alt

সম্পাদকীয়

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

: বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান অবস্থা দেশের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি স্পষ্ট প্রতিফলন। ৫০ শয্যার একটি হাসপাতাল, যেখানে প্রতিদিন শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন, সেখানে গত এক মাস ধরে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। এতে রোগীরা শুধু ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন না, বরং অনেক সময় চিকিৎসাসেবা না পেয়ে হাসপাতাল থেকেই ফিরে যেতে হচ্ছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র সাতজন। তাও প্রায় সবাই ডেপুটেশন বা প্রশিক্ষণে রয়েছেন। কেউ কেউ দীর্ঘদিন অনুপস্থিত। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই সংকটের ফলে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও ইনডোর পরিষেবা কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না। রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকে বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এই পরিস্থিতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মানুষের কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পূর্বধলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের একমাত্র সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র যদি এমন সংকটে পড়ে, তাহলে জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

দীর্ঘস্থায়ী সংকটের সমাধান শুধু অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে সম্ভব নয়। পূর্বধলার মতো জনবহুল উপজেলায় চিকিৎসকদের পদায়ন, উপস্থিতি ও তদারকিতে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা প্রয়োজন। একই সঙ্গে হাসপাতালের সরঞ্জাম নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাও জোরদার করতে হবে।

অপর্যাপ্ত জনবল, সরঞ্জামের ঘাটতি ও অনুপস্থিত চিকিৎসকদের কারণে রোগীরা যেন প্রতিনিয়তই বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বাস্তবতায় শুধু আশ্বাস নয়, জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ, অনুপস্থিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতা দূর করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করাই হওয়া উচিত কর্তৃপক্ষের মূল অগ্রাধিকার। আশা করি, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান অবস্থা দেশের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি স্পষ্ট প্রতিফলন। ৫০ শয্যার একটি হাসপাতাল, যেখানে প্রতিদিন শতাধিক রোগী ভর্তি থাকেন, সেখানে গত এক মাস ধরে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। এতে রোগীরা শুধু ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন না, বরং অনেক সময় চিকিৎসাসেবা না পেয়ে হাসপাতাল থেকেই ফিরে যেতে হচ্ছে।

সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২টি চিকিৎসক পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র সাতজন। তাও প্রায় সবাই ডেপুটেশন বা প্রশিক্ষণে রয়েছেন। কেউ কেউ দীর্ঘদিন অনুপস্থিত। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই সংকটের ফলে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও ইনডোর পরিষেবা কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না। রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকে বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এই পরিস্থিতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মানুষের কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। পূর্বধলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের একমাত্র সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র যদি এমন সংকটে পড়ে, তাহলে জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।

দীর্ঘস্থায়ী সংকটের সমাধান শুধু অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে সম্ভব নয়। পূর্বধলার মতো জনবহুল উপজেলায় চিকিৎসকদের পদায়ন, উপস্থিতি ও তদারকিতে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা প্রয়োজন। একই সঙ্গে হাসপাতালের সরঞ্জাম নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাও জোরদার করতে হবে।

অপর্যাপ্ত জনবল, সরঞ্জামের ঘাটতি ও অনুপস্থিত চিকিৎসকদের কারণে রোগীরা যেন প্রতিনিয়তই বঞ্চিত হচ্ছেন। এ বাস্তবতায় শুধু আশ্বাস নয়, জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ, অনুপস্থিতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতা দূর করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করাই হওয়া উচিত কর্তৃপক্ষের মূল অগ্রাধিকার। আশা করি, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

back to top