alt

সম্পাদকীয়

এখনও ডায়রিয়ায় ভুগছে মানুষ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

: শনিবার, ২৯ মে ২০২১

নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং পাবনায় গত কয়েকদিন হাজারো মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে শুধু নেয়াখালীতেই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি লোক। তাদের মধ্যে ১৫ জন মারা গেছেন। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও পাবনার ঈশ্বরদীতে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে প্রতিদিন দেড় হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।

ডায়রিয়া এখন জটিল কোন রোগ নয়। একটু সচেতন হলে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে, বিশুদ্ধ পানি পান করলে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায় সহজেই। রোগে ভুগলে স্যালাইন খাওয়ার মতো প্রাথমিক চিকিৎসা ঘরে বসেই করা সম্ভব। সহজে প্রতিরোধযোগ্য ও নিরাময়যোগ্য একটি রোগে কেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন।

খবর অনুযায়ী, যেসব এলাকার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে তাদের সিংহভাগই দেশের প্রত্যন্ত, চর ও উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে যাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে হাসাপাতালে না গিয়ে গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তার বা কবিরাজের কাছে যাচ্ছেন। সঠিক সময়ে হাসপাতালে না যাওয়ার কারণে অনেকে মারাও যাচ্ছেন। মূলত সচেতনতার অভাবে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্য বাড়ছে। এজন্য ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকায় জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। কীভাবে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে হয় সেটা মানুষকে জানাতে হবে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে কোন পর্যায়ে কী ব্যবস্থা নিতে হবে সেটা সম্পর্কে প্রান্তিক মানুষকে স্বচ্ছ ধারণা দিতে হবে।

সাধারণত ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন, তরল জাতীয় ও স্বাভাবিক খাবার খেতে হয়। এতেও কাজ না হলে আক্রান্ত রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আইভি স্যালাইন দিতে হয়। কিন্তু অনেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইভি স্যালাইন নেই বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর তুলনায় শয্যা সংখ্যা কম হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদেরকে।

হাসপাতালগুলোর শয্যা সংকট রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। এই সংকট কাটাতে এখনই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পা নেয়া জরুরি। তবে আইভি স্যালাইনের সংকটের বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইভি স্যালাইন সরবরাহ করতে হবে অনতিবিলম্বে। চিকিৎসায় বিলম্ব ঘটলে ডায়রিয়ার মতো সাধারণ রোগও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

এখনও ডায়রিয়ায় ভুগছে মানুষ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

শনিবার, ২৯ মে ২০২১

নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং পাবনায় গত কয়েকদিন হাজারো মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে শুধু নেয়াখালীতেই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি লোক। তাদের মধ্যে ১৫ জন মারা গেছেন। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও পাবনার ঈশ্বরদীতে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। দক্ষিণাঞ্চলে গড়ে প্রতিদিন দেড় হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।

ডায়রিয়া এখন জটিল কোন রোগ নয়। একটু সচেতন হলে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে, বিশুদ্ধ পানি পান করলে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায় সহজেই। রোগে ভুগলে স্যালাইন খাওয়ার মতো প্রাথমিক চিকিৎসা ঘরে বসেই করা সম্ভব। সহজে প্রতিরোধযোগ্য ও নিরাময়যোগ্য একটি রোগে কেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন।

খবর অনুযায়ী, যেসব এলাকার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে তাদের সিংহভাগই দেশের প্রত্যন্ত, চর ও উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দা। আক্রান্তদের মধ্যে যাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে তারা তাৎক্ষণিকভাবে হাসাপাতালে না গিয়ে গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তার বা কবিরাজের কাছে যাচ্ছেন। সঠিক সময়ে হাসপাতালে না যাওয়ার কারণে অনেকে মারাও যাচ্ছেন। মূলত সচেতনতার অভাবে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্য বাড়ছে। এজন্য ডায়রিয়া আক্রান্ত এলাকায় জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। কীভাবে ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে হয় সেটা মানুষকে জানাতে হবে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে কোন পর্যায়ে কী ব্যবস্থা নিতে হবে সেটা সম্পর্কে প্রান্তিক মানুষকে স্বচ্ছ ধারণা দিতে হবে।

সাধারণত ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন, তরল জাতীয় ও স্বাভাবিক খাবার খেতে হয়। এতেও কাজ না হলে আক্রান্ত রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আইভি স্যালাইন দিতে হয়। কিন্তু অনেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইভি স্যালাইন নেই বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর তুলনায় শয্যা সংখ্যা কম হওয়ায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদেরকে।

হাসপাতালগুলোর শয্যা সংকট রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। এই সংকট কাটাতে এখনই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পা নেয়া জরুরি। তবে আইভি স্যালাইনের সংকটের বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইভি স্যালাইন সরবরাহ করতে হবে অনতিবিলম্বে। চিকিৎসায় বিলম্ব ঘটলে ডায়রিয়ার মতো সাধারণ রোগও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।

back to top