alt

সম্পাদকীয়

পদ্মায় প্রাণহানির দায় কার

: মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বিধিনিষেধের আওতায় নৌপথে সব ধরনের যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু নৌপথে নানা ধরনের নৌযান চলছে, দুর্ঘটনাও ঘটছে। গতকাল সোমবার মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে নোঙ্গর করা বালু বোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে মারা গেছে ২৬ জন।

পদ্মায় স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহনের কোন আইনি সুযোগ নেই। তারপরও বছরের পর বছর ধরে সেখানে স্পিডবোট চলছে। এমনকি চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও এগুলোর চলাচল বন্ধ হয়নি। স্পিডবোটে আটজনের বেশি যাত্রী ওঠানোর কথা নয়। অথচ উল্লিখিত স্পিডবোটে যাত্রী ছিল ৩০-৩৫ জন এবং তাদের কারোই লাইফজ্যাকেট ছিল না। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে এতগুলো অনিয়ম কীভাবে ঘটলো সেটা একটা প্রশ্ন।

বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষকে নিছক দুর্ঘটনা বলতে নারাজ অনেকে। তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর উদাসীনতা আর অবহেলার কারণে এতগুলো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এটা হত্যাকান্ডের শামিল। তবে বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ বা নৌপুলিশ কেউ এই ঘটনার দায় নিতে চাচ্ছে না। এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, স্পিডবোট, ট্রলার দেখভালের দায়িত্ব নৌপুলিশের। নৌপুলিশ বলছে, নৌপথে সড়কের মতো অবৈধ যান তল্লাশি হয় না। বিআইডব্লিউটিএ কখনও বললে তখন কোন যান জব্দ করতে বা অভিযানে তাদের সহায়তা করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর নদীপথের শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা সেই প্রশ্ন ওঠেছে। নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ও অদক্ষ চালকসহ নানা কারণে নৌপথে প্রাণহানি বাড়ছে। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৬০১টি ছোট-বড় নৌদুর্ঘটনায় ৭৭৩ জন মারা গেছে। সিংহভাগ ঘটনায় কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

উল্লিখিত ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। অতীতেও দেখা গেছে নৌপথে হতাহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। অনেক তদন্তই আলোর মুখ দেখে না। কখনও কোন তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলেও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এবারও যেন তেমনটা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পদ্মায় প্রাণহানির জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

পদ্মায় প্রাণহানির দায় কার

মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বিধিনিষেধের আওতায় নৌপথে সব ধরনের যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু নৌপথে নানা ধরনের নৌযান চলছে, দুর্ঘটনাও ঘটছে। গতকাল সোমবার মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে নোঙ্গর করা বালু বোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে মারা গেছে ২৬ জন।

পদ্মায় স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহনের কোন আইনি সুযোগ নেই। তারপরও বছরের পর বছর ধরে সেখানে স্পিডবোট চলছে। এমনকি চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও এগুলোর চলাচল বন্ধ হয়নি। স্পিডবোটে আটজনের বেশি যাত্রী ওঠানোর কথা নয়। অথচ উল্লিখিত স্পিডবোটে যাত্রী ছিল ৩০-৩৫ জন এবং তাদের কারোই লাইফজ্যাকেট ছিল না। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে এতগুলো অনিয়ম কীভাবে ঘটলো সেটা একটা প্রশ্ন।

বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষকে নিছক দুর্ঘটনা বলতে নারাজ অনেকে। তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর উদাসীনতা আর অবহেলার কারণে এতগুলো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এটা হত্যাকান্ডের শামিল। তবে বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ বা নৌপুলিশ কেউ এই ঘটনার দায় নিতে চাচ্ছে না। এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। বিআইডব্লিউটিএ বলছে, স্পিডবোট, ট্রলার দেখভালের দায়িত্ব নৌপুলিশের। নৌপুলিশ বলছে, নৌপথে সড়কের মতো অবৈধ যান তল্লাশি হয় না। বিআইডব্লিউটিএ কখনও বললে তখন কোন যান জব্দ করতে বা অভিযানে তাদের সহায়তা করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর নদীপথের শৃঙ্খলা বিধানের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কিনা সেই প্রশ্ন ওঠেছে। নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ও অদক্ষ চালকসহ নানা কারণে নৌপথে প্রাণহানি বাড়ছে। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৬০১টি ছোট-বড় নৌদুর্ঘটনায় ৭৭৩ জন মারা গেছে। সিংহভাগ ঘটনায় কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

উল্লিখিত ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। অতীতেও দেখা গেছে নৌপথে হতাহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। অনেক তদন্তই আলোর মুখ দেখে না। কখনও কোন তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলেও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এবারও যেন তেমনটা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পদ্মায় প্রাণহানির জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

back to top