দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় স্মার্টকার্ড ইস্যু-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গত পাঁচ মাস ধরে ১৭ হাজার ৮২৫ জন সুবিধাভোগী টিসিবির খাদ্যপণ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন, টিসিবি, এবং সংশ্লিষ্ট কার্ড প্রস্তুতকারী দপ্তরের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়হীনতার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। প্রযুক্তিনির্ভর নতুন ব্যবস্থার কারণে আগের হাতে লেখা কার্ড বাতিল করে স্মার্টকার্ড চালু করা হলেও, তা বাস্তবায়নে যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতি ও দক্ষতা ছিল না।
ফুলবাড়ী উপজেলার মোট ১৮ হাজার ৮৭৯ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৫৪ জন স্মার্টকার্ড পেয়েছেন। পৌরসভা এলাকায় একজন সুবিধাভোগীও স্মার্টকার্ড পাননি। ফলে প্রায় ৯৫ শতাংশ সুবিধাভোগীই টিসিবির নিয়মিত পণ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, হাতে লেখা কার্ড থাকা সত্ত্বেও এসব ব্যক্তিদের জন্য কোনো বিকল্প বা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
টিসিবির পণ্য বিতরণ কার্যক্রম একটি নির্দিষ্ট সময়সূচির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সেই কার্যক্রমে স্মার্টকার্ড ছাড়া পণ্য বিতরণ সম্ভব নয়Ñএমন একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবতাকে বিবেচনায় না নিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবস্থার হালনাগাদ করতে গিয়ে যদি দীর্ঘ সময় ধরে উপকারভোগীরা সহায়তা না পান, তবে পুরো উদ্যোগটির কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।
প্রশাসনের বক্তব্য অনুযায়ী, স্মার্টকার্ড তৈরির আবেদন ইতোমধ্যে জমা দেয়া হয়েছে এবং একটি অ্যাপের মাধ্যমে প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় সময় লাগছে, আর সেই সময়ে সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত থাকছেন।
আমরা বলতে চাই, টিসিবির খাদ্যপণ্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক সামাজিক সুরক্ষা কাঠামোর অংশ। এর সঙ্গে যুক্ত সুবিধাভোগীদের সহায়তা বন্ধ থাকা শুধু একটি কারিগরি সমস্যা নয়, এটি একটি নীতিগত ও ব্যবস্থাপনাগত ব্যর্থতা। ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে টেকসই পরিকল্পনা, সমন্বিত কর্মপন্থা এবং প্রয়োজনে বিকল্প উপায় নির্ধারণ জরুরি।
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় স্মার্টকার্ড ইস্যু-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে গত পাঁচ মাস ধরে ১৭ হাজার ৮২৫ জন সুবিধাভোগী টিসিবির খাদ্যপণ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন, টিসিবি, এবং সংশ্লিষ্ট কার্ড প্রস্তুতকারী দপ্তরের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়হীনতার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। প্রযুক্তিনির্ভর নতুন ব্যবস্থার কারণে আগের হাতে লেখা কার্ড বাতিল করে স্মার্টকার্ড চালু করা হলেও, তা বাস্তবায়নে যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতি ও দক্ষতা ছিল না।
ফুলবাড়ী উপজেলার মোট ১৮ হাজার ৮৭৯ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৫৪ জন স্মার্টকার্ড পেয়েছেন। পৌরসভা এলাকায় একজন সুবিধাভোগীও স্মার্টকার্ড পাননি। ফলে প্রায় ৯৫ শতাংশ সুবিধাভোগীই টিসিবির নিয়মিত পণ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, হাতে লেখা কার্ড থাকা সত্ত্বেও এসব ব্যক্তিদের জন্য কোনো বিকল্প বা অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
টিসিবির পণ্য বিতরণ কার্যক্রম একটি নির্দিষ্ট সময়সূচির ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সেই কার্যক্রমে স্মার্টকার্ড ছাড়া পণ্য বিতরণ সম্ভব নয়Ñএমন একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবতাকে বিবেচনায় না নিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবস্থার হালনাগাদ করতে গিয়ে যদি দীর্ঘ সময় ধরে উপকারভোগীরা সহায়তা না পান, তবে পুরো উদ্যোগটির কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।
প্রশাসনের বক্তব্য অনুযায়ী, স্মার্টকার্ড তৈরির আবেদন ইতোমধ্যে জমা দেয়া হয়েছে এবং একটি অ্যাপের মাধ্যমে প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় সময় লাগছে, আর সেই সময়ে সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত থাকছেন।
আমরা বলতে চাই, টিসিবির খাদ্যপণ্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক সামাজিক সুরক্ষা কাঠামোর অংশ। এর সঙ্গে যুক্ত সুবিধাভোগীদের সহায়তা বন্ধ থাকা শুধু একটি কারিগরি সমস্যা নয়, এটি একটি নীতিগত ও ব্যবস্থাপনাগত ব্যর্থতা। ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে টেকসই পরিকল্পনা, সমন্বিত কর্মপন্থা এবং প্রয়োজনে বিকল্প উপায় নির্ধারণ জরুরি।