alt

সম্পাদকীয়

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। পাহাড় কাটা বন্ধে বারবার নির্দেশনা দেয়া হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদাসীনতা সমস্যাটিকে আরও প্রকট করেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন, পাহাড় কাটা নিয়ে টম অ্যান্ড জেরি আর খেলতে চাই না।

উপদেষ্টার বক্তব্যে দেশের পরিবেশ সংকটের এক গভীর চিত্র উঠে এসেছে। পাহাড় কাটা, পলিথিনদূষণ এবং শব্দদূষণ দেশের পরিবেশগত সমস্যা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। তার বক্তব্য থেকে এটি স্পষ্ট যে, সমস্যাগুলো সমাধানে দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর ভূমিকা কার্যকর নয়।

পাহাড় কাটা বন্ধে বিভিন্ন সময় অভিযান চালানো হয়। সেসব অভিযানে মূলত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু শ্রমিকদের শাস্তি দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। পাহাড় কাটার জন্য দায়ী মালিকদের নাম প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। যদি কয়েকজন প্রভাবশালী মালিকের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়, তবে পাহাড় কাটার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসতে পারে।

পলিথিনের ব্যবহার পরিবেশের জন্য আরেক হুমকি। একসময় মানুষ চটের ব্যাগ ব্যবহার করত, যা ছিল পরিবেশবান্ধব। আজ প্লাস্টিকের সহজলভ্যতা আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করে ফেলেছে। তবে সরকারের আইন কার্যকর করার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। পলিথিনের উৎপাদন এবং বিপণন পুরোপুরি বন্ধ করার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

শব্দদূষণও গুরুতর একটি সমস্যা। এটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে। পাশাপাশি হর্ন বাজানোর অভ্যাস পরিবর্তনে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য প্রচার চালাতে হবে। নাগরিকদের এই প্রচারে অন্তর্ভুক্ত করা হলে এটি আরও ফলপ্রসূ হবে।

পরিবেশ রক্ষা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, পুলিশ এবং অন্য সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পরিবেশ সংরক্ষণে শুধু আইন প্রণয়ন যথেষ্ট নয়, তা কার্যকর করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। পাহাড় কাটা, পলিথিন এবং শব্দদূষণের মতো সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি, এই টম অ্যান্ড জেরি খেলা শেষ করে একটি টেকসই পরিবেশ রক্ষায় সব পক্ষ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : কিছু প্রশ্ন

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

আমতলী পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

অরক্ষিত রেলক্রসিং : সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি

সুন্দরবনে হরিণ শিকার বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন

শিক্ষার্থী আত্মহত্যার উদ্বেগজনক চিত্র

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড় রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণে ‘টম অ্যান্ড জেরি খেলা’র অবসান ঘটুক

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। পাহাড় কাটা বন্ধে বারবার নির্দেশনা দেয়া হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। রাতের আঁধারে পাহাড় কাটা এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উদাসীনতা সমস্যাটিকে আরও প্রকট করেছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা বলেছেন, পাহাড় কাটা নিয়ে টম অ্যান্ড জেরি আর খেলতে চাই না।

উপদেষ্টার বক্তব্যে দেশের পরিবেশ সংকটের এক গভীর চিত্র উঠে এসেছে। পাহাড় কাটা, পলিথিনদূষণ এবং শব্দদূষণ দেশের পরিবেশগত সমস্যা হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। তার বক্তব্য থেকে এটি স্পষ্ট যে, সমস্যাগুলো সমাধানে দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর ভূমিকা কার্যকর নয়।

পাহাড় কাটা বন্ধে বিভিন্ন সময় অভিযান চালানো হয়। সেসব অভিযানে মূলত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু শ্রমিকদের শাস্তি দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। পাহাড় কাটার জন্য দায়ী মালিকদের নাম প্রকাশ এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। যদি কয়েকজন প্রভাবশালী মালিকের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়, তবে পাহাড় কাটার প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসতে পারে।

পলিথিনের ব্যবহার পরিবেশের জন্য আরেক হুমকি। একসময় মানুষ চটের ব্যাগ ব্যবহার করত, যা ছিল পরিবেশবান্ধব। আজ প্লাস্টিকের সহজলভ্যতা আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করে ফেলেছে। তবে সরকারের আইন কার্যকর করার পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। পলিথিনের উৎপাদন এবং বিপণন পুরোপুরি বন্ধ করার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

শব্দদূষণও গুরুতর একটি সমস্যা। এটা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে। পাশাপাশি হর্ন বাজানোর অভ্যাস পরিবর্তনে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। এজন্য প্রচার চালাতে হবে। নাগরিকদের এই প্রচারে অন্তর্ভুক্ত করা হলে এটি আরও ফলপ্রসূ হবে।

পরিবেশ রক্ষা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, পুলিশ এবং অন্য সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পরিবেশ সংরক্ষণে শুধু আইন প্রণয়ন যথেষ্ট নয়, তা কার্যকর করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। পাহাড় কাটা, পলিথিন এবং শব্দদূষণের মতো সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতা ও অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করি, এই টম অ্যান্ড জেরি খেলা শেষ করে একটি টেকসই পরিবেশ রক্ষায় সব পক্ষ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

back to top