alt

সম্পাদকীয়

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

: শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে আবারও একটি যাত্রীবাহী বাসে সংঘটিত ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনা আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। একই মহাসড়কে গত কয়েক মাসে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই বলা হয়, তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে; কিন্তু এর বাস্তব অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়।

বাসে ডাকাতির সঙ্গে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনা যুক্ত হওয়ায় বিষয়টি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নিরাপদ গণপরিবহন নারীদের চলাচলের মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব ঘটনায় কাউকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে পারেনি। ফলাফলÑঅপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে, জনগণের আস্থা নষ্ট হচ্ছে।

যেসব পরিবহনে এ ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর ব্যবস্থাপনায়ও প্রশ্ন আছে। পথিমধ্যে এতবার বাস থামিয়ে অপরাধীরা যাত্রীবেশে উঠেছেÑতাতে চালক ও সুপারভাইজারের দায়িত্ববোধ নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়।

সড়কে নিয়মিত টহলের কথা বলা হয়। এসব টহল কি কেবল কাগজপত্র দেখার জন্য? যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা কি বাস্তবে আছে?

এ মহাসড়কটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। এখানকার নিরাপত্তা বিঘিœত হলে তার প্রভাব দেশের অন্যত্রও পড়ে। শুধুমাত্র ঘটনার পর মামলা নেওয়া, তদন্তের আশ্বাস দেওয়া এবং অভিযানে নামা যথেষ্ট নয়। অপরাধের ধরন বিবেচনায় নিয়ে একটি সুসমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা জরুরি। বাসে সিসিটিভি বাধ্যতামূলক করা, যাত্রী পরিচয় যাচাই, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বৃদ্ধি এবং রাতের যাত্রায় বিশেষ নজরদারি এখন সময়ের দাবি।

সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পরিবহন মালিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। নাগরিকদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা বরদাশতযোগ্য নয়। মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নয়, চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন।

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

tab

সম্পাদকীয়

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে আবারও একটি যাত্রীবাহী বাসে সংঘটিত ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনা আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। একই মহাসড়কে গত কয়েক মাসে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই বলা হয়, তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে; কিন্তু এর বাস্তব অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়।

বাসে ডাকাতির সঙ্গে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনা যুক্ত হওয়ায় বিষয়টি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নিরাপদ গণপরিবহন নারীদের চলাচলের মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব ঘটনায় কাউকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে পারেনি। ফলাফলÑঅপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে, জনগণের আস্থা নষ্ট হচ্ছে।

যেসব পরিবহনে এ ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর ব্যবস্থাপনায়ও প্রশ্ন আছে। পথিমধ্যে এতবার বাস থামিয়ে অপরাধীরা যাত্রীবেশে উঠেছেÑতাতে চালক ও সুপারভাইজারের দায়িত্ববোধ নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়।

সড়কে নিয়মিত টহলের কথা বলা হয়। এসব টহল কি কেবল কাগজপত্র দেখার জন্য? যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা কি বাস্তবে আছে?

এ মহাসড়কটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। এখানকার নিরাপত্তা বিঘিœত হলে তার প্রভাব দেশের অন্যত্রও পড়ে। শুধুমাত্র ঘটনার পর মামলা নেওয়া, তদন্তের আশ্বাস দেওয়া এবং অভিযানে নামা যথেষ্ট নয়। অপরাধের ধরন বিবেচনায় নিয়ে একটি সুসমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা জরুরি। বাসে সিসিটিভি বাধ্যতামূলক করা, যাত্রী পরিচয় যাচাই, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বৃদ্ধি এবং রাতের যাত্রায় বিশেষ নজরদারি এখন সময়ের দাবি।

সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পরিবহন মালিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। নাগরিকদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা বরদাশতযোগ্য নয়। মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নয়, চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন।

back to top