তবুও ঈদযাত্রা
ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা রুখতে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবুও ঈদ সামনে রেখে মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যে যেভাবে পারছেন, পাড়ি জমাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। যানবাহন আর মানুষে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছে একেকটি ফেরি। পা ফেলার জায়গা নেই তাতে। নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই।
ঈদ আসন্ন। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই মানুষ দলবেঁধে গ্রামমুখী হয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের ঈদে বাড়ি যেতে মানুষকে একপ্রকার নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। সংক্রমণ ঠেকাতে চলাচল সীমিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকার আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ করেছে, জরুরি সেবা ছাড়া ফেরি চলাচলও সীমিত। তবে কোন কিছুই মানুষকে দমাতে পারছে না।
নিম্ন আয়ের মানুষ নিরুপায় হয়েই গ্রামে ফিরছেন। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে আয়-রোজগার বন্ধ। কিন্তু জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। এ অবস্থায় গ্রামে ফিরে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা ছিল না।
সমস্যা হলো, ঈদযাত্রায় যাত্রীদের একটি বড় অংশই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। গত ঈদের মতো এবার ঈদের ছুটিতেও যদি মানুষ স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করে গ্রামের বাড়িতে যান তাহলে ছুটির পর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। ঈদকে কেন্দ্র করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবং জনগণকে সুরক্ষা দিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সেইসঙ্গে যারা নিরুপায় হয়ে গ্রামে ফিরছেন তাদের কথাও ভাবতে হবে। তারা যেন সামাজিক দূরত্ব মেনে নিরাপদে গ্রামে ফিরতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। তাই মাস্ক পরা, নিয়ম মেনে হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে নিজেকে সুরক্ষিত করা ও অন্যকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব প্রত্যেক নাগরিককে পালন করতে হবে।
তবুও ঈদযাত্রা
রোববার, ০৯ মে ২০২১
ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা রুখতে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবুও ঈদ সামনে রেখে মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যে যেভাবে পারছেন, পাড়ি জমাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। যানবাহন আর মানুষে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছে একেকটি ফেরি। পা ফেলার জায়গা নেই তাতে। নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই।
ঈদ আসন্ন। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই মানুষ দলবেঁধে গ্রামমুখী হয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের ঈদে বাড়ি যেতে মানুষকে একপ্রকার নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। সংক্রমণ ঠেকাতে চলাচল সীমিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকার আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ করেছে, জরুরি সেবা ছাড়া ফেরি চলাচলও সীমিত। তবে কোন কিছুই মানুষকে দমাতে পারছে না।
নিম্ন আয়ের মানুষ নিরুপায় হয়েই গ্রামে ফিরছেন। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে আয়-রোজগার বন্ধ। কিন্তু জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। এ অবস্থায় গ্রামে ফিরে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা ছিল না।
সমস্যা হলো, ঈদযাত্রায় যাত্রীদের একটি বড় অংশই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। গত ঈদের মতো এবার ঈদের ছুটিতেও যদি মানুষ স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করে গ্রামের বাড়িতে যান তাহলে ছুটির পর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। ঈদকে কেন্দ্র করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবং জনগণকে সুরক্ষা দিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সেইসঙ্গে যারা নিরুপায় হয়ে গ্রামে ফিরছেন তাদের কথাও ভাবতে হবে। তারা যেন সামাজিক দূরত্ব মেনে নিরাপদে গ্রামে ফিরতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। তাই মাস্ক পরা, নিয়ম মেনে হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে নিজেকে সুরক্ষিত করা ও অন্যকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব প্রত্যেক নাগরিককে পালন করতে হবে।