দেশজুড়ে যে তাপপ্রবাহ বইছে তা জনজীবনে দুর্ভোগ তৈরি করেছে। চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ৯ মে চুয়াডাঙ্গায়Ñ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকাতেও রেকর্ড হয়েছে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাÑ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি। দেশের প্রায় সব বিভাগেই এখন তাপপ্রবাহ বইছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই তাপপ্রবাহ আরও অন্তত দুই থেকে তিন দিন থাকতে পারে। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য, কৃষি, শ্রমজীবী মানুষ, পশু-পাখি এবং পরিবেশÑসবকিছুর ওপরই পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। এই গরম শুধু অস্বস্তি তৈরি করছে না, এটা স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও দিনমজুর শ্রেণীর মানুষেরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দাবদাহে শিশুদের জ্বর, পেট খারাপ, চামড়ার অসুখ, এমনকি হিট র্যাশসহ নানা রোগ বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, যাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা কম, আর্থিক সামর্থ্যও সীমিত। তীব্র গরমে শুধু মানুষ নয়, প্রাণিকুলও কষ্ট পাচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, তাপমাত্রা এভাবে কেন বাড়ছে এবং আমাদের করণীয় কী? এর পেছনে যেমন আছে প্রাকৃতিক জলবায়ুগত কিছু পরিবর্তন, তেমনি রয়েছে আমাদের জীবনের নানা কর্মকা-Ñযা পরিবেশ ও আবহাওয়ার ভারসাম্যকে প্রতিনিয়ত নষ্ট করছে। তাপপ্রবাহকে যদি শুধুই গরমের একটি স্বাভাবিক রূপ বলে হালকাভাবে দেখা হয়, তবে আমরা নিজেদের ক্ষতির পথ আরও প্রশস্ত করব। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে উষ্ণতা বৃদ্ধির হার বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও বেশিÑএমন গবেষণা বহুবার উঠে এসেছে। এবার আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাপমাত্রা শুধু বাড়েনি, বরং তার বিস্তারও বেড়েছে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ থেকে শুরু করে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রামÑপ্রায় সর্বত্র একই চিত্র।
উষ্ণতা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি কোথায়? সরকারি পর্যায়ে সচেতনতা কর্মসূচি কোথায়? কোথায় পানি পানের ব্যবস্থা, সড়কে ছায়ার সুযোগ কিংবা তাপপ্রবাহজনিত ঝুঁকি প্রশমনে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা? শহরগুলোতে কতটা সবুজ আছে, কতটা উন্মুক্ত জলাধার আমরা সংরক্ষণ করেছিÑএসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে।
রোববার, ১১ মে ২০২৫
দেশজুড়ে যে তাপপ্রবাহ বইছে তা জনজীবনে দুর্ভোগ তৈরি করেছে। চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ৯ মে চুয়াডাঙ্গায়Ñ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকাতেও রেকর্ড হয়েছে বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাÑ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি। দেশের প্রায় সব বিভাগেই এখন তাপপ্রবাহ বইছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই তাপপ্রবাহ আরও অন্তত দুই থেকে তিন দিন থাকতে পারে। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য, কৃষি, শ্রমজীবী মানুষ, পশু-পাখি এবং পরিবেশÑসবকিছুর ওপরই পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। এই গরম শুধু অস্বস্তি তৈরি করছে না, এটা স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও দিনমজুর শ্রেণীর মানুষেরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দাবদাহে শিশুদের জ্বর, পেট খারাপ, চামড়ার অসুখ, এমনকি হিট র্যাশসহ নানা রোগ বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, যাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা কম, আর্থিক সামর্থ্যও সীমিত। তীব্র গরমে শুধু মানুষ নয়, প্রাণিকুলও কষ্ট পাচ্ছে।
প্রশ্ন হলো, তাপমাত্রা এভাবে কেন বাড়ছে এবং আমাদের করণীয় কী? এর পেছনে যেমন আছে প্রাকৃতিক জলবায়ুগত কিছু পরিবর্তন, তেমনি রয়েছে আমাদের জীবনের নানা কর্মকা-Ñযা পরিবেশ ও আবহাওয়ার ভারসাম্যকে প্রতিনিয়ত নষ্ট করছে। তাপপ্রবাহকে যদি শুধুই গরমের একটি স্বাভাবিক রূপ বলে হালকাভাবে দেখা হয়, তবে আমরা নিজেদের ক্ষতির পথ আরও প্রশস্ত করব। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে উষ্ণতা বৃদ্ধির হার বৈশ্বিক গড়ের চেয়েও বেশিÑএমন গবেষণা বহুবার উঠে এসেছে। এবার আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাপমাত্রা শুধু বাড়েনি, বরং তার বিস্তারও বেড়েছে। রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ময়মনসিংহ থেকে শুরু করে ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রামÑপ্রায় সর্বত্র একই চিত্র।
উষ্ণতা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি কোথায়? সরকারি পর্যায়ে সচেতনতা কর্মসূচি কোথায়? কোথায় পানি পানের ব্যবস্থা, সড়কে ছায়ার সুযোগ কিংবা তাপপ্রবাহজনিত ঝুঁকি প্রশমনে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা? শহরগুলোতে কতটা সবুজ আছে, কতটা উন্মুক্ত জলাধার আমরা সংরক্ষণ করেছিÑএসব প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে।