alt

সম্পাদকীয়

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

: মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

আষাঢ়ের মৌসুমে ভারি বৃষ্টি একটি স্বাভাবিক জলবায়ু বৈশিষ্ট্য। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত পার্বত্য অঞ্চলে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা উল্লেখ করা হয়েছে।

ভূমিধস হলে মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। ঘরবাড়ি ধসে পড়ে, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ ব্যাহত হয়। অনেক সময় উদ্ধার কাজও কঠিন হয়ে পড়ে। অতীতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় এমন ঘটনার দৃষ্টান্ত রয়েছে।

ভূমিধসের অন্যতম কারণ হচ্ছে পাহাড় কাটা। এছাড়া অপরিকল্পিত বসতি গড়ে তোলা, জলাধার ভরাট, বন উজাড় এবং পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকাও ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এই দুর্যোগ প্রতিরোধে শুধু আবহাওয়ার সতর্কবার্তা যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন কার্যকর প্রস্তুতি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।

আমরা বলতে চাই, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া জরুরি। স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত এই কাজ নিশ্চিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধ রাখতে হবে। এ বিষয়ে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ জরুরি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের ওপর জনগণের আস্থা বাড়াতে হবে। বার্তাগুলো সহজ ভাষায় ও সময়মতো প্রচার করতে হবে। মিডিয়া, স্থানীয় প্রশাসন ও সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয় দরকার।

পাহাড় কাটা এবং গাছপালা ধ্বংস বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং স্থানীয় সরকারকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। বিশেষ করে নগর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি। জলাবদ্ধতা ভূমিধসের পরিণতি আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।

ভূমিধস শুধু একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এটি পরিবেশ ধ্বংসের ফল। সঠিক পদক্ষেপ না নিলে এই বিপদ প্রতি বছরই ফিরে আসবে। জীবন ও সম্পদের ক্ষতি ঠেকাতে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। প্রস্তুতি, সচেতনতা ও সমন্বিত প্রয়াসই পারে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনতে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

আষাঢ়ের মৌসুমে ভারি বৃষ্টি একটি স্বাভাবিক জলবায়ু বৈশিষ্ট্য। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত পার্বত্য অঞ্চলে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা উল্লেখ করা হয়েছে।

ভূমিধস হলে মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। ঘরবাড়ি ধসে পড়ে, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ ব্যাহত হয়। অনেক সময় উদ্ধার কাজও কঠিন হয়ে পড়ে। অতীতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় এমন ঘটনার দৃষ্টান্ত রয়েছে।

ভূমিধসের অন্যতম কারণ হচ্ছে পাহাড় কাটা। এছাড়া অপরিকল্পিত বসতি গড়ে তোলা, জলাধার ভরাট, বন উজাড় এবং পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকাও ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এই দুর্যোগ প্রতিরোধে শুধু আবহাওয়ার সতর্কবার্তা যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন কার্যকর প্রস্তুতি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা।

আমরা বলতে চাই, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া জরুরি। স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত এই কাজ নিশ্চিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধ রাখতে হবে। এ বিষয়ে কঠোর আইন প্রণয়ন এবং প্রয়োগ জরুরি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের ওপর জনগণের আস্থা বাড়াতে হবে। বার্তাগুলো সহজ ভাষায় ও সময়মতো প্রচার করতে হবে। মিডিয়া, স্থানীয় প্রশাসন ও সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয় দরকার।

পাহাড় কাটা এবং গাছপালা ধ্বংস বন্ধে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং স্থানীয় সরকারকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। বিশেষ করে নগর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি। জলাবদ্ধতা ভূমিধসের পরিণতি আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।

ভূমিধস শুধু একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এটি পরিবেশ ধ্বংসের ফল। সঠিক পদক্ষেপ না নিলে এই বিপদ প্রতি বছরই ফিরে আসবে। জীবন ও সম্পদের ক্ষতি ঠেকাতে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। প্রস্তুতি, সচেতনতা ও সমন্বিত প্রয়াসই পারে এই ঝুঁকি কমিয়ে আনতে।

back to top