alt

সম্পাদকীয়

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

: সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে একটি মর্মান্তিক ঘটনায় এক যুবকের জীবন অকালে ঝরে গেছে। কৃষিজমিতে ইঁদুর মারার জন্য পেতে রাখা অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা শুধু একটি পরিবারের জন্য শোকের কারণ নয়, বরং আমাদের সমাজে অবৈধ ও বিপজ্জনক পদ্ধতির ব্যবহার এবং তদারকির অভাব নিয়ে গভীর প্রশ্ন তুলেছে।

গত শুক্রবার সকালে লক্ষ্মীপুর গ্রামে ধানখেতে পানি দেওয়ার কাজে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী যুবক। জমির মালিক ইঁদুর নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদ্যুতের তার দিয়ে ফাঁদ পেতেছিলেন, যা আইনত নিষিদ্ধ। ভুক্তভোগী যুবক পাম্প মেশিন চালাতে গিয়ে এই ফাঁদের শিকার হন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর জমির মালিক পলাতক, আর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু এই ঘটনা কি শুধুই একটি দুর্ঘটনা, নাকি আমাদের সমাজে গভীরতর অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার প্রতিফলন?

এই ঘটনার দায় শুধু একজনের ওপর চাপিয়ে দেয়া যায় না। এটি একটি সামষ্টিক ব্যর্থতার চিত্রÑযেখানে সরকার, প্রশাসন, সমাজ এবং আমরা সবাই কোথাও না কোথাও জড়িত।

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদের ব্যবহার দেশে নতুন নয়। ইঁদুর বা বন্যপ্রাণী থেকে ফসল রক্ষার জন্য অনেক কৃষক এই বিপজ্জনক পদ্ধতি অবলম্বন করেন। কিন্তু এর ফলে শুধু প্রাণী নয়, মানুষের জীবনও বিপন্ন হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, কৃষকদের এমন ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতিতে ঠেলে দেয়ার পেছনে কি শুধুই তাদের অজ্ঞতা দায়ী, নাকি সরকারি পর্যায়ে বিকল্প সমাধান ও সচেতনতার অভাবও এর জন্য সমানভাবে দায়ী?

সরকারের পক্ষ থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকদের জন্য নিরাপদ ও টেকসই পদ্ধতির প্রচলন এবং এ বিষয়ে কঠোর আইন প্রয়োগ জরুরি। অবৈধ বিদ্যুৎ ফাঁদ শুধু মানুষের জীবনই কেড়ে নিচ্ছে না, পরিবেশেরও ক্ষতি করছে। পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসন ও বিদ্যুৎ বিভাগের তদারকির ঘাটতিও এই ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ধ। কেন এমন বিপজ্জনক ফাঁদ বছরের পর বছর ধরে চলতে দেয়া হচ্ছে? কেন এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয় না?

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

tab

সম্পাদকীয়

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে একটি মর্মান্তিক ঘটনায় এক যুবকের জীবন অকালে ঝরে গেছে। কৃষিজমিতে ইঁদুর মারার জন্য পেতে রাখা অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা শুধু একটি পরিবারের জন্য শোকের কারণ নয়, বরং আমাদের সমাজে অবৈধ ও বিপজ্জনক পদ্ধতির ব্যবহার এবং তদারকির অভাব নিয়ে গভীর প্রশ্ন তুলেছে।

গত শুক্রবার সকালে লক্ষ্মীপুর গ্রামে ধানখেতে পানি দেওয়ার কাজে গিয়েছিলেন ভুক্তভোগী যুবক। জমির মালিক ইঁদুর নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদ্যুতের তার দিয়ে ফাঁদ পেতেছিলেন, যা আইনত নিষিদ্ধ। ভুক্তভোগী যুবক পাম্প মেশিন চালাতে গিয়ে এই ফাঁদের শিকার হন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর জমির মালিক পলাতক, আর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু এই ঘটনা কি শুধুই একটি দুর্ঘটনা, নাকি আমাদের সমাজে গভীরতর অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার প্রতিফলন?

এই ঘটনার দায় শুধু একজনের ওপর চাপিয়ে দেয়া যায় না। এটি একটি সামষ্টিক ব্যর্থতার চিত্রÑযেখানে সরকার, প্রশাসন, সমাজ এবং আমরা সবাই কোথাও না কোথাও জড়িত।

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদের ব্যবহার দেশে নতুন নয়। ইঁদুর বা বন্যপ্রাণী থেকে ফসল রক্ষার জন্য অনেক কৃষক এই বিপজ্জনক পদ্ধতি অবলম্বন করেন। কিন্তু এর ফলে শুধু প্রাণী নয়, মানুষের জীবনও বিপন্ন হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, কৃষকদের এমন ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতিতে ঠেলে দেয়ার পেছনে কি শুধুই তাদের অজ্ঞতা দায়ী, নাকি সরকারি পর্যায়ে বিকল্প সমাধান ও সচেতনতার অভাবও এর জন্য সমানভাবে দায়ী?

সরকারের পক্ষ থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকদের জন্য নিরাপদ ও টেকসই পদ্ধতির প্রচলন এবং এ বিষয়ে কঠোর আইন প্রয়োগ জরুরি। অবৈধ বিদ্যুৎ ফাঁদ শুধু মানুষের জীবনই কেড়ে নিচ্ছে না, পরিবেশেরও ক্ষতি করছে। পাশাপাশি, স্থানীয় প্রশাসন ও বিদ্যুৎ বিভাগের তদারকির ঘাটতিও এই ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ধ। কেন এমন বিপজ্জনক ফাঁদ বছরের পর বছর ধরে চলতে দেয়া হচ্ছে? কেন এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয় না?

back to top