alt

সম্পাদকীয়

তবুও ঈদযাত্রা

স্বাস্থ্যবিধির কী হবে

: রোববার, ০৯ মে ২০২১

ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা রুখতে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবুও ঈদ সামনে রেখে মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যে যেভাবে পারছেন, পাড়ি জমাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। যানবাহন আর মানুষে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছে একেকটি ফেরি। পা ফেলার জায়গা নেই তাতে। নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই।

ঈদ আসন্ন। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই মানুষ দলবেঁধে গ্রামমুখী হয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের ঈদে বাড়ি যেতে মানুষকে একপ্রকার নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। সংক্রমণ ঠেকাতে চলাচল সীমিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকার আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ করেছে, জরুরি সেবা ছাড়া ফেরি চলাচলও সীমিত। তবে কোন কিছুই মানুষকে দমাতে পারছে না।

নিম্ন আয়ের মানুষ নিরুপায় হয়েই গ্রামে ফিরছেন। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে আয়-রোজগার বন্ধ। কিন্তু জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। এ অবস্থায় গ্রামে ফিরে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা ছিল না।

সমস্যা হলো, ঈদযাত্রায় যাত্রীদের একটি বড় অংশই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। গত ঈদের মতো এবার ঈদের ছুটিতেও যদি মানুষ স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করে গ্রামের বাড়িতে যান তাহলে ছুটির পর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। ঈদকে কেন্দ্র করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবং জনগণকে সুরক্ষা দিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সেইসঙ্গে যারা নিরুপায় হয়ে গ্রামে ফিরছেন তাদের কথাও ভাবতে হবে। তারা যেন সামাজিক দূরত্ব মেনে নিরাপদে গ্রামে ফিরতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে।

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। তাই মাস্ক পরা, নিয়ম মেনে হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে নিজেকে সুরক্ষিত করা ও অন্যকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব প্রত্যেক নাগরিককে পালন করতে হবে।

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

tab

সম্পাদকীয়

তবুও ঈদযাত্রা

স্বাস্থ্যবিধির কী হবে

রোববার, ০৯ মে ২০২১

ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাত্রা রুখতে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবুও ঈদ সামনে রেখে মানুষ ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যে যেভাবে পারছেন, পাড়ি জমাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘরমুখী মানুষের ভিড় বেড়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। যানবাহন আর মানুষে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছে একেকটি ফেরি। পা ফেলার জায়গা নেই তাতে। নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই।

ঈদ আসন্ন। তাই সংক্রমণের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই মানুষ দলবেঁধে গ্রামমুখী হয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবারের ঈদে বাড়ি যেতে মানুষকে একপ্রকার নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। সংক্রমণ ঠেকাতে চলাচল সীমিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকার আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ করেছে, জরুরি সেবা ছাড়া ফেরি চলাচলও সীমিত। তবে কোন কিছুই মানুষকে দমাতে পারছে না।

নিম্ন আয়ের মানুষ নিরুপায় হয়েই গ্রামে ফিরছেন। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে আয়-রোজগার বন্ধ। কিন্তু জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে। এ অবস্থায় গ্রামে ফিরে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ খোলা ছিল না।

সমস্যা হলো, ঈদযাত্রায় যাত্রীদের একটি বড় অংশই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। গত ঈদের মতো এবার ঈদের ছুটিতেও যদি মানুষ স্বাস্থ্যবিধি অগ্রাহ্য করে গ্রামের বাড়িতে যান তাহলে ছুটির পর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। ঈদকে কেন্দ্র করে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এবং জনগণকে সুরক্ষা দিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সেইসঙ্গে যারা নিরুপায় হয়ে গ্রামে ফিরছেন তাদের কথাও ভাবতে হবে। তারা যেন সামাজিক দূরত্ব মেনে নিরাপদে গ্রামে ফিরতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে।

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। তাই মাস্ক পরা, নিয়ম মেনে হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে নিজেকে সুরক্ষিত করা ও অন্যকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব প্রত্যেক নাগরিককে পালন করতে হবে।

back to top