চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশে ৩৯০টি কন্যাশিশু ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম আট মাসে ২২৪টি কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। অর্থাৎ এই অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে। ধর্ষণ বা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ১৫টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ১৩৪টি কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় চার গুণেরও বেশি। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের এক প্রতিবেদনে কন্যাশিশু নিপীড়নের এই উদ্বেগজনক চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
শুধু ধর্ষণ নয়, একই সময়ে ১০৪ কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে, ৮৩ শিশু খুন হয়েছে। খুনের কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে ধর্ষণ, যৌতুক, পারিবারিক নির্যাতন, প্রেমজনিত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতা। অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে ৩৪ কন্যাশিশু। যৌন হয়রানির ঘটনাও বেড়েছে উদ্বেগজনকভাবে। জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৫৪ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনের কঠোর প্রয়োগ না হওয়ায় দেশে বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানি ও সাইবার বুলিং বেড়েছে। পরিবার ও সমাজে নৈতিক অবক্ষয়, অনলাইনে পর্নোগ্রাফি, মাদকাসক্তি এবং নারী-শিশুবিষয়ক অপরাধে দায়মুক্তির সংস্কৃতি পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের ধর্ষণ মামলার বিশ্লেষণে দেখা গেছেÑ অভিযুক্তদের মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি মাদকাসক্ত এবং ২৭ শতাংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ভুক্তভোগীদের ৭৩ শতাংশই শিশু ও ছাত্রী। অনেক ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ভুক্তভোগীর আত্মীয় বা পরিচিতজন। অর্থাৎ, শিশুরা যাদের ভরসা করে, তারাই হয়ে উঠছে তাদের নির্যাতনকারী।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ১১ দফা সুপারিশ করেছে। সুপারিশগুলো সংশ্লিষ্টরা বিবেচনা করে দেখবে সেটা আমাদের আশা। যে কোনো অপরাধের মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। শুধু আইন থাকলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। আইনের বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হয়। কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। প্রতিটি ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশে ৩৯০টি কন্যাশিশু ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম আট মাসে ২২৪টি কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। অর্থাৎ এই অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে। ধর্ষণ বা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ১৫টি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ১৩৪টি কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় চার গুণেরও বেশি। জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের এক প্রতিবেদনে কন্যাশিশু নিপীড়নের এই উদ্বেগজনক চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
শুধু ধর্ষণ নয়, একই সময়ে ১০৪ কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে, ৮৩ শিশু খুন হয়েছে। খুনের কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে ধর্ষণ, যৌতুক, পারিবারিক নির্যাতন, প্রেমজনিত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতা। অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়েছে ৩৪ কন্যাশিশু। যৌন হয়রানির ঘটনাও বেড়েছে উদ্বেগজনকভাবে। জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৫৪ জন কন্যাশিশু যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনের কঠোর প্রয়োগ না হওয়ায় দেশে বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানি ও সাইবার বুলিং বেড়েছে। পরিবার ও সমাজে নৈতিক অবক্ষয়, অনলাইনে পর্নোগ্রাফি, মাদকাসক্তি এবং নারী-শিশুবিষয়ক অপরাধে দায়মুক্তির সংস্কৃতি পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের ধর্ষণ মামলার বিশ্লেষণে দেখা গেছেÑ অভিযুক্তদের মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি মাদকাসক্ত এবং ২৭ শতাংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ভুক্তভোগীদের ৭৩ শতাংশই শিশু ও ছাত্রী। অনেক ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ভুক্তভোগীর আত্মীয় বা পরিচিতজন। অর্থাৎ, শিশুরা যাদের ভরসা করে, তারাই হয়ে উঠছে তাদের নির্যাতনকারী।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম ১১ দফা সুপারিশ করেছে। সুপারিশগুলো সংশ্লিষ্টরা বিবেচনা করে দেখবে সেটা আমাদের আশা। যে কোনো অপরাধের মামলার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা জরুরি। শুধু আইন থাকলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। আইনের বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হয়। কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। প্রতিটি ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে হবে।