alt

সম্পাদকীয়

নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য দূর করুন

: শুক্রবার, ০৭ মে ২০২১

করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নারী শ্রমিকরা। অনেকে কাজ হারিয়েছেন। অনেকের মজুরি ও কাজ দুই-ই কমে গেছে। ফলে অনাহার-অর্ধাহারে অনিরাপত্তায় কাটছে তাদের জীবন। অনেকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও কাজ করছেন, কিন্তু কোনো কারণে অধিকারবঞ্চিত হলে প্রতিকারের সুযোগ পাচ্ছেন না। পুরুষ শ্রমিকদের কাজে রাখলেও নারীদের বাদ দিচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার অন্তত ২০ জন নারী শ্রমিক কৃষিজমিতে পুরুষের সমান কাজ করেও পুরুষের তুলনায় মজুরি কম পাচ্ছেন। পুরুষরা ৩০০ টাকা পেলেও নারীরা পাচ্ছেন ২০০ টাকা।

নারী শ্রমিকের মজুরি বৈষম্যের বিষয়টি দুঃখজনক। তবে এ বৈষম্য শুধু করোনাকালে নয়, যুগ যুগ ধরেই অব্যাহত রয়েছে। গ্রামে কিংবা শহরে, কৃষিকাজে কিংবা শিল্প-কারখানায় সবখানেই নারী শ্রমিকদের সরব উপস্থিতি দৃশ্যমান। নারীরা এখন শ্রম খাতে দক্ষতা আর মেধার পরিচয় দিচ্ছে। অথচ শ্রমবাজারের সবস্তরেই নারীরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তারা পাচ্ছেন না সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি, তেমনি পাচ্ছেন না কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ। উন্নত বিশ্বে নারী শ্রম মূল্যায়নে কিছুটা অগ্রগতি দৃশ্যমান। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে নারী শ্রমিকের আর্থিক মূল্যায়ন এখনো সন্তোষজনক নয়।

সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীর পদায়ন হয়েছে। তবে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে। আর প্রান্তিক পর্যায়ে এই বাস্তবতা আরো খারাপ। নারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন, তারা কাজে ফাঁকি দেন না। সে জন্যই অনেকে ক্ষেত্রে দেখা যায়, নারীদের শ্রমিক হিসেবে নিতে অনেকেই আগ্রহী হন, কিন্তু মজুরি দেওয়ার সময় নারীদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়।

নারীদের নিয়ত বৈষম্যের বেড়াজালে আটকে পরিবার, সমাজ তথা জাতীয় জীবনে প্রত্যাশিত উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে না। আমরা চাই, এ বিভ্রান্তি থেকে সমাজ মুক্তি পাক। সমাজে নারী ও পুরুষের মজুরি-বৈষম্য দূর হয়ে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হোক। এ ব্যাপারে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে সচেতন হতে হবে। কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ যেন নারী শ্রমিকদের ঠকাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নারী কৃষি শ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করে কৃষক হিসেবে তার প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এতে কৃষি কাজে নারীরা আরও আগ্রহী হবেন। নারী কৃষকরা যাতে বিনা জামানতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারেন এবং সরকারি খাসজমি বিতরণে যাতে অগ্রাধিকার পান- সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

নারী-পুরুষের মজুরি বৈষম্য দূর করুন

শুক্রবার, ০৭ মে ২০২১

করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নারী শ্রমিকরা। অনেকে কাজ হারিয়েছেন। অনেকের মজুরি ও কাজ দুই-ই কমে গেছে। ফলে অনাহার-অর্ধাহারে অনিরাপত্তায় কাটছে তাদের জীবন। অনেকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও কাজ করছেন, কিন্তু কোনো কারণে অধিকারবঞ্চিত হলে প্রতিকারের সুযোগ পাচ্ছেন না। পুরুষ শ্রমিকদের কাজে রাখলেও নারীদের বাদ দিচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার অন্তত ২০ জন নারী শ্রমিক কৃষিজমিতে পুরুষের সমান কাজ করেও পুরুষের তুলনায় মজুরি কম পাচ্ছেন। পুরুষরা ৩০০ টাকা পেলেও নারীরা পাচ্ছেন ২০০ টাকা।

নারী শ্রমিকের মজুরি বৈষম্যের বিষয়টি দুঃখজনক। তবে এ বৈষম্য শুধু করোনাকালে নয়, যুগ যুগ ধরেই অব্যাহত রয়েছে। গ্রামে কিংবা শহরে, কৃষিকাজে কিংবা শিল্প-কারখানায় সবখানেই নারী শ্রমিকদের সরব উপস্থিতি দৃশ্যমান। নারীরা এখন শ্রম খাতে দক্ষতা আর মেধার পরিচয় দিচ্ছে। অথচ শ্রমবাজারের সবস্তরেই নারীরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তারা পাচ্ছেন না সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি, তেমনি পাচ্ছেন না কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ। উন্নত বিশ্বে নারী শ্রম মূল্যায়নে কিছুটা অগ্রগতি দৃশ্যমান। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে নারী শ্রমিকের আর্থিক মূল্যায়ন এখনো সন্তোষজনক নয়।

সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীর পদায়ন হয়েছে। তবে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে। আর প্রান্তিক পর্যায়ে এই বাস্তবতা আরো খারাপ। নারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন, তারা কাজে ফাঁকি দেন না। সে জন্যই অনেকে ক্ষেত্রে দেখা যায়, নারীদের শ্রমিক হিসেবে নিতে অনেকেই আগ্রহী হন, কিন্তু মজুরি দেওয়ার সময় নারীদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়।

নারীদের নিয়ত বৈষম্যের বেড়াজালে আটকে পরিবার, সমাজ তথা জাতীয় জীবনে প্রত্যাশিত উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে না। আমরা চাই, এ বিভ্রান্তি থেকে সমাজ মুক্তি পাক। সমাজে নারী ও পুরুষের মজুরি-বৈষম্য দূর হয়ে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হোক। এ ব্যাপারে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে সচেতন হতে হবে। কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ যেন নারী শ্রমিকদের ঠকাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নারী কৃষি শ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করে কৃষক হিসেবে তার প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এতে কৃষি কাজে নারীরা আরও আগ্রহী হবেন। নারী কৃষকরা যাতে বিনা জামানতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারেন এবং সরকারি খাসজমি বিতরণে যাতে অগ্রাধিকার পান- সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top