alt

সম্পাদকীয়

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

: রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

গত বছর দেশের শিশুরা জলবায়ু সংকটের ফলে যেভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউনিসেফের সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, জলবায়ুজনিত অতি তাপমাত্রা, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি ৩০ লাখ শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের শিশুদের পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিল, ফলে প্রায় দুই সপ্তাহ স্কুল বন্ধ রাখা হয়। এরপর মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রিমাল, জুনে বন্যা এবং বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং রংপুর জেলা।

জলবায়ু সংকটের এই অভিঘাত শুধু শিক্ষার প্রাথমিক স্তরেই ক্ষতি করেছে তা নয়, এর ফলে দেশের শিশুদের শিখন দারিদ্র্যও আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। জাতীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্কুলগামী দুই শিশুর মধ্যে একজন তাদের শিক্ষাগত স্তরের সঠিক দিকনির্দেশনা পায় না। বিপর্যস্ত পরিবেশে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বাচ্চারা স্কুলে ফিরতে পারে না, যার ফলে শিশুদের মধ্যে বিশেষ করে কন্যাশিশুদের বাল্যবিবাহের ঝুঁকি বাড়ছে।

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে এবং ইউনিসেফের মতে, জলবায়ু সংকটের ফলে এখানকার শিশুরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের শিশুদের শিক্ষা সংকটে পড়তে গেলে জাতির ভবিষ্যৎও অন্ধকারে চলে যাবে। এজন্য, শুধু সরকারি খাতে নয়, আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল থেকে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেয় ইউনিসেফ।

শিক্ষা খাতকে জলবায়ু সহনশীল করা যায় কীভাবে সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে। দেশের জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনাগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ না হয়।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

রোববার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

গত বছর দেশের শিশুরা জলবায়ু সংকটের ফলে যেভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউনিসেফের সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, জলবায়ুজনিত অতি তাপমাত্রা, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলাদেশের প্রায় তিন কোটি ৩০ লাখ শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

২০২৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের শিশুদের পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে গিয়েছিল, ফলে প্রায় দুই সপ্তাহ স্কুল বন্ধ রাখা হয়। এরপর মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রিমাল, জুনে বন্যা এবং বিভিন্ন সময়ে অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট, খুলনা, চট্টগ্রাম এবং রংপুর জেলা।

জলবায়ু সংকটের এই অভিঘাত শুধু শিক্ষার প্রাথমিক স্তরেই ক্ষতি করেছে তা নয়, এর ফলে দেশের শিশুদের শিখন দারিদ্র্যও আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। জাতীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্কুলগামী দুই শিশুর মধ্যে একজন তাদের শিক্ষাগত স্তরের সঠিক দিকনির্দেশনা পায় না। বিপর্যস্ত পরিবেশে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বাচ্চারা স্কুলে ফিরতে পারে না, যার ফলে শিশুদের মধ্যে বিশেষ করে কন্যাশিশুদের বাল্যবিবাহের ঝুঁকি বাড়ছে।

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে এবং ইউনিসেফের মতে, জলবায়ু সংকটের ফলে এখানকার শিশুরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের শিশুদের শিক্ষা সংকটে পড়তে গেলে জাতির ভবিষ্যৎও অন্ধকারে চলে যাবে। এজন্য, শুধু সরকারি খাতে নয়, আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল থেকে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদ দেয় ইউনিসেফ।

শিক্ষা খাতকে জলবায়ু সহনশীল করা যায় কীভাবে সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে। দেশের জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনাগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ না হয়।

back to top