alt

সম্পাদকীয়

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

: সোমবার, ১২ মে ২০২৫

চার দিনের সংঘাত। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মুখোমুখি অবস্থান। প্রাণহানি, ক্ষয়ক্ষতি আর আতঙ্ক। এর মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি স্বস্তিদায়ক। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত দায় দেয় পাকিস্তানের ওপর। পাকিস্তান অস্বীকার করে। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তোলে। এরপরই শুরু হয় পাল্টাপাল্টি হামলা। ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, গোলাবর্ষণে দুই দেশের সীমান্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হতাহতের ঘটনা ঘটে। বেসামরিক মানুষ মারা যান।

এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিজেই অস্ত্রবিরতির খবর জানান। এরপর দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা নিশ্চিত করে।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির এই সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। তাৎক্ষণিক সংঘাত থেমেছে। যদিও এমন প্রশ্ন থেকেই যায় যে, এই বিরতি কতদিন স্থায়ী হবে? তবে আমরা আশা করতে চাই যে, দুই দেশই শান্তির পক্ষে অবস্থান নেবে।

দুই দেশই বলেছে, আলোচনা চলবে। ১২ মে আবার বসছে তারা। সেটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যুদ্ধ থামানোই যথেষ্ট নয়। স্থায়ী শান্তির জন্য রাজনৈতিক সমাধান দরকার।

বিশ্বনেতারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব, চীন, তুরস্ক, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য সবাই শান্তিপ্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।

বিশ্বের এ প্রশংসা আরও বড় দায়িত্ব তৈরি করে। যুদ্ধবিরতিকে সংলাপের ভিত্তি করতে হবে। উসকানি বা প্রতিশোধ নয়, প্রয়োজন সহনশীলতা।

সংঘাত থামালেও মানুষের ক্ষতি হয়ে গেছে। দুদেশের মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাকিস্তানে নিহত হয়েছেন ৩৩ জন বেসামরিক মানুষ। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ভারতেরও ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। কাশ্মীর দীর্ঘদিনের বিরোধ। কিন্তু এ নিয়ে বারবার যুদ্ধ বা সংঘাত চলতে পারে না। দরকার আলোচনার টেবিলে ফেরা।

দুই দেশই বলছে, তারা সংযত। কিন্তু সংযমের পরীক্ষা চলবে ভবিষ্যতে। এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের ওপর। দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়। এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা। মানুষ যুদ্ধ চায় না। চায় নিরাপত্তা, স্বস্তি আর সহযোগিতা। দুই দেশ সেই প্রত্যাশাই পূরণ করুক।

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

সোমবার, ১২ মে ২০২৫

চার দিনের সংঘাত। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মুখোমুখি অবস্থান। প্রাণহানি, ক্ষয়ক্ষতি আর আতঙ্ক। এর মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি স্বস্তিদায়ক। পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ভারত দায় দেয় পাকিস্তানের ওপর। পাকিস্তান অস্বীকার করে। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তোলে। এরপরই শুরু হয় পাল্টাপাল্টি হামলা। ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, গোলাবর্ষণে দুই দেশের সীমান্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হতাহতের ঘটনা ঘটে। বেসামরিক মানুষ মারা যান।

এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিজেই অস্ত্রবিরতির খবর জানান। এরপর দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা নিশ্চিত করে।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির এই সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। তাৎক্ষণিক সংঘাত থেমেছে। যদিও এমন প্রশ্ন থেকেই যায় যে, এই বিরতি কতদিন স্থায়ী হবে? তবে আমরা আশা করতে চাই যে, দুই দেশই শান্তির পক্ষে অবস্থান নেবে।

দুই দেশই বলেছে, আলোচনা চলবে। ১২ মে আবার বসছে তারা। সেটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যুদ্ধ থামানোই যথেষ্ট নয়। স্থায়ী শান্তির জন্য রাজনৈতিক সমাধান দরকার।

বিশ্বনেতারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব, চীন, তুরস্ক, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য সবাই শান্তিপ্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।

বিশ্বের এ প্রশংসা আরও বড় দায়িত্ব তৈরি করে। যুদ্ধবিরতিকে সংলাপের ভিত্তি করতে হবে। উসকানি বা প্রতিশোধ নয়, প্রয়োজন সহনশীলতা।

সংঘাত থামালেও মানুষের ক্ষতি হয়ে গেছে। দুদেশের মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাকিস্তানে নিহত হয়েছেন ৩৩ জন বেসামরিক মানুষ। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ভারতেরও ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। কাশ্মীর দীর্ঘদিনের বিরোধ। কিন্তু এ নিয়ে বারবার যুদ্ধ বা সংঘাত চলতে পারে না। দরকার আলোচনার টেবিলে ফেরা।

দুই দেশই বলছে, তারা সংযত। কিন্তু সংযমের পরীক্ষা চলবে ভবিষ্যতে। এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের ওপর। দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়। এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা। মানুষ যুদ্ধ চায় না। চায় নিরাপত্তা, স্বস্তি আর সহযোগিতা। দুই দেশ সেই প্রত্যাশাই পূরণ করুক।

back to top