সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে সাতক্ষীরার আশাশুনি সদরের বানিভাসি মানুষেরা। বাড়ির আশপাশে শুধুই লোনা আর বিষাক্ত পানি। সুপেয় পানি নেই। নদী ভাঙনের ফলে সাপ্লাই পানির পাইপ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সমস্যাটা আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। নারী-পুরুষ এমনকি শিশুরা পর্যন্ত পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে মাইলের পর মাইল রাস্তা পাড়ি জমাচ্ছে।
প্রাকৃতিক উৎসগুলো শুকিয়ে যাওয়া, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গড়ে ওঠা জলাধারগুলো চাহিদা পূরণে সক্ষম না হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রলয়ংকরী আম্পানে এই এলাকার প্রাকৃতিক পানির জলাধারসহ অসংখ্য গভীর, অগভীর নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিউবওয়েলের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ ও আয়রন, যা খাওয়ার অযোগ্য। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এ সমস্যা মানুষের দৈনন্দিন ও প্রাত্যহিক জীবনের ওপর প্রভাব ফেলছে।
কোনো এলাকায় খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিলে তা শুধু খাওয়ার পানির সমস্যায় আটকে থাকে না। আরও বড় বড় সংকটের কারণ হয়ে ওঠে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ে। স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ দিকগুলো সরকারের নীতিনির্ধারকদের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। এ সংকট থেকে সেখানকার মানুষকে কীভাবে নিষ্কৃতি দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। এজন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দরকার। বর্তমানে বৃষ্টির পানি জলাধারে সংরক্ষণ করে ও পুকুরের পানি ফিল্টারিং করেই মূলত এলাকাবাসী পানির চাহিদা মেটাচ্ছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সেই পানির পরিমাণ খুবই অপ্রতুল। সংকট নিরসনে গভীর নলকূপ এবং লবণাক্ততা-নিরোধ প্ল্যান্ট বসাতে হবে। এলাকার মিঠা পানির পুকুরগুলো সংস্কার করে সেই পুকুর যাতে কোনভাবেই লোনাপানিতে প্লাবিত না হয়, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
বড় জলাধারের অভাবে অনেক পরিবারের পক্ষে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। সরকারিভাবে যদি বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য বড় বড় জলাধার তৈরি করে এবং পানি শোধনের বড় কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়, তাহলে তাদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হতে পারে। সরকারিভাবে এলাকাবাসীর মধ্যে ট্যাংক সরবরাহ করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে। এ কার্যক্রম জোরদার করা গেলে জনদুর্ভোগ অনেকখানি কমে যাবে।
রোববার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে সাতক্ষীরার আশাশুনি সদরের বানিভাসি মানুষেরা। বাড়ির আশপাশে শুধুই লোনা আর বিষাক্ত পানি। সুপেয় পানি নেই। নদী ভাঙনের ফলে সাপ্লাই পানির পাইপ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সমস্যাটা আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। নারী-পুরুষ এমনকি শিশুরা পর্যন্ত পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে মাইলের পর মাইল রাস্তা পাড়ি জমাচ্ছে।
প্রাকৃতিক উৎসগুলো শুকিয়ে যাওয়া, সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গড়ে ওঠা জলাধারগুলো চাহিদা পূরণে সক্ষম না হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রলয়ংকরী আম্পানে এই এলাকার প্রাকৃতিক পানির জলাধারসহ অসংখ্য গভীর, অগভীর নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিউবওয়েলের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ ও আয়রন, যা খাওয়ার অযোগ্য। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এ সমস্যা মানুষের দৈনন্দিন ও প্রাত্যহিক জীবনের ওপর প্রভাব ফেলছে।
কোনো এলাকায় খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিলে তা শুধু খাওয়ার পানির সমস্যায় আটকে থাকে না। আরও বড় বড় সংকটের কারণ হয়ে ওঠে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ে। স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ দিকগুলো সরকারের নীতিনির্ধারকদের গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। এ সংকট থেকে সেখানকার মানুষকে কীভাবে নিষ্কৃতি দেওয়া যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। এজন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দরকার। বর্তমানে বৃষ্টির পানি জলাধারে সংরক্ষণ করে ও পুকুরের পানি ফিল্টারিং করেই মূলত এলাকাবাসী পানির চাহিদা মেটাচ্ছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সেই পানির পরিমাণ খুবই অপ্রতুল। সংকট নিরসনে গভীর নলকূপ এবং লবণাক্ততা-নিরোধ প্ল্যান্ট বসাতে হবে। এলাকার মিঠা পানির পুকুরগুলো সংস্কার করে সেই পুকুর যাতে কোনভাবেই লোনাপানিতে প্লাবিত না হয়, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
বড় জলাধারের অভাবে অনেক পরিবারের পক্ষে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না। সরকারিভাবে যদি বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য বড় বড় জলাধার তৈরি করে এবং পানি শোধনের বড় কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়, তাহলে তাদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হতে পারে। সরকারিভাবে এলাকাবাসীর মধ্যে ট্যাংক সরবরাহ করে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে। এ কার্যক্রম জোরদার করা গেলে জনদুর্ভোগ অনেকখানি কমে যাবে।