পরিবেশের জন্য বিপর্যয়কর হুমকি সৃষ্টি করা ইটভাটাগুলোর দৌরাত্ম্য থামানোর দায়িত্ব কি কারও নেই? প্রশ্ন হচ্ছে, আইন, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি করছে? নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই, আধা কিলোমিটার দূরত্বে পরপর তিনটি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন নিম্নমানের কয়লা, কাঠ এবং ফসলি জমির মাটি কেটে জোগান দেয়া হচ্ছেÑএমনটা দেখে মনে হয় যেন এখানে চলছে এক ধরনের প্রতিযোগিতা।
ইটভাটার কারণে বনে, কৃষিজমিতে, পরিবেশে, প্রাণীকূলের স্বাস্থ্য ও বায়ুতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এত কিছু জানার পরও, বিভিন্ন মহল থেকে বারবার সতর্ক করার পরও, কেন কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না?
সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, লক্ষ্মীপুরে নিয়মের তোয়াক্কা না করে সেখানে ১৪০টি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৮টি অবৈধ। এসব ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে নিম্নমানের কয়লা এবং বনের মূল্যবান কাঠ। আরও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি, যা কৃষিজমির উর্বরতা হ্রাস করছে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি তৈরি করছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ইটভাটা রয়েছে, যা বছরে ৮.৭৫ মিলিয়ন টন কার্বন নির্গত করছে। ১৯৯০ সাল থেকে গত ২০ বছরে অন্তত ৮ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর বনভূমি হারিয়ে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, পরিবেশের জন্য এত বড় হুমকি থাকা সত্ত্বেও, কেন প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না?
অবৈধ কোনো ইটভাটা চালানোর সুযোগ নেই। বছরের পর বছর ধরে চলা অবৈধ ইটভাটাগুলো উচ্ছেদ করা উচিত। আমরা আশা করি, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং পরিবেশের সুরক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
পরিবেশের জন্য বিপর্যয়কর হুমকি সৃষ্টি করা ইটভাটাগুলোর দৌরাত্ম্য থামানোর দায়িত্ব কি কারও নেই? প্রশ্ন হচ্ছে, আইন, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি করছে? নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই, আধা কিলোমিটার দূরত্বে পরপর তিনটি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিদিন নিম্নমানের কয়লা, কাঠ এবং ফসলি জমির মাটি কেটে জোগান দেয়া হচ্ছেÑএমনটা দেখে মনে হয় যেন এখানে চলছে এক ধরনের প্রতিযোগিতা।
ইটভাটার কারণে বনে, কৃষিজমিতে, পরিবেশে, প্রাণীকূলের স্বাস্থ্য ও বায়ুতে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এত কিছু জানার পরও, বিভিন্ন মহল থেকে বারবার সতর্ক করার পরও, কেন কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না?
সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, লক্ষ্মীপুরে নিয়মের তোয়াক্কা না করে সেখানে ১৪০টি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭৮টি অবৈধ। এসব ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে নিম্নমানের কয়লা এবং বনের মূল্যবান কাঠ। আরও আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি, যা কৃষিজমির উর্বরতা হ্রাস করছে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি তৈরি করছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ইটভাটা রয়েছে, যা বছরে ৮.৭৫ মিলিয়ন টন কার্বন নির্গত করছে। ১৯৯০ সাল থেকে গত ২০ বছরে অন্তত ৮ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর বনভূমি হারিয়ে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, পরিবেশের জন্য এত বড় হুমকি থাকা সত্ত্বেও, কেন প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ চোখে পড়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না?
অবৈধ কোনো ইটভাটা চালানোর সুযোগ নেই। বছরের পর বছর ধরে চলা অবৈধ ইটভাটাগুলো উচ্ছেদ করা উচিত। আমরা আশা করি, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং পরিবেশের সুরক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে।