alt

মতামত » সম্পাদকীয়

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

: সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ কারণে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা শত শত মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিশেষ করে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের রোগীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের অনেকের পক্ষেই বেসরকারি চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হয় না।

জীবননগর উপজেলার দুই লাখেরও বেশি মানুষের চিকিৎসার দায়িত্ব এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী মহেশপুর, দামুড়হুদা ও চুয়াডাঙ্গা সদর থেকেও অনেকে সেখানে চিকিৎসা নিতে যান। কিন্তু এত বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন চিকিৎসক। চারজন কনসালটেন্টের মধ্যে একজনের পদ শূন্য, আর দুইজন ঢাকায় সংযুক্তিতে থাকায় কার্যত তারা দায়িত্ব পালন করছেন না। এছাড়া ১২৭ জন অনুমোদিত জনবলের মধ্যে ৩৮টি পদ শূন্য।

সাম্প্রতিক সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। রোগীর চাপ কয়েকগুণ বেড়ে গেলেও ডাক্তার সংকটের কারণে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেক রোগী চিকিৎসা পাচ্ছেন না। কেউ কেউ হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ৬০০ রোগীকে সেবা দেয়া হচ্ছে, যা বর্তমান জনবল দিয়ে সামলানো কঠিন। কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রোগীর চাপ আরও বেড়েছে। সরকার নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করলেও তা কার্যকর হতে সময় লাগবে।

জনস্বাস্থ্য একটি মৌলিক অধিকার। একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও জনবল নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। জীবননগরের এই সংকট কেবল স্থানীয় সমস্যা নয়। এটি দেশের স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক দুরবস্থার প্রতিচ্ছবি। এখনই জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগ এবং অবকাঠামোগত সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। নইলে গ্রামের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অধিকার কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এ কারণে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা শত শত মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। বিশেষ করে গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের রোগীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের অনেকের পক্ষেই বেসরকারি চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হয় না।

জীবননগর উপজেলার দুই লাখেরও বেশি মানুষের চিকিৎসার দায়িত্ব এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওপর। এর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী মহেশপুর, দামুড়হুদা ও চুয়াডাঙ্গা সদর থেকেও অনেকে সেখানে চিকিৎসা নিতে যান। কিন্তু এত বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র দুইজন চিকিৎসক। চারজন কনসালটেন্টের মধ্যে একজনের পদ শূন্য, আর দুইজন ঢাকায় সংযুক্তিতে থাকায় কার্যত তারা দায়িত্ব পালন করছেন না। এছাড়া ১২৭ জন অনুমোদিত জনবলের মধ্যে ৩৮টি পদ শূন্য।

সাম্প্রতিক সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। রোগীর চাপ কয়েকগুণ বেড়ে গেলেও ডাক্তার সংকটের কারণে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেক রোগী চিকিৎসা পাচ্ছেন না। কেউ কেউ হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ৬০০ রোগীকে সেবা দেয়া হচ্ছে, যা বর্তমান জনবল দিয়ে সামলানো কঠিন। কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় রোগীর চাপ আরও বেড়েছে। সরকার নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করলেও তা কার্যকর হতে সময় লাগবে।

জনস্বাস্থ্য একটি মৌলিক অধিকার। একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও জনবল নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। জীবননগরের এই সংকট কেবল স্থানীয় সমস্যা নয়। এটি দেশের স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক দুরবস্থার প্রতিচ্ছবি। এখনই জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগ এবং অবকাঠামোগত সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। নইলে গ্রামের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অধিকার কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

back to top