alt

সম্পাদকীয়

সিটি করপোরেশনের মার্কেটে অবৈধ দোকান

আবার শুরু হলো দখল উচ্ছেদের খেলা

: মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে আবার নকশাবহির্ভূত শতাধিক দোকান তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা ও একজন ব্যবসায়ী এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে নকশাবহির্ভূত ৭৫৭টি দোকান ভেঙে দেয়া হয়। মাসখানেক পরই আবার সেখানে দোকান তৈরি শুরু হয়।

সিটি করপোরেশনের মার্কেটে উচ্ছেদকৃত নকশাবহির্ভূত দোকান আবার কী করে গড়ে উঠলো সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার পর সেখানে আর নজরদারি করা হয়নি। উচ্ছেদকারীদের নিয়েও কার্যকর কোন পরিকল্পনা নেই। ফলে বারবার দখল হয়ে যাচ্ছে উদ্ধার করা মার্কেটের জায়গা।

অবশ্য দখল-উচ্ছেদের এ খেলা নতুন নয়। একদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে আবার সেগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। বারবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে ফলাও করে সে সংবাদ প্রচারও হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা থিতু হয়ে এলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো জায়গায় ফের গড়ে তোলা হয় অবৈধ স্থাপনা, দোকানপাট। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দেয়, উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর যদি আবারও সেখানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়, তবে এত টাকা ব্যয় করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মানে কী?

দখল-উচ্ছেদের খেলা বন্ধ করতে হলে আইনের প্রয়োগ যেমন প্রয়োজন, তেমনি সচেতনতাও প্রয়োজন। উদ্ধার করা জায়গা কিভাবে ব্যবহার করা হবে তার একটা টেকসই পরিকল্পনা থাকতে হবে এবং সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। দখলদার উচ্ছেদ করে সেখানে কিছু না করে রেখে আসা যাবে না। এর জন্য স্থানীয়দের নিয়ে তদারকি টিম গঠন করতে হবে। তাহলে কোনকিছুই আর বেদখল হবে না।

দখলবাজির উল্লেখিত ঘটনায় রাজনৈতিক দলের নেতা ও এক ব্যবসায়ীর নাম এসেছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে যে, তারা কোন শক্তি বলে সিটি করপোরেশনের জায়গা দখলের সাহস পায়? দখলবাজি ঠেকাতে সেই অপশক্তিকে দমন করতে হবে। যারা অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

সিটি করপোরেশনের মার্কেটে অবৈধ দোকান

আবার শুরু হলো দখল উচ্ছেদের খেলা

মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে আবার নকশাবহির্ভূত শতাধিক দোকান তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা ও একজন ব্যবসায়ী এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে নকশাবহির্ভূত ৭৫৭টি দোকান ভেঙে দেয়া হয়। মাসখানেক পরই আবার সেখানে দোকান তৈরি শুরু হয়।

সিটি করপোরেশনের মার্কেটে উচ্ছেদকৃত নকশাবহির্ভূত দোকান আবার কী করে গড়ে উঠলো সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার পর সেখানে আর নজরদারি করা হয়নি। উচ্ছেদকারীদের নিয়েও কার্যকর কোন পরিকল্পনা নেই। ফলে বারবার দখল হয়ে যাচ্ছে উদ্ধার করা মার্কেটের জায়গা।

অবশ্য দখল-উচ্ছেদের এ খেলা নতুন নয়। একদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে আবার সেগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। বারবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে ফলাও করে সে সংবাদ প্রচারও হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা থিতু হয়ে এলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো জায়গায় ফের গড়ে তোলা হয় অবৈধ স্থাপনা, দোকানপাট। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দেয়, উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর যদি আবারও সেখানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়, তবে এত টাকা ব্যয় করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মানে কী?

দখল-উচ্ছেদের খেলা বন্ধ করতে হলে আইনের প্রয়োগ যেমন প্রয়োজন, তেমনি সচেতনতাও প্রয়োজন। উদ্ধার করা জায়গা কিভাবে ব্যবহার করা হবে তার একটা টেকসই পরিকল্পনা থাকতে হবে এবং সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। দখলদার উচ্ছেদ করে সেখানে কিছু না করে রেখে আসা যাবে না। এর জন্য স্থানীয়দের নিয়ে তদারকি টিম গঠন করতে হবে। তাহলে কোনকিছুই আর বেদখল হবে না।

দখলবাজির উল্লেখিত ঘটনায় রাজনৈতিক দলের নেতা ও এক ব্যবসায়ীর নাম এসেছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে যে, তারা কোন শক্তি বলে সিটি করপোরেশনের জায়গা দখলের সাহস পায়? দখলবাজি ঠেকাতে সেই অপশক্তিকে দমন করতে হবে। যারা অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top