ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে আবারও একটি যাত্রীবাহী বাসে সংঘটিত ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনা আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। একই মহাসড়কে গত কয়েক মাসে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই বলা হয়, তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে; কিন্তু এর বাস্তব অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়।
বাসে ডাকাতির সঙ্গে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনা যুক্ত হওয়ায় বিষয়টি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নিরাপদ গণপরিবহন নারীদের চলাচলের মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব ঘটনায় কাউকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে পারেনি। ফলাফলÑঅপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে, জনগণের আস্থা নষ্ট হচ্ছে।
যেসব পরিবহনে এ ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর ব্যবস্থাপনায়ও প্রশ্ন আছে। পথিমধ্যে এতবার বাস থামিয়ে অপরাধীরা যাত্রীবেশে উঠেছেÑতাতে চালক ও সুপারভাইজারের দায়িত্ববোধ নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়।
সড়কে নিয়মিত টহলের কথা বলা হয়। এসব টহল কি কেবল কাগজপত্র দেখার জন্য? যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা কি বাস্তবে আছে?
এ মহাসড়কটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। এখানকার নিরাপত্তা বিঘিœত হলে তার প্রভাব দেশের অন্যত্রও পড়ে। শুধুমাত্র ঘটনার পর মামলা নেওয়া, তদন্তের আশ্বাস দেওয়া এবং অভিযানে নামা যথেষ্ট নয়। অপরাধের ধরন বিবেচনায় নিয়ে একটি সুসমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা জরুরি। বাসে সিসিটিভি বাধ্যতামূলক করা, যাত্রী পরিচয় যাচাই, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বৃদ্ধি এবং রাতের যাত্রায় বিশেষ নজরদারি এখন সময়ের দাবি।
সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পরিবহন মালিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। নাগরিকদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা বরদাশতযোগ্য নয়। মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নয়, চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন।
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে আবারও একটি যাত্রীবাহী বাসে সংঘটিত ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনা আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। একই মহাসড়কে গত কয়েক মাসে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই বলা হয়, তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে; কিন্তু এর বাস্তব অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়।
বাসে ডাকাতির সঙ্গে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনা যুক্ত হওয়ায় বিষয়টি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নিরাপদ গণপরিবহন নারীদের চলাচলের মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব ঘটনায় কাউকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে পারেনি। ফলাফলÑঅপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে, জনগণের আস্থা নষ্ট হচ্ছে।
যেসব পরিবহনে এ ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর ব্যবস্থাপনায়ও প্রশ্ন আছে। পথিমধ্যে এতবার বাস থামিয়ে অপরাধীরা যাত্রীবেশে উঠেছেÑতাতে চালক ও সুপারভাইজারের দায়িত্ববোধ নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়।
সড়কে নিয়মিত টহলের কথা বলা হয়। এসব টহল কি কেবল কাগজপত্র দেখার জন্য? যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা কি বাস্তবে আছে?
এ মহাসড়কটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। এখানকার নিরাপত্তা বিঘিœত হলে তার প্রভাব দেশের অন্যত্রও পড়ে। শুধুমাত্র ঘটনার পর মামলা নেওয়া, তদন্তের আশ্বাস দেওয়া এবং অভিযানে নামা যথেষ্ট নয়। অপরাধের ধরন বিবেচনায় নিয়ে একটি সুসমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা জরুরি। বাসে সিসিটিভি বাধ্যতামূলক করা, যাত্রী পরিচয় যাচাই, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বৃদ্ধি এবং রাতের যাত্রায় বিশেষ নজরদারি এখন সময়ের দাবি।
সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং পরিবহন মালিকদের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। নাগরিকদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা বরদাশতযোগ্য নয়। মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নয়, চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন।