খুলনার কয়রার পদ্ম পুকুর এলাকার নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে সময়মতো কাজ শেষ না হওয়া এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর শুরু হওয়া ৪৮০ মিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। অথচ ২৭ কোটি ১৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পটি এখনও অসম্পূর্ণ। এর মূল লক্ষ্য ছিল দুর্যোগপ্রবণ এলাকাটি সুরক্ষিত করা এবং পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। তবে প্রকল্পটি সময়মতো শেষ না হওয়া এবং তদারকির অভাবে এর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হলো, তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যবহৃত সিমেন্টের কংক্রিট কভার ব্লকের মান নিশ্চিত করা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ১:৩:৫ অনুপাতে সিমেন্ট, বালু ও পাথর ব্যবহার করার কথা থাকলেও, দেখা গেছে ১ বালতি সিমেন্টের সঙ্গে ৬-৭ বালতি বালু এবং ১২-১৩ বালতি পাথর কুচি মিশিয়ে ব্লক তৈরি করা হচ্ছে। এই ধরনের অনুপাত মানদ-ের ঘাটতি এবং নির্মাণসামগ্রীর অপ্রতুলতা প্রকল্পটিকে অকার্যকর করে তুলেছে।
এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি এক চরম উদাহরণ। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, দুর্নীতির কারণে পুরো প্রকল্পটি ব্যর্থ হতে পারে। প্রকল্পে এত বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ সত্ত্বেও কাজের মান এবং সময়মতো প্রকল্প শেষ না হওয়া প্রশাসনিক জবাবদিহিতার অভাবকে সামনে নিয়ে এসেছে।
নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন দেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোর মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে খুলনার কয়রার পদ্ম পুকুর এলাকার প্রকল্পটি অনিয়ম ও গাফিলতির এক দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের ব্যর্থতা দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রশাসনের এখনই উচিত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
খুলনার কয়রার পদ্ম পুকুর এলাকার নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে সময়মতো কাজ শেষ না হওয়া এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর শুরু হওয়া ৪৮০ মিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। অথচ ২৭ কোটি ১৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পটি এখনও অসম্পূর্ণ। এর মূল লক্ষ্য ছিল দুর্যোগপ্রবণ এলাকাটি সুরক্ষিত করা এবং পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা। তবে প্রকল্পটি সময়মতো শেষ না হওয়া এবং তদারকির অভাবে এর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হলো, তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যবহৃত সিমেন্টের কংক্রিট কভার ব্লকের মান নিশ্চিত করা হয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ১:৩:৫ অনুপাতে সিমেন্ট, বালু ও পাথর ব্যবহার করার কথা থাকলেও, দেখা গেছে ১ বালতি সিমেন্টের সঙ্গে ৬-৭ বালতি বালু এবং ১২-১৩ বালতি পাথর কুচি মিশিয়ে ব্লক তৈরি করা হচ্ছে। এই ধরনের অনুপাত মানদ-ের ঘাটতি এবং নির্মাণসামগ্রীর অপ্রতুলতা প্রকল্পটিকে অকার্যকর করে তুলেছে।
এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি এক চরম উদাহরণ। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, দুর্নীতির কারণে পুরো প্রকল্পটি ব্যর্থ হতে পারে। প্রকল্পে এত বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ সত্ত্বেও কাজের মান এবং সময়মতো প্রকল্প শেষ না হওয়া প্রশাসনিক জবাবদিহিতার অভাবকে সামনে নিয়ে এসেছে।
নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন দেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোর মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তবে খুলনার কয়রার পদ্ম পুকুর এলাকার প্রকল্পটি অনিয়ম ও গাফিলতির এক দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের ব্যর্থতা দেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রশাসনের এখনই উচিত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।