দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গত দুই সপ্তাহে ডায়রিয়ায় মারা গেছে ২১ জন। এর মধ্যে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জেই মারা গেছে ১২ জন। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে গড়ে দেড় হাজার মানুষ। গত এক সপ্তাহে সেখানে আট হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। চাহিদা অনুযায়ী আইভি স্যালাইনও মিলছে না।
নভেল করোনার সংক্রমণের মধ্যে ডায়রিয়ার প্রকোপের খবরটি উদ্বেগজনক। করোনার সংক্রমণ বাড়ায় দেশের সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানই চাপের মুখে আছে। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলো সামলাতে হচ্ছে বাড়তি চাপ। ডায়রিয়ার অনেক রোগীকেই হাসপাতালে জায়গা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে অনেক মানুষই বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে। ডায়রিয়ায় যারা মারা গেছে তাদের একজন ছাড়া বাকি সবাই বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিল বলে জানা গেছে।
দক্ষিণাঞ্চলের কোন কোন এলাকার ঘরে ঘরে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে বলেছে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। শুকনো মৌসুমে প্রতি বছরই এ অঞ্চলে কমবেশি ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে দেখা যায়। কিন্তু এবার আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি হলো কেন সেটা অনুসন্ধান করে দেখতে হবে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। গুরুতর অসুস্থরা যেন হাসপাতালে চিকিৎসা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালে আইভি স্যালাইনের সংকট দূর করতে হবে অবিলম্বে। বাড়িতে যারা চিকিৎসা নিচ্ছে তারা যেন নিয়ম মেনে খাবার স্যালাইন খায়, বিশুদ্ধ পানি পান করে সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আক্রান্ত এলাকার মানুষ যেসব উৎস থেকে পানি পায় তা কতটা নিরাপদ সেটা দেখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দক্ষিণাঞ্চলে বসবাসরতদের অনেকে দৈনন্দিন কাজে খালের পানি ব্যবহার করে। এমনকি তারা সকালে ভাতের সঙ্গে খালের পানি মিশিয়ে খায় বলে জানা যায়। ১ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত বরগুনার কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের নিয়ে সম্প্রতি সমীক্ষা চালিয়েছে আইইডিসিআরের একটি প্রতিনিধি দল। সমীক্ষায় দেখা গেছে, সেখানে দৈনন্দিন গৃহস্থালি কাজে ৭১ শতাংশ মানুষ খালের পানি ব্যবহার করে।
পানি পান ও গৃহস্থালিসহ সব কাজে মানুষ যেন নলকূপের পানি ব্যবহার করে সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। গভীর নলকূপের সংখ্যা বাড়িয়ে মানুষের বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। নলকূপ ভিন্ন অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া পানি ফুটিয়ে অথবা বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়ে নিরাপদ করে ব্যবহার করা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গত দুই সপ্তাহে ডায়রিয়ায় মারা গেছে ২১ জন। এর মধ্যে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জেই মারা গেছে ১২ জন। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে গড়ে দেড় হাজার মানুষ। গত এক সপ্তাহে সেখানে আট হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। চাহিদা অনুযায়ী আইভি স্যালাইনও মিলছে না।
নভেল করোনার সংক্রমণের মধ্যে ডায়রিয়ার প্রকোপের খবরটি উদ্বেগজনক। করোনার সংক্রমণ বাড়ায় দেশের সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানই চাপের মুখে আছে। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের হাসপাতালগুলো সামলাতে হচ্ছে বাড়তি চাপ। ডায়রিয়ার অনেক রোগীকেই হাসপাতালে জায়গা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে অনেক মানুষই বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছে। ডায়রিয়ায় যারা মারা গেছে তাদের একজন ছাড়া বাকি সবাই বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছিল বলে জানা গেছে।
দক্ষিণাঞ্চলের কোন কোন এলাকার ঘরে ঘরে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে বলেছে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। শুকনো মৌসুমে প্রতি বছরই এ অঞ্চলে কমবেশি ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটতে দেখা যায়। কিন্তু এবার আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেশি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ডায়রিয়া পরিস্থিতির অবনতি হলো কেন সেটা অনুসন্ধান করে দেখতে হবে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। গুরুতর অসুস্থরা যেন হাসপাতালে চিকিৎসা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালে আইভি স্যালাইনের সংকট দূর করতে হবে অবিলম্বে। বাড়িতে যারা চিকিৎসা নিচ্ছে তারা যেন নিয়ম মেনে খাবার স্যালাইন খায়, বিশুদ্ধ পানি পান করে সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আক্রান্ত এলাকার মানুষ যেসব উৎস থেকে পানি পায় তা কতটা নিরাপদ সেটা দেখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দক্ষিণাঞ্চলে বসবাসরতদের অনেকে দৈনন্দিন কাজে খালের পানি ব্যবহার করে। এমনকি তারা সকালে ভাতের সঙ্গে খালের পানি মিশিয়ে খায় বলে জানা যায়। ১ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত বরগুনার কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের নিয়ে সম্প্রতি সমীক্ষা চালিয়েছে আইইডিসিআরের একটি প্রতিনিধি দল। সমীক্ষায় দেখা গেছে, সেখানে দৈনন্দিন গৃহস্থালি কাজে ৭১ শতাংশ মানুষ খালের পানি ব্যবহার করে।
পানি পান ও গৃহস্থালিসহ সব কাজে মানুষ যেন নলকূপের পানি ব্যবহার করে সে বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। গভীর নলকূপের সংখ্যা বাড়িয়ে মানুষের বিশুদ্ধ পানি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। নলকূপ ভিন্ন অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া পানি ফুটিয়ে অথবা বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিয়ে নিরাপদ করে ব্যবহার করা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।