কোনো পদ্ধতি বা যান্ত্রিক ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এর ফলে, প্রকল্পটি কার্যকর হওয়ার আগেই যেসব যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছিল, তা এখন নষ্ট হওয়ার পথে।

প্রকল্প এলাকায় বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদান করা হয়নি, যা একটি বর্জ্য পরিশোধনাগারের জন্য অপরিহার্য। এমন একটি অবকাঠামো নির্মাণের আগে এসব মৌলিক দিক নিশ্চিত করা উচিত ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।

নকশার ত্রুটি ও অনিশ্চয়তা ছাড়াও প্রকল্পের নির্মাণের আগে থেকেই কোমাইগাড়ী এলাকায় বর্জ্য ফেলা হচ্ছিল উন্মুক্ত স্থানে। এখনো সেখানেই বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, যার ফলে আশপাশের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য। বর্জ্য ফেলার অবাধ সুযোগ এবং কার্যকরী ব্যবস্থা না থাকার কারণে তারা নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন।

আমরা বলতে চাই, পরিবেশগত উন্নয়ন, শহর পরিকল্পনা এবং নাগরিক সুবিধার জন্য এমন প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন অপরিহার্য, কিন্তু এর জন্য প্রথম থেকেই কারিগরি দক্ষতা, সঠিক গবেষণা এবং সময়মতো ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ প্রকল্পের ব্যর্থতা শুধুমাত্র নওগাঁর জন্য নয়, বরং সমগ্র দেশের জন্য একটি সতর্ক সংকেত। উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর সঠিক পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন না হলে, আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যকে বিপদে ফেলে দেব।

back to top