alt

সম্পাদকীয়

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

: শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

যশোরের সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হওয়া এবং দুই হাজার ৭৮টি মুরগি মেরে পুঁতে ফেলার ঘটনা পোলট্রি খাতের জন্য একটি সতর্কতার ঘণ্টা। গত ১২ মার্চ মুরগি মারা যাওয়ার পর পরীক্ষায় বার্ড ফ্লু ধরা পড়ে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে খামারটি পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেও, এই ঘটনা দেশের পোলট্রি শিল্পের সম্ভাব্য ঝুঁকির ইঙ্গিত পদয়। এ পরিস্থিতি শুধু তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয় নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধে সমন্বিত পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দেয়।

দেশে পোলট্রি খাত মাংসের চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি পূরণ করে। ৯৫ হাজারের বেশি খামারের এই শিল্প ইতোমধ্যে করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধজনিত খাদ্য সংকট এবং ডলারের অভাবে প্রায় ৬২ হাজার খামার বন্ধের মতো ধাক্কা সামলাচ্ছে। এর মধ্যে বার্ড ফ্লু আবারও একটি নতুন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথম এবং ২০১৮ সালে সর্বশেষ বার্ড ফ্লু দেখা দিলেও, এবারের পরিস্থিতি মৃদু বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

সংশ্লিষ্টরা খামারের বাইরে ময়লা ফেলার জায়গা এবং খামার পাখির আনাগোনাকে সংক্রমণের সম্ভাব্য মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে নিশ্চিতভাবে কিভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে, তা জানা যায়নি। এই অনিশ্চয়তা জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাবকে সামনে আনে। সরকারি খামারে এমন ঘটনা ঘটলে ব্যক্তি পর্যায়ের খামারগুলোর অবস্থা কী হতে পারে সেটা একটা প্রশ্ন।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের দ্রুত পদক্ষেপ এবং সব খামারকে সতর্ক করার নির্দেশনা প্রশংসনীয়। বিশেষায়িত ভ্যাকসিন মজুত থাকা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগও আশার কথা। কিন্তু শুধু প্রতিক্রিয়াশীল পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়। ২০০৭ সালে ১০ লাখ মুরগি মারা এবং ২০০৮ সালে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিরোধমূলক কৌশল আরও জোরদার করা উচিত ছিল। খামারিদের জন্য জৈব নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, নিয়মিত ভ্যাকসিনেশন এবং সংক্রমণের উৎস শনাক্তে গবেষণা এখন সময়ের দাবি।

বার্ড ফ্লু নিয়ে আতঙ্ক নয়, সতর্কতাই মূলমন্ত্র। তবে এই সতর্কতা কেবল পরামর্শে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। পোলট্রি খাতকে বাঁচাতে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার, খামারি এবং গ্রাহকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এখন সময়ের দাবি।

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫

যশোরের সরকারি মুরগি প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হওয়া এবং দুই হাজার ৭৮টি মুরগি মেরে পুঁতে ফেলার ঘটনা পোলট্রি খাতের জন্য একটি সতর্কতার ঘণ্টা। গত ১২ মার্চ মুরগি মারা যাওয়ার পর পরীক্ষায় বার্ড ফ্লু ধরা পড়ে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে খামারটি পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেও, এই ঘটনা দেশের পোলট্রি শিল্পের সম্ভাব্য ঝুঁকির ইঙ্গিত পদয়। এ পরিস্থিতি শুধু তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয় নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধে সমন্বিত পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে দেয়।

দেশে পোলট্রি খাত মাংসের চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি পূরণ করে। ৯৫ হাজারের বেশি খামারের এই শিল্প ইতোমধ্যে করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধজনিত খাদ্য সংকট এবং ডলারের অভাবে প্রায় ৬২ হাজার খামার বন্ধের মতো ধাক্কা সামলাচ্ছে। এর মধ্যে বার্ড ফ্লু আবারও একটি নতুন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথম এবং ২০১৮ সালে সর্বশেষ বার্ড ফ্লু দেখা দিলেও, এবারের পরিস্থিতি মৃদু বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

সংশ্লিষ্টরা খামারের বাইরে ময়লা ফেলার জায়গা এবং খামার পাখির আনাগোনাকে সংক্রমণের সম্ভাব্য মাধ্যম হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে নিশ্চিতভাবে কিভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে, তা জানা যায়নি। এই অনিশ্চয়তা জৈব নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাবকে সামনে আনে। সরকারি খামারে এমন ঘটনা ঘটলে ব্যক্তি পর্যায়ের খামারগুলোর অবস্থা কী হতে পারে সেটা একটা প্রশ্ন।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের দ্রুত পদক্ষেপ এবং সব খামারকে সতর্ক করার নির্দেশনা প্রশংসনীয়। বিশেষায়িত ভ্যাকসিন মজুত থাকা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগও আশার কথা। কিন্তু শুধু প্রতিক্রিয়াশীল পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়। ২০০৭ সালে ১০ লাখ মুরগি মারা এবং ২০০৮ সালে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিরোধমূলক কৌশল আরও জোরদার করা উচিত ছিল। খামারিদের জন্য জৈব নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, নিয়মিত ভ্যাকসিনেশন এবং সংক্রমণের উৎস শনাক্তে গবেষণা এখন সময়ের দাবি।

বার্ড ফ্লু নিয়ে আতঙ্ক নয়, সতর্কতাই মূলমন্ত্র। তবে এই সতর্কতা কেবল পরামর্শে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। পোলট্রি খাতকে বাঁচাতে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সরকার, খামারি এবং গ্রাহকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এখন সময়ের দাবি।

back to top