alt

সম্পাদকীয়

সব অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

: মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের অসতর্কতা ও উদাসীনতা। দেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এরপরও অনেক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। নানা ‘অজুহাতে’ তারা বাইরে বের হচ্ছেন। জনসমাগম ঘটছে এমন স্থানেও অনেকে মুখে পরছেন না মাস্ক, বজায় রাখছেন না সামাজিক দূরত্ব। করোনা নিয়ন্ত্রণে কথিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই গত রোববার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল। তবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত দেয়া হলেও তা মানতে দেখা যায়নি।

দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি উদ্বেগজনক। মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এগুলো স্বাস্থ্যবিধির প্রধান শর্ত। মাস্ক ‘সামাজিক ভ্যাকসিন’ হিসেবে বিবেচিত। জনসমাগম এড়িয়ে চলাও অন্যতম শর্ত। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই এক ধরনের উপেক্ষা-অবজ্ঞা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বাস্তবতা হলো, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে অনেক মানুষই আর ঘরে থাকতে পারছেন না। অনেক জায়গায় বোধগম্য কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনগণের উদাসীনতার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

সংক্রমণ ঠেকাতেই হবে এবং এর একমাত্র পথ স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ অনুসরণ। বিশেষ করে মাস্ক পরার ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সুরক্ষা বাড়বে যদি স্বাস্থ্যবিধির নিয়মগুলোকে প্রাত্যহিক জীবনযাপনের অংশ করে তোলা যায়। বিশেষত, শতভাগ মানুষের মাস্ক ব্যবহারের ওপর সর্বাত্মক গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশে গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত মাস্ক ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক কম। দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাফল্যের একটা বড় কারণ মাস্কের ব্যাপক ব্যবহার।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোন রকম শৈথিল্য চলবে না। জনগণ কথা শুনছে না বা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, এটা বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকারের উচিত যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা।

দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় অনির্দিষ্টকাল কঠোর বিধিনিষেধ চালানো সম্ভব নয়। এতে সিংহভাগ মানুষের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই বাস্তবতায় লকডাউনের বিকল্প খুঁজতে হবে। অনেক দেশই কঠোর বিধিনিষেধের পরিবর্তে স্মার্ট লকডাউনের দিকে ঝুঁকছে। এর মাধ্যমে পুরো লকডাউন না করে যে স্থানটি করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে সেই স্থানেই লকডাউন করা হচ্ছে। বাংলাদেশও সেই পথটি বেছে নিতে পারে।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

সব অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের অসতর্কতা ও উদাসীনতা। দেশে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এরপরও অনেক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। নানা ‘অজুহাতে’ তারা বাইরে বের হচ্ছেন। জনসমাগম ঘটছে এমন স্থানেও অনেকে মুখে পরছেন না মাস্ক, বজায় রাখছেন না সামাজিক দূরত্ব। করোনা নিয়ন্ত্রণে কথিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই গত রোববার থেকে খুলে দেয়া হয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল। তবে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্ত দেয়া হলেও তা মানতে দেখা যায়নি।

দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি উদ্বেগজনক। মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এগুলো স্বাস্থ্যবিধির প্রধান শর্ত। মাস্ক ‘সামাজিক ভ্যাকসিন’ হিসেবে বিবেচিত। জনসমাগম এড়িয়ে চলাও অন্যতম শর্ত। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই এক ধরনের উপেক্ষা-অবজ্ঞা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বাস্তবতা হলো, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে অনেক মানুষই আর ঘরে থাকতে পারছেন না। অনেক জায়গায় বোধগম্য কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনগণের উদাসীনতার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

সংক্রমণ ঠেকাতেই হবে এবং এর একমাত্র পথ স্বাস্থ্যবিধির যথাযথ অনুসরণ। বিশেষ করে মাস্ক পরার ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সুরক্ষা বাড়বে যদি স্বাস্থ্যবিধির নিয়মগুলোকে প্রাত্যহিক জীবনযাপনের অংশ করে তোলা যায়। বিশেষত, শতভাগ মানুষের মাস্ক ব্যবহারের ওপর সর্বাত্মক গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশে গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিয়মিত মাস্ক ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেক কম। দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাফল্যের একটা বড় কারণ মাস্কের ব্যাপক ব্যবহার।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে কোন রকম শৈথিল্য চলবে না। জনগণ কথা শুনছে না বা স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, এটা বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সরকারের উচিত যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা।

দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় অনির্দিষ্টকাল কঠোর বিধিনিষেধ চালানো সম্ভব নয়। এতে সিংহভাগ মানুষের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই বাস্তবতায় লকডাউনের বিকল্প খুঁজতে হবে। অনেক দেশই কঠোর বিধিনিষেধের পরিবর্তে স্মার্ট লকডাউনের দিকে ঝুঁকছে। এর মাধ্যমে পুরো লকডাউন না করে যে স্থানটি করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে সেই স্থানেই লকডাউন করা হচ্ছে। বাংলাদেশও সেই পথটি বেছে নিতে পারে।

back to top