নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান অবস্থা দেশের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি স্পষ্ট প্রতিফলন। ৫০ শয্যার একটি হাসপাতাল, যেখানে প্রতিদিন শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন, সেখানে গত এক মাস ধরে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। এতে রোগীরা শুধু ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন না, বরং অনেক সময় চিকিৎসাসেবা না পেয়ে হাসপাতাল থেকেই ফিরে যেতে হচ্ছে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র সাতজন। তাও প্রায় সবাই ডেপুটেশন বা প্রশিক্ষণে রয়েছেন। কেউ কেউ দীর্ঘদিন অনুপস্থিত। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই সংকটের ফলে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও ইনডোর পরিষেবা কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না। রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকে বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এই পরিস্থিতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মানুষের কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পূর্বধলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের একমাত্র সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র যদি এমন সংকটে পড়ে, তাহলে জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
দীর্ঘস্থায়ী সংকটের সমাধান শুধু অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে সম্ভব নয়। পূর্বধলার মতো জনবহুল উপজেলায় চিকিৎসকদের পদায়ন, উপস্থিতি ও তদারকিতে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা প্রয়োজন। একই সঙ্গে হাসপাতালের সরঞ্জাম নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাও জোরদার করতে হবে।
অপর্যাপ্ত জনবল, সরঞ্জামের ঘাটতি ও অনুপস্থিত চিকিৎসকদের কারণে রোগীরা যেন প্রতিনিয়তই বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বাস্তবতায় শুধু আশ্বাস নয়, জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ, অনুপস্থিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতা দূর করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করাই হওয়া উচিত কর্তৃপক্ষের মূল অগ্রাধিকার। আশা করি, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান অবস্থা দেশের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি স্পষ্ট প্রতিফলন। ৫০ শয্যার একটি হাসপাতাল, যেখানে প্রতিদিন শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন, সেখানে গত এক মাস ধরে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। এতে রোগীরা শুধু ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন না, বরং অনেক সময় চিকিৎসাসেবা না পেয়ে হাসপাতাল থেকেই ফিরে যেতে হচ্ছে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র সাতজন। তাও প্রায় সবাই ডেপুটেশন বা প্রশিক্ষণে রয়েছেন। কেউ কেউ দীর্ঘদিন অনুপস্থিত। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই সংকটের ফলে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও ইনডোর পরিষেবা কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না। রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকে বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এই পরিস্থিতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মানুষের কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পূর্বধলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের একমাত্র সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র যদি এমন সংকটে পড়ে, তাহলে জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
দীর্ঘস্থায়ী সংকটের সমাধান শুধু অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে সম্ভব নয়। পূর্বধলার মতো জনবহুল উপজেলায় চিকিৎসকদের পদায়ন, উপস্থিতি ও তদারকিতে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা প্রয়োজন। একই সঙ্গে হাসপাতালের সরঞ্জাম নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাও জোরদার করতে হবে।
অপর্যাপ্ত জনবল, সরঞ্জামের ঘাটতি ও অনুপস্থিত চিকিৎসকদের কারণে রোগীরা যেন প্রতিনিয়তই বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বাস্তবতায় শুধু আশ্বাস নয়, জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ, অনুপস্থিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতা দূর করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করাই হওয়া উচিত কর্তৃপক্ষের মূল অগ্রাধিকার। আশা করি, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।