alt

সম্পাদকীয়

উপকূল এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দূর করতে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

: রোববার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে সাতক্ষীরার আশাশুনি সদরের বানিভাসি মানুষেরা। বাড়ির আশপাশে শুধুই লোনা আর বিষাক্ত পানি। সুপেয় পানি নেই। নদী ভাঙনের ফলে সাপ্লাই পানির পাইপ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সমস্যাটা আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। নারী-পুরুষ এমনকি শিশুরা পর্যন্ত পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে মাইলের পর মাইল রাস্তা পাড়ি জমাচ্ছে।

প্রাকৃতিক উৎসগুলো শুকিয়ে যাওয়া, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গড়ে ওঠা জলাধারগুলো চাহিদা পূরণে সক্ষম না হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রলয়ংকরী আম্পানে এই এলাকার প্রাকৃতিক পানির জলাধারসহ অসংখ্য গভীর, অগভীর নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিউবওয়েলের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ ও আয়রন, যা খাওয়ার অযোগ্য। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এ সমস্যা মানুষের দৈনন্দিন ও প্রাত্যহিক জীবনের ওপর প্রভাব ফেলছে।

কোনো এলাকায় খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিলে তা শুধু খাওয়ার পানির সমস্যায় আটকে থাকে না। আরও বড় বড় সংকটের কারণ হয়ে ওঠে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ে। স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ দিকগুলো সরকারের নীতিনির্ধারকদের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। এ সংকট থেকে সেখানকার মানুষকে কীভাবে নিষ্কৃতি দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। এজন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দরকার। বর্তমানে বৃষ্টির পানি জলাধারে সংরক্ষণ করে ও পুকুরের পানি ফিল্টারিং করেই মূলত এলাকাবাসী পানির চাহিদা মেটাচ্ছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সেই পানির পরিমাণ খুবই অপ্রতুল। সংকট নিরসনে গভীর নলকূপ এবং লবণাক্ততা-নিরোধ প্ল্যান্ট বসাতে হবে। এলাকার মিঠা পানির পুকুরগুলো সংস্কার করে সেই পুকুর যাতে কোনভাবেই লোনাপানিতে প্লাবিত না হয়, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

বড় জলাধারের অভাবে অনেক পরিবারের পক্ষে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। সরকারিভাবে যদি বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য বড় বড় জলাধার তৈরি করে এবং পানি শোধনের বড় কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়, তাহলে তাদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হতে পারে। সরকারিভাবে এলাকাবাসীর মধ্যে ট্যাংক সরবরাহ করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে। এ কার্যক্রম জোরদার করা গেলে জনদুর্ভোগ অনেকখানি কমে যাবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

উপকূল এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দূর করতে চাই সমন্বিত উদ্যোগ

রোববার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে সাতক্ষীরার আশাশুনি সদরের বানিভাসি মানুষেরা। বাড়ির আশপাশে শুধুই লোনা আর বিষাক্ত পানি। সুপেয় পানি নেই। নদী ভাঙনের ফলে সাপ্লাই পানির পাইপ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সমস্যাটা আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। নারী-পুরুষ এমনকি শিশুরা পর্যন্ত পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে মাইলের পর মাইল রাস্তা পাড়ি জমাচ্ছে।

প্রাকৃতিক উৎসগুলো শুকিয়ে যাওয়া, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গড়ে ওঠা জলাধারগুলো চাহিদা পূরণে সক্ষম না হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রলয়ংকরী আম্পানে এই এলাকার প্রাকৃতিক পানির জলাধারসহ অসংখ্য গভীর, অগভীর নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিউবওয়েলের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ ও আয়রন, যা খাওয়ার অযোগ্য। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এ সমস্যা মানুষের দৈনন্দিন ও প্রাত্যহিক জীবনের ওপর প্রভাব ফেলছে।

কোনো এলাকায় খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিলে তা শুধু খাওয়ার পানির সমস্যায় আটকে থাকে না। আরও বড় বড় সংকটের কারণ হয়ে ওঠে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ে। স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ দিকগুলো সরকারের নীতিনির্ধারকদের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। এ সংকট থেকে সেখানকার মানুষকে কীভাবে নিষ্কৃতি দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। এজন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দরকার। বর্তমানে বৃষ্টির পানি জলাধারে সংরক্ষণ করে ও পুকুরের পানি ফিল্টারিং করেই মূলত এলাকাবাসী পানির চাহিদা মেটাচ্ছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সেই পানির পরিমাণ খুবই অপ্রতুল। সংকট নিরসনে গভীর নলকূপ এবং লবণাক্ততা-নিরোধ প্ল্যান্ট বসাতে হবে। এলাকার মিঠা পানির পুকুরগুলো সংস্কার করে সেই পুকুর যাতে কোনভাবেই লোনাপানিতে প্লাবিত না হয়, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

বড় জলাধারের অভাবে অনেক পরিবারের পক্ষে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। সরকারিভাবে যদি বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য বড় বড় জলাধার তৈরি করে এবং পানি শোধনের বড় কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়, তাহলে তাদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হতে পারে। সরকারিভাবে এলাকাবাসীর মধ্যে ট্যাংক সরবরাহ করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে। এ কার্যক্রম জোরদার করা গেলে জনদুর্ভোগ অনেকখানি কমে যাবে।

back to top