alt

মতামত » সম্পাদকীয়

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

: শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বগুড়ার আদমদীঘিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৪ বস্তা চালসহ মোট ১২০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে একজন ডিলারের গুদামঘর সিলগালা করা হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচারের ঘটনা এই সুবিধার অপব্যবহারের একটি খারাপ দৃষ্টান্ত। আদমদীঘির ঘটনায় স্থানীয়রা বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে ৩৪ বস্তা চালবাহী অটোরিকশা আটক করে প্রশাসনকে অবহিত করেন। এরপর প্রশাসনের তল্লাশিতে ডিলারের গুদাম থেকে আরও ৮৬ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা এবং প্রশাসনের তৎপরতা ছাড়া এ ধরনের অনিয়ম ধরা কঠিন হতে পারত।

তবে, প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার গতি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনার বিষয়ে অবহিত করার প্রায় তিন ঘণ্টা পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ ধরনের ঘটনায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে অপরাধীরা প্রমাণ নষ্ট করার সুযোগ পেতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

আমাদের প্রত্যাশা, শুধু চাল জব্দ করেই দায় সারা হবে না। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিলার নিয়োগ, পর্যবেক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে। নইলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি দুর্নীতির ফাঁদেই আটকে থাকবে, আর প্রকৃত সুবিধাভোগীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচারের ঘটনা শুধু আদমদীঘির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি বৃহত্তর সমস্যা। দেশের অনেক স্থানেই এমন ঘটনা ঘটে। এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বগুড়ার আদমদীঘিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৪ বস্তা চালসহ মোট ১২০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে একজন ডিলারের গুদামঘর সিলগালা করা হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচারের ঘটনা এই সুবিধার অপব্যবহারের একটি খারাপ দৃষ্টান্ত। আদমদীঘির ঘটনায় স্থানীয়রা বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে ৩৪ বস্তা চালবাহী অটোরিকশা আটক করে প্রশাসনকে অবহিত করেন। এরপর প্রশাসনের তল্লাশিতে ডিলারের গুদাম থেকে আরও ৮৬ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা এবং প্রশাসনের তৎপরতা ছাড়া এ ধরনের অনিয়ম ধরা কঠিন হতে পারত।

তবে, প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার গতি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনার বিষয়ে অবহিত করার প্রায় তিন ঘণ্টা পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ ধরনের ঘটনায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে অপরাধীরা প্রমাণ নষ্ট করার সুযোগ পেতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

আমাদের প্রত্যাশা, শুধু চাল জব্দ করেই দায় সারা হবে না। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিলার নিয়োগ, পর্যবেক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে। নইলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি দুর্নীতির ফাঁদেই আটকে থাকবে, আর প্রকৃত সুবিধাভোগীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচারের ঘটনা শুধু আদমদীঘির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি বৃহত্তর সমস্যা। দেশের অনেক স্থানেই এমন ঘটনা ঘটে। এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

back to top