বগুড়ার আদমদীঘিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৪ বস্তা চালসহ মোট ১২০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে একজন ডিলারের গুদামঘর সিলগালা করা হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচারের ঘটনা এই সুবিধার অপব্যবহারের একটি খারাপ দৃষ্টান্ত। আদমদীঘির ঘটনায় স্থানীয়রা বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে ৩৪ বস্তা চালবাহী অটোরিকশা আটক করে প্রশাসনকে অবহিত করেন। এরপর প্রশাসনের তল্লাশিতে ডিলারের গুদাম থেকে আরও ৮৬ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা এবং প্রশাসনের তৎপরতা ছাড়া এ ধরনের অনিয়ম ধরা কঠিন হতে পারত।
তবে, প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার গতি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনার বিষয়ে অবহিত করার প্রায় তিন ঘণ্টা পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ ধরনের ঘটনায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে অপরাধীরা প্রমাণ নষ্ট করার সুযোগ পেতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
আমাদের প্রত্যাশা, শুধু চাল জব্দ করেই দায় সারা হবে না। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিলার নিয়োগ, পর্যবেক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে। নইলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি দুর্নীতির ফাঁদেই আটকে থাকবে, আর প্রকৃত সুবিধাভোগীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচারের ঘটনা শুধু আদমদীঘির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি বৃহত্তর সমস্যা। দেশের অনেক স্থানেই এমন ঘটনা ঘটে। এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বগুড়ার আদমদীঘিতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩৪ বস্তা চালসহ মোট ১২০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। অভিযানে একজন ডিলারের গুদামঘর সিলগালা করা হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচারের ঘটনা এই সুবিধার অপব্যবহারের একটি খারাপ দৃষ্টান্ত। আদমদীঘির ঘটনায় স্থানীয়রা বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কে ৩৪ বস্তা চালবাহী অটোরিকশা আটক করে প্রশাসনকে অবহিত করেন। এরপর প্রশাসনের তল্লাশিতে ডিলারের গুদাম থেকে আরও ৮৬ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা এবং প্রশাসনের তৎপরতা ছাড়া এ ধরনের অনিয়ম ধরা কঠিন হতে পারত।
তবে, প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার গতি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। ঘটনার বিষয়ে অবহিত করার প্রায় তিন ঘণ্টা পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ ধরনের ঘটনায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে অপরাধীরা প্রমাণ নষ্ট করার সুযোগ পেতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
আমাদের প্রত্যাশা, শুধু চাল জব্দ করেই দায় সারা হবে না। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিলার নিয়োগ, পর্যবেক্ষণ ও সরবরাহ ব্যবস্থায় সংস্কার আনতে হবে। নইলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি দুর্নীতির ফাঁদেই আটকে থাকবে, আর প্রকৃত সুবিধাভোগীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচারের ঘটনা শুধু আদমদীঘির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি বৃহত্তর সমস্যা। দেশের অনেক স্থানেই এমন ঘটনা ঘটে। এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়াতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।