দেশে এ বছর আলু উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু তাতে কৃষকের ভাগ্য খোলেনি। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ এতটাই বেশি যে, আলুর দাম কমতে কমতে প্রতি কেজি ২০ টাকার নিচে নেমে গেছে। এক মাস আগেও যেখানে আলু বিক্রি হতো ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, এখন তা ১৫ টাকার আশেপাশে। পাইকারি বাজারে অবস্থা আরও শোচনীয়। প্রতি কেজি আলু পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকায়। অথচ কৃষকের গড় উৎপাদন খরচ কেজিতে ১৪ থেকে ২০ টাকা। উত্তরাঞ্চলে উৎপাদন খরচ ২৫ টাকারও বেশি। ফলে প্রায় সব কৃষকই এখন লোকসানের মুখে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে দেশে এক কোটি ১৫ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। কিন্তু দেশের বার্ষিক চাহিদা মাত্র ৯০ লাখ টন। ফলে প্রায় ২৫ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থেকে গেছে। এর বড় একটি অংশ কোল্ড স্টোরেজে আটকে আছে, আর সময় যত যাচ্ছে, সংরক্ষণের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে।
কৃষকরা আশা করেছিলেন, সরকার ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেজিপ্রতি ২২ টাকায় ৫০ হাজার টন আলু কেনা হবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বাজারে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ আলু ছাড়া হচ্ছে, যার চাপেই দাম আরও কমছে।
আলু শুধু একটি ফসল নয়, গ্রামীণ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। রপ্তানি সীমিত, প্রক্রিয়াজাত শিল্প দুর্বল, আর সংরক্ষণ ব্যবস্থাও অপর্যাপ্ত। ফলে সামান্য উদ্বৃত্তই কৃষকদের বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কৃষকেরা বলছেন, এভাবে দাম পড়ে গেলে তাদের পক্ষে ভবিষ্যতে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।
কৃষকদের লোকসান কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে। কোল্ড স্টোরেজে ন্যূনতম দর ২২ টাকা কেজিতে বাস্তবায়ন করতে হবে। উদ্বৃত্ত আলু রপ্তানি করা যায় কিনা সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে হবে।
সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
দেশে এ বছর আলু উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু তাতে কৃষকের ভাগ্য খোলেনি। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ এতটাই বেশি যে, আলুর দাম কমতে কমতে প্রতি কেজি ২০ টাকার নিচে নেমে গেছে। এক মাস আগেও যেখানে আলু বিক্রি হতো ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, এখন তা ১৫ টাকার আশেপাশে। পাইকারি বাজারে অবস্থা আরও শোচনীয়। প্রতি কেজি আলু পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে ১২ টাকায়। অথচ কৃষকের গড় উৎপাদন খরচ কেজিতে ১৪ থেকে ২০ টাকা। উত্তরাঞ্চলে উৎপাদন খরচ ২৫ টাকারও বেশি। ফলে প্রায় সব কৃষকই এখন লোকসানের মুখে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, গত মৌসুমে দেশে এক কোটি ১৫ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ। কিন্তু দেশের বার্ষিক চাহিদা মাত্র ৯০ লাখ টন। ফলে প্রায় ২৫ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত থেকে গেছে। এর বড় একটি অংশ কোল্ড স্টোরেজে আটকে আছে, আর সময় যত যাচ্ছে, সংরক্ষণের মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে।
কৃষকরা আশা করেছিলেন, সরকার ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেজিপ্রতি ২২ টাকায় ৫০ হাজার টন আলু কেনা হবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বাজারে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ আলু ছাড়া হচ্ছে, যার চাপেই দাম আরও কমছে।
আলু শুধু একটি ফসল নয়, গ্রামীণ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। রপ্তানি সীমিত, প্রক্রিয়াজাত শিল্প দুর্বল, আর সংরক্ষণ ব্যবস্থাও অপর্যাপ্ত। ফলে সামান্য উদ্বৃত্তই কৃষকদের বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কৃষকেরা বলছেন, এভাবে দাম পড়ে গেলে তাদের পক্ষে ভবিষ্যতে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।
কৃষকদের লোকসান কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে। কোল্ড স্টোরেজে ন্যূনতম দর ২২ টাকা কেজিতে বাস্তবায়ন করতে হবে। উদ্বৃত্ত আলু রপ্তানি করা যায় কিনা সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে হবে।