সিটি করপোরেশনের মার্কেটে অবৈধ দোকান
রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে আবার নকশাবহির্ভূত শতাধিক দোকান তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা ও একজন ব্যবসায়ী এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে নকশাবহির্ভূত ৭৫৭টি দোকান ভেঙে দেয়া হয়। মাসখানেক পরই আবার সেখানে দোকান তৈরি শুরু হয়।
সিটি করপোরেশনের মার্কেটে উচ্ছেদকৃত নকশাবহির্ভূত দোকান আবার কী করে গড়ে উঠলো সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার পর সেখানে আর নজরদারি করা হয়নি। উচ্ছেদকারীদের নিয়েও কার্যকর কোন পরিকল্পনা নেই। ফলে বারবার দখল হয়ে যাচ্ছে উদ্ধার করা মার্কেটের জায়গা।
অবশ্য দখল-উচ্ছেদের এ খেলা নতুন নয়। একদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে আবার সেগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। বারবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে ফলাও করে সে সংবাদ প্রচারও হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা থিতু হয়ে এলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো জায়গায় ফের গড়ে তোলা হয় অবৈধ স্থাপনা, দোকানপাট। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দেয়, উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর যদি আবারও সেখানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়, তবে এত টাকা ব্যয় করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মানে কী?
দখল-উচ্ছেদের খেলা বন্ধ করতে হলে আইনের প্রয়োগ যেমন প্রয়োজন, তেমনি সচেতনতাও প্রয়োজন। উদ্ধার করা জায়গা কিভাবে ব্যবহার করা হবে তার একটা টেকসই পরিকল্পনা থাকতে হবে এবং সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। দখলদার উচ্ছেদ করে সেখানে কিছু না করে রেখে আসা যাবে না। এর জন্য স্থানীয়দের নিয়ে তদারকি টিম গঠন করতে হবে। তাহলে কোনকিছুই আর বেদখল হবে না।
দখলবাজির উল্লেখিত ঘটনায় রাজনৈতিক দলের নেতা ও এক ব্যবসায়ীর নাম এসেছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে যে, তারা কোন শক্তি বলে সিটি করপোরেশনের জায়গা দখলের সাহস পায়? দখলবাজি ঠেকাতে সেই অপশক্তিকে দমন করতে হবে। যারা অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সিটি করপোরেশনের মার্কেটে অবৈধ দোকান
মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১
রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেটে আবার নকশাবহির্ভূত শতাধিক দোকান তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতা ও একজন ব্যবসায়ী এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে নকশাবহির্ভূত ৭৫৭টি দোকান ভেঙে দেয়া হয়। মাসখানেক পরই আবার সেখানে দোকান তৈরি শুরু হয়।
সিটি করপোরেশনের মার্কেটে উচ্ছেদকৃত নকশাবহির্ভূত দোকান আবার কী করে গড়ে উঠলো সেটা একটা প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার পর সেখানে আর নজরদারি করা হয়নি। উচ্ছেদকারীদের নিয়েও কার্যকর কোন পরিকল্পনা নেই। ফলে বারবার দখল হয়ে যাচ্ছে উদ্ধার করা মার্কেটের জায়গা।
অবশ্য দখল-উচ্ছেদের এ খেলা নতুন নয়। একদিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অন্যদিকে আবার সেগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। বারবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে ফলাও করে সে সংবাদ প্রচারও হচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা থিতু হয়ে এলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো জায়গায় ফের গড়ে তোলা হয় অবৈধ স্থাপনা, দোকানপাট। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন দেখা দেয়, উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর যদি আবারও সেখানে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়, তবে এত টাকা ব্যয় করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মানে কী?
দখল-উচ্ছেদের খেলা বন্ধ করতে হলে আইনের প্রয়োগ যেমন প্রয়োজন, তেমনি সচেতনতাও প্রয়োজন। উদ্ধার করা জায়গা কিভাবে ব্যবহার করা হবে তার একটা টেকসই পরিকল্পনা থাকতে হবে এবং সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। দখলদার উচ্ছেদ করে সেখানে কিছু না করে রেখে আসা যাবে না। এর জন্য স্থানীয়দের নিয়ে তদারকি টিম গঠন করতে হবে। তাহলে কোনকিছুই আর বেদখল হবে না।
দখলবাজির উল্লেখিত ঘটনায় রাজনৈতিক দলের নেতা ও এক ব্যবসায়ীর নাম এসেছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন ওঠে যে, তারা কোন শক্তি বলে সিটি করপোরেশনের জায়গা দখলের সাহস পায়? দখলবাজি ঠেকাতে সেই অপশক্তিকে দমন করতে হবে। যারা অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।