ক্যাসিনোকান্ড
ক্যাসিনোকান্ডে সম্রাট ও আরমানের মতো আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ধরা পড়েছিলেন ১৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে ৫৫টি মামলা করেছিল পুলিশ, র্যাব ও দুদক। এর মধ্যে ৩৫টি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাকি ২০টি মামলার তদন্ত শেষ হচ্ছে না।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে যখন সরকার ক্যাসিনো-কান্ড তথা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে, তখন এই বার্তাই দেয়া হচ্ছিল যে অন্যায় করে এখন আর কেউ পার পাবে না। সব দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজকে আইনের আওতায় আনা হবে। শুদ্ধি অভিযানে মানুষের মধ্যেও এ আশার সঞ্চার হয়েছিল যে বিলম্বে হলেও সরকার অনাচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একটা পর্যায়ে এসে শুদ্ধি অভিযান থেমে যায়। তারপরও প্রত্যাশা ছিল যে, যাদের ধরা হয়েছে অন্তত তাদের বিচার হবে। কিন্তু মামলার তদন্তে যে ধীরগতি চলছে, তাতে এর ভবিষ্যৎ নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।
ক্যাসিনো-কান্ডে করা মামলাগুলোর তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করা উচিত। তদন্তই যদি শেষ না হয়, বিচারিক কাজ এগোবে কীভাবে? ক্যাসিনোকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি কমবেশি সবাই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। তারা যে খুবই প্রভাবশালী এতে কোন সন্দেহ নেই। ফলে আটক হওয়ার পরও যে তারা নানাভাবে মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে যে, কোন অপরাধের বিরুদ্ধে মামলা করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যথাসময়ে প্রতিটি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
ক্যাসিনোকান্ড
রোববার, ০৯ মে ২০২১
ক্যাসিনোকান্ডে সম্রাট ও আরমানের মতো আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ধরা পড়েছিলেন ১৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে ৫৫টি মামলা করেছিল পুলিশ, র্যাব ও দুদক। এর মধ্যে ৩৫টি মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাকি ২০টি মামলার তদন্ত শেষ হচ্ছে না।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে যখন সরকার ক্যাসিনো-কান্ড তথা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে, তখন এই বার্তাই দেয়া হচ্ছিল যে অন্যায় করে এখন আর কেউ পার পাবে না। সব দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজকে আইনের আওতায় আনা হবে। শুদ্ধি অভিযানে মানুষের মধ্যেও এ আশার সঞ্চার হয়েছিল যে বিলম্বে হলেও সরকার অনাচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে একটা পর্যায়ে এসে শুদ্ধি অভিযান থেমে যায়। তারপরও প্রত্যাশা ছিল যে, যাদের ধরা হয়েছে অন্তত তাদের বিচার হবে। কিন্তু মামলার তদন্তে যে ধীরগতি চলছে, তাতে এর ভবিষ্যৎ নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।
ক্যাসিনো-কান্ডে করা মামলাগুলোর তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করা উচিত। তদন্তই যদি শেষ না হয়, বিচারিক কাজ এগোবে কীভাবে? ক্যাসিনোকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি কমবেশি সবাই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। তারা যে খুবই প্রভাবশালী এতে কোন সন্দেহ নেই। ফলে আটক হওয়ার পরও যে তারা নানাভাবে মামলা প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে যে, কোন অপরাধের বিরুদ্ধে মামলা করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যথাসময়ে প্রতিটি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।