আষাঢ়ের মৌসুমে ভারি বৃষ্টি একটি স্বাভাবিক জলবায়ু বৈশিষ্ট্য। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত পার্বত্য অঞ্চলে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা উল্লেখ করা হয়েছে।
ভূমিধস হলে মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। ঘরবাড়ি ধসে পড়ে, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ ব্যাহত হয়। অনেক সময় উদ্ধার কাজও কঠিন হয়ে পড়ে। অতীতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় এমন ঘটনার দৃষ্টান্ত রয়েছে।
ভূমিধসের অন্যতম কারণ হচ্ছে পাহাড় কাটা। এছাড়া অপরিকল্পিত বসতি গড়ে তোলা, জলাধার ভরাট, বন উজাড় এবং পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকাও ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এই দুর্যোগ প্রতিরোধে শুধু আবহাওয়ার সতর্কবার্তা যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন কার্যকর প্রস্তুতি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
আমরা বলতে চাই, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া জরুরি। স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত এই কাজ নিশ্চিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধ রাখতে হবে। এ বিষয়ে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ জরুরি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের ওপর জনগণের আস্থা বাড়াতে হবে। বার্তাগুলো সহজ ভাষায় ও সময়মতো প্রচার করতে হবে। মিডিয়া, স্থানীয় প্রশাসন ও সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয় দরকার।
পাহাড় কাটা এবং গাছপালা ধ্বংস বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং স্থানীয় সরকারকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। বিশেষ করে নগর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি। জলাবদ্ধতা ভূমিধসের পরিণতি আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।
ভূমিধস শুধু একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এটি পরিবেশ ধ্বংসের ফল। সঠিক পদক্ষেপ না নিলে এই বিপদ প্রতি বছরই ফিরে আসবে। জীবন ও সম্পদের ক্ষতি ঠেকাতে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। প্রস্তুতি, সচেতনতা ও সমন্বিত প্রয়াসই পারে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনতে।
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
আষাঢ়ের মৌসুমে ভারি বৃষ্টি একটি স্বাভাবিক জলবায়ু বৈশিষ্ট্য। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত পার্বত্য অঞ্চলে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা উল্লেখ করা হয়েছে।
ভূমিধস হলে মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। ঘরবাড়ি ধসে পড়ে, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ ব্যাহত হয়। অনেক সময় উদ্ধার কাজও কঠিন হয়ে পড়ে। অতীতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় এমন ঘটনার দৃষ্টান্ত রয়েছে।
ভূমিধসের অন্যতম কারণ হচ্ছে পাহাড় কাটা। এছাড়া অপরিকল্পিত বসতি গড়ে তোলা, জলাধার ভরাট, বন উজাড় এবং পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকাও ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এই দুর্যোগ প্রতিরোধে শুধু আবহাওয়ার সতর্কবার্তা যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন কার্যকর প্রস্তুতি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।
আমরা বলতে চাই, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া জরুরি। স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত এই কাজ নিশ্চিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধ রাখতে হবে। এ বিষয়ে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ জরুরি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের ওপর জনগণের আস্থা বাড়াতে হবে। বার্তাগুলো সহজ ভাষায় ও সময়মতো প্রচার করতে হবে। মিডিয়া, স্থানীয় প্রশাসন ও সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয় দরকার।
পাহাড় কাটা এবং গাছপালা ধ্বংস বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং স্থানীয় সরকারকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। বিশেষ করে নগর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি। জলাবদ্ধতা ভূমিধসের পরিণতি আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।
ভূমিধস শুধু একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এটি পরিবেশ ধ্বংসের ফল। সঠিক পদক্ষেপ না নিলে এই বিপদ প্রতি বছরই ফিরে আসবে। জীবন ও সম্পদের ক্ষতি ঠেকাতে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। প্রস্তুতি, সচেতনতা ও সমন্বিত প্রয়াসই পারে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনতে।