alt

সম্পাদকীয়

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

: শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের জন্য ২০২৫ সালের জুলাই মাস ইতিহাস হয়ে থাকবে। ১৯৮০ সালের পর এই প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি ফুটবল দল এশিয়ান কাপে খেলতে যাচ্ছে। আর এই গৌরব অর্জন করলেন দেশের নারী ফুটবলাররা। তারা যে অসাধ্য সাধন করল, তা দেশের ফুটবল ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। শুধু অংশগ্রহণ নয়, বরং বাছাইপর্বে জয় দিয়ে চূড়ান্ত পর্বে উত্তরণ প্রমাণ করে, তারা এখন আর কেবল সম্ভাবনার নাম নয়Ñ তারা বাংলাদেশের ফুটবলের এক উজ্জ্বল বাস্তবতা।

এই অর্জন কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। গত এক দশকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের বয়সভিত্তিক সাফল্য, দক্ষিণ এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব, ধারাবাহিক প্রস্তুতি ও প্রতিযোগিতামূলক অভিজ্ঞতা তাদের প্রস্তুত করেছে বড় মঞ্চের জন্য। বাফুফের কাঠামোগত উদ্যোগ, সীমিত অথচ নিবেদিত সহায়তা, এবং কোচের পেশাদার নেতৃত্বের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে নারী ফুটবলারদের অদম্য স্পৃহা, আত্মত্যাগ ও প্রতিনিয়ত শিখে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ়তা।

মায়ানমারের মতো দলকে হারিয়ে এশিয়ান কাপে স্থান করে নেওয়া নিঃসন্দেহে একটি বড় অর্জন। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের ব্যবধান ছিল ৭৩ ধাপ; কিন্তু মাঠে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। ঋতুপর্ণা চাকমার নিখুঁত গোল, দলের পরিকল্পিত আক্রমণ ও সংগঠিত রক্ষণভাগ মায়ানমারকে হার মানিয়েছে শুধু স্কোরলাইনে নয়, মানসিকতায়ও। একজন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য যে কিভাবে পুরো দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারে, তা দেখিয়েছে ঋতুপর্ণা।

নারী দলের এ সাফল্য কাঠামোগত দুর্বলতা, অব্যবস্থাপনা এবং বৈষম্যের বাস্তবতাকেও সামনে এনেছে। ফুটবলারদের বেতন বৈষম্য, সাফ জয়ের পুরস্কার না পাওয়া এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। তাই এ সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি প্রয়োজন নারী ফুটবলের টেকসই উন্নয়নে একটি বিস্তৃত নীতি-কাঠামো। এ কাঠামোয় থাকবে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, সুরক্ষিত পরিবেশ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা ও সুনির্দিষ্ট আর্থিক প্রণোদনা।

এশিয়া কাপ নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে নারী দলের সামনে খুলে গেছে নতুন দুইটি দরজাÑঅলিম্পিক ও বিশ্বকাপ। এশিয়া কাপের ১২ দল থেকে সেরা আটটি দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে, সেখান থেকে চারটি দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে, আর দুটি দল খেলবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে। আমরা তাদের সাফল্য কামনা করি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের জন্য ২০২৫ সালের জুলাই মাস ইতিহাস হয়ে থাকবে। ১৯৮০ সালের পর এই প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি ফুটবল দল এশিয়ান কাপে খেলতে যাচ্ছে। আর এই গৌরব অর্জন করলেন দেশের নারী ফুটবলাররা। তারা যে অসাধ্য সাধন করল, তা দেশের ফুটবল ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। শুধু অংশগ্রহণ নয়, বরং বাছাইপর্বে জয় দিয়ে চূড়ান্ত পর্বে উত্তরণ প্রমাণ করে, তারা এখন আর কেবল সম্ভাবনার নাম নয়Ñ তারা বাংলাদেশের ফুটবলের এক উজ্জ্বল বাস্তবতা।

এই অর্জন কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। গত এক দশকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের বয়সভিত্তিক সাফল্য, দক্ষিণ এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব, ধারাবাহিক প্রস্তুতি ও প্রতিযোগিতামূলক অভিজ্ঞতা তাদের প্রস্তুত করেছে বড় মঞ্চের জন্য। বাফুফের কাঠামোগত উদ্যোগ, সীমিত অথচ নিবেদিত সহায়তা, এবং কোচের পেশাদার নেতৃত্বের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে নারী ফুটবলারদের অদম্য স্পৃহা, আত্মত্যাগ ও প্রতিনিয়ত শিখে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ়তা।

মায়ানমারের মতো দলকে হারিয়ে এশিয়ান কাপে স্থান করে নেওয়া নিঃসন্দেহে একটি বড় অর্জন। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের ব্যবধান ছিল ৭৩ ধাপ; কিন্তু মাঠে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। ঋতুপর্ণা চাকমার নিখুঁত গোল, দলের পরিকল্পিত আক্রমণ ও সংগঠিত রক্ষণভাগ মায়ানমারকে হার মানিয়েছে শুধু স্কোরলাইনে নয়, মানসিকতায়ও। একজন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য যে কিভাবে পুরো দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারে, তা দেখিয়েছে ঋতুপর্ণা।

নারী দলের এ সাফল্য কাঠামোগত দুর্বলতা, অব্যবস্থাপনা এবং বৈষম্যের বাস্তবতাকেও সামনে এনেছে। ফুটবলারদের বেতন বৈষম্য, সাফ জয়ের পুরস্কার না পাওয়া এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। তাই এ সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি প্রয়োজন নারী ফুটবলের টেকসই উন্নয়নে একটি বিস্তৃত নীতি-কাঠামো। এ কাঠামোয় থাকবে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, সুরক্ষিত পরিবেশ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা ও সুনির্দিষ্ট আর্থিক প্রণোদনা।

এশিয়া কাপ নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে নারী দলের সামনে খুলে গেছে নতুন দুইটি দরজাÑঅলিম্পিক ও বিশ্বকাপ। এশিয়া কাপের ১২ দল থেকে সেরা আটটি দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে, সেখান থেকে চারটি দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে, আর দুটি দল খেলবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে। আমরা তাদের সাফল্য কামনা করি।

back to top