alt

সম্পাদকীয়

রেলওয়ের তেল চুরি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

: রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ের তেল চুরির সিন্ডিকেট আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। লোকোমোটিভ থেকে সংঘবদ্ধভাবে তেল চুরি আবারও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি শুধু রেলওয়ের সম্পদের অপচয় নয়, বরং রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি ও নিরাপত্তা হুমকির স্পষ্ট চিত্র।

সম্প্রতি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী পার্বতীপুরের মনিরিয়া স্কুলের পাশে এক অভিযানে চুরি হওয়া ডিজেল তেল উদ্ধার করেছে। যদিও অভিযানের সময় কেউ ধরা পড়েনি, তবে এটি পরিষ্কার যে তেল চুরির এ অপকর্ম চালিয়ে যেতে একটি শক্তিশালী চক্র সক্রিয় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পুরনো সিন্ডিকেটের দিকেই সন্দেহের আঙুল তুলছেন, যা থেকে ধারণা করা যায় যে আগে বন্ধ হওয়া অপরাধ আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে।

রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তেল, যা শুধু লোকোমোটিভ চালনার জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কথা। অথচ এটি চুরি করে অবৈধ ব্যবসায় ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে অসাধু রেলকর্মীদের যোগসাজশ থাকার আশঙ্কা প্রবল। অতীতে চুরি বন্ধ হলেও নতুন করে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার বিষয়টি উদ্বেগজনক।

একটি বড় প্রশ্ন থেকেই যায়Ñ রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি এতই দুর্বল যে একাধিক পয়েন্টে সংঘবদ্ধ তেল চুরির ঘটনা ঘটতে পারে? যদি সত্যিই কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তবে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

অতীতে যে সিন্ডিকেট ধরা পড়েছিল, তাদের কি কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়েছিল? যদি তাই হতো, তাহলে কি তারা আবার মাথাচাড়া দিতে পারত? পার্বতীপুরে রেলওয়ের এই তেল চুরির পুনরুত্থান প্রশাসনিক ব্যর্থতারই প্রতিফলন।

তেল চুরির এই সিন্ডিকেট শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং এটি রেলের সার্বিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। লোকোমোটিভ থেকে তেল চুরি হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে, যা যাত্রী নিরাপত্তার জন্য বড় বিপদ। এই অপরাধ বন্ধ করতে হলে শুধু তদন্ত কমিটি গঠনই যথেষ্ট নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

রেলওয়ের তেল চুরি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা

রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে রেলওয়ের তেল চুরির সিন্ডিকেট আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। লোকোমোটিভ থেকে সংঘবদ্ধভাবে তেল চুরি আবারও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এটি শুধু রেলওয়ের সম্পদের অপচয় নয়, বরং রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতি ও নিরাপত্তা হুমকির স্পষ্ট চিত্র।

সম্প্রতি রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী পার্বতীপুরের মনিরিয়া স্কুলের পাশে এক অভিযানে চুরি হওয়া ডিজেল তেল উদ্ধার করেছে। যদিও অভিযানের সময় কেউ ধরা পড়েনি, তবে এটি পরিষ্কার যে তেল চুরির এ অপকর্ম চালিয়ে যেতে একটি শক্তিশালী চক্র সক্রিয় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পুরনো সিন্ডিকেটের দিকেই সন্দেহের আঙুল তুলছেন, যা থেকে ধারণা করা যায় যে আগে বন্ধ হওয়া অপরাধ আবারও মাথাচাড়া দিচ্ছে।

রেলওয়ের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তেল, যা শুধু লোকোমোটিভ চালনার জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কথা। অথচ এটি চুরি করে অবৈধ ব্যবসায় ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে অসাধু রেলকর্মীদের যোগসাজশ থাকার আশঙ্কা প্রবল। অতীতে চুরি বন্ধ হলেও নতুন করে সিন্ডিকেট গড়ে ওঠার বিষয়টি উদ্বেগজনক।

একটি বড় প্রশ্ন থেকেই যায়Ñ রেলওয়ের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি এতই দুর্বল যে একাধিক পয়েন্টে সংঘবদ্ধ তেল চুরির ঘটনা ঘটতে পারে? যদি সত্যিই কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তবে তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

অতীতে যে সিন্ডিকেট ধরা পড়েছিল, তাদের কি কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হয়েছিল? যদি তাই হতো, তাহলে কি তারা আবার মাথাচাড়া দিতে পারত? পার্বতীপুরে রেলওয়ের এই তেল চুরির পুনরুত্থান প্রশাসনিক ব্যর্থতারই প্রতিফলন।

তেল চুরির এই সিন্ডিকেট শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি নয়, বরং এটি রেলের সার্বিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি। লোকোমোটিভ থেকে তেল চুরি হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে, যা যাত্রী নিরাপত্তার জন্য বড় বিপদ। এই অপরাধ বন্ধ করতে হলে শুধু তদন্ত কমিটি গঠনই যথেষ্ট নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

back to top