alt

সম্পাদকীয়

চাল-সয়াবিনের দামে অস্থিরতা, সবজিতে স্বস্তি

: রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অস্থিরতা যেন এখন স্বাভাবিক চিত্র। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চালের দামে যে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়েছে, তা এখনো কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মিনিকেট, নাজিরশাইল থেকে শুরু করে মোটা চাল পর্যন্ত প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে কয়েক টাকা। এর পাশাপাশি সয়াবিন তেলের বাজারেও অভিযোগের শেষ নেইÑ গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি টাকা নেওয়া থেকে শুরু করে বাড়তি পণ্য কেনার বাধ্যবাধকতা, ক্রেতাদের মনে ক্ষোভ জমছে। তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও একটি স্বস্তির খবর হলো, শাক-সবজি ও মশলার দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় রোজার মৌসুমে তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে।

চালের দাম বাড়ার পেছনে যে যুক্তি দেখানো হচ্ছেÑ ধানের মজুত কমে যাওয়া বা সরবরাহে ঘাটতিÑ তা কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ব্যবসায়ীরা একে অপরের দিকে দায় চাপাচ্ছেন, কিন্তু এর মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। মিলারদের কাছ থেকেও কোনো স্পষ্ট জবাব মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি তদারকির দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে বাড়তি দামের অজুহাত হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, ডিলারদের কাছ থেকে তেলের সঙ্গে ‘স্লো মুভিং’ পণ্য কিনতে বাধ্য করা হয়। এই অভিযোগ সত্যি হলে, বাজার ব্যবস্থাপনার গভীরতর সমস্যার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

এর বিপরীতে শাক-সবজি ও মশলার দামে স্থিতিশীলতা সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির। আলু, পেঁয়াজ, টমেটো থেকে শুরু করে শীত-গ্রীষ্মের বিভিন্ন সবজি নাগালের মধ্যে রয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, রোজার মতো চাহিদার সময়ে এমন কম দাম বহু বছর দেখা যায়নি। তবে বেগুন, শসা বা লেবুর মতো কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, যা পুরোপুরি স্বস্তির ছবিটিকে ম্লান করে দেয়।

এই পরিস্থিতি থেকে একটি বিষয় পরিষ্কারÑ বাজারে সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। চাল ও সয়াবিনের দাম বৃদ্ধির পেছনে যদি সরবরাহ ঘাটতি বা আমদানি নির্ভরতাই কারণ হয়, তবে সরকারের উচিত সময়মতো পদক্ষেপ নিয়ে বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহ বাড়ানো। একই সঙ্গে, বাজার তদারকি জোরদার করে অসাধু ব্যবসায়ীদের লাগাম টানা প্রয়োজন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেলেও, এর ফলাফল এখনো দৃশ্যমান নয়।

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

বালু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা জরুরি

হিমাগার সংকট : কৃষকের দুর্ভোগ আর কতদিন?

স্বাধীনতা দিবস : একাত্তরের স্বপ্ন পুনর্জাগরণের প্রত্যয়

আজ সেই কালরাত্রি

হাওরের বুকে সড়ক : উন্নয়ন না ধ্বংস?

সুন্দরবনে আবার অগ্নিকাণ্ড

সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে

কড়াই বিলের গাছ কাটা প্রকৃতির প্রতি অবহেলা

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাস্তবতা ও সম্ভাবনার দ্বন্দ্ব

অস্থির চালের বাজারে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা

রমজানের নামে নিগ্রহ : কারা এই ‘নৈতিকতার ঠিকাদার’?

tab

সম্পাদকীয়

চাল-সয়াবিনের দামে অস্থিরতা, সবজিতে স্বস্তি

রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অস্থিরতা যেন এখন স্বাভাবিক চিত্র। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চালের দামে যে ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়েছে, তা এখনো কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মিনিকেট, নাজিরশাইল থেকে শুরু করে মোটা চাল পর্যন্ত প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে কয়েক টাকা। এর পাশাপাশি সয়াবিন তেলের বাজারেও অভিযোগের শেষ নেইÑ গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি টাকা নেওয়া থেকে শুরু করে বাড়তি পণ্য কেনার বাধ্যবাধকতা, ক্রেতাদের মনে ক্ষোভ জমছে। তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও একটি স্বস্তির খবর হলো, শাক-সবজি ও মশলার দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় রোজার মৌসুমে তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে।

চালের দাম বাড়ার পেছনে যে যুক্তি দেখানো হচ্ছেÑ ধানের মজুত কমে যাওয়া বা সরবরাহে ঘাটতিÑ তা কতটা গ্রহণযোগ্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ব্যবসায়ীরা একে অপরের দিকে দায় চাপাচ্ছেন, কিন্তু এর মাশুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। মিলারদের কাছ থেকেও কোনো স্পষ্ট জবাব মিলছে না। এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি তদারকির দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে বাড়তি দামের অজুহাত হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, ডিলারদের কাছ থেকে তেলের সঙ্গে ‘স্লো মুভিং’ পণ্য কিনতে বাধ্য করা হয়। এই অভিযোগ সত্যি হলে, বাজার ব্যবস্থাপনার গভীরতর সমস্যার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

এর বিপরীতে শাক-সবজি ও মশলার দামে স্থিতিশীলতা সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির। আলু, পেঁয়াজ, টমেটো থেকে শুরু করে শীত-গ্রীষ্মের বিভিন্ন সবজি নাগালের মধ্যে রয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, রোজার মতো চাহিদার সময়ে এমন কম দাম বহু বছর দেখা যায়নি। তবে বেগুন, শসা বা লেবুর মতো কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, যা পুরোপুরি স্বস্তির ছবিটিকে ম্লান করে দেয়।

এই পরিস্থিতি থেকে একটি বিষয় পরিষ্কারÑ বাজারে সুষ্ঠু নিয়ন্ত্রণ ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। চাল ও সয়াবিনের দাম বৃদ্ধির পেছনে যদি সরবরাহ ঘাটতি বা আমদানি নির্ভরতাই কারণ হয়, তবে সরকারের উচিত সময়মতো পদক্ষেপ নিয়ে বিকল্প উৎস থেকে সরবরাহ বাড়ানো। একই সঙ্গে, বাজার তদারকি জোরদার করে অসাধু ব্যবসায়ীদের লাগাম টানা প্রয়োজন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি কার্যক্রম চলছে বলে জানা গেলেও, এর ফলাফল এখনো দৃশ্যমান নয়।

back to top