alt

সম্পাদকীয়

বরাদ্দ ব্যয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা বাড়াতে হবে

: সোমবার, ৩১ মে ২০২১

প্রয়োজনের তুলনায় দেশের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ এমনিতেই কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) গাইডলাইন অনুযায়ী, একটি দেশের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়া উচিত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ অথব মোট বাজেটের অন্তত ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয় সেটা জিডিপির এক শতাংশের নিচে বা মোট বাজেটের ৫ শতাংশেরও কম।

বরাদ্দ কম- এটা স্বাস্থ্য খাতের একটা সমস্যা। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে এই কম বরাদ্দও ব্যয় করতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ১১ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত ৯ মাসে মাত্র দুই হাজার ৫১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বাকি সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা সম্ভব হয়নি। চলতি অর্থবছরের বাকি এক মাসে যে তা ব্যয় করা সম্ভব হবে না সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।

গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংক্রমণ চলছে। এই মহামারির বছরেও স্বাস্থ্য খাত তাদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা কাজে লাগাতে পারেনি। বরাদ্দকৃত টাকা ব্যয় করতে না পারার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। অতীতেও বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা অব্যয়িত থেকে গিয়েছে। আবার বরাদ্দের টাকা যতটুক ব্যয় করে সেখানে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ব্যয়ের পেছনে সরকার খরচ করে মাত্র ৩০ ভাগ। বাকি ৭০ ভাগই খরচ হয় নাগরিকদের পকেট থেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংকের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার করা সম্ভব হলে রোগীদের খরচের বোঝা হয়তো কমানো সম্ভব হতো।

প্রশ্ন হচ্ছে, বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না কেন। অভিযোগ আছে অর্থবছরের শেষভাগে গিয়ে পুরো বরাদ্দ ছাড় করা হয়। যে টাকা ব্যয় করার কথা বছরজুড়ে সেই টাকা অল্প সময়ে ব্যয় করা দূরূহ হয়ে পড়ে। বরাদ্দকৃত টাকা ছাড়ে দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটানো জরুরি।

মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা মাঠপর্যায়ে বরাদ্দ ব্যয় করার সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ব্যয় করার সক্ষমতাই যদি না থাকে তাহলে টাকা যথা সময়ে হাতে পেলেও কাজের কাজ কিছুই হবে না। আগে স্বাস্থ্য বিভাগকে ব্যয় করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগে জনবল ঘাটতির কথা শোনা যায়। প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষিত করতে হবে।

আমরা চাই, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দকৃত টাকার পূর্ণাঙ্গ সদ্ব্যবহার হোক। তাতে দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান আরও একটু উন্নত হবে, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় ও ভোগান্তি কমবে বলে আশা করা যায়।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

বরাদ্দ ব্যয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা বাড়াতে হবে

সোমবার, ৩১ মে ২০২১

প্রয়োজনের তুলনায় দেশের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ এমনিতেই কম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) গাইডলাইন অনুযায়ী, একটি দেশের স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়া উচিত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ অথব মোট বাজেটের অন্তত ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয় সেটা জিডিপির এক শতাংশের নিচে বা মোট বাজেটের ৫ শতাংশেরও কম।

বরাদ্দ কম- এটা স্বাস্থ্য খাতের একটা সমস্যা। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে এই কম বরাদ্দও ব্যয় করতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ১১ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত ৯ মাসে মাত্র দুই হাজার ৫১৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বাকি সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা সম্ভব হয়নি। চলতি অর্থবছরের বাকি এক মাসে যে তা ব্যয় করা সম্ভব হবে না সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।

গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংক্রমণ চলছে। এই মহামারির বছরেও স্বাস্থ্য খাত তাদের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা কাজে লাগাতে পারেনি। বরাদ্দকৃত টাকা ব্যয় করতে না পারার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। অতীতেও বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা অব্যয়িত থেকে গিয়েছে। আবার বরাদ্দের টাকা যতটুক ব্যয় করে সেখানে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির খবর পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ব্যয়ের পেছনে সরকার খরচ করে মাত্র ৩০ ভাগ। বাকি ৭০ ভাগই খরচ হয় নাগরিকদের পকেট থেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশ্বব্যাংকের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার করা সম্ভব হলে রোগীদের খরচের বোঝা হয়তো কমানো সম্ভব হতো।

প্রশ্ন হচ্ছে, বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না কেন। অভিযোগ আছে অর্থবছরের শেষভাগে গিয়ে পুরো বরাদ্দ ছাড় করা হয়। যে টাকা ব্যয় করার কথা বছরজুড়ে সেই টাকা অল্প সময়ে ব্যয় করা দূরূহ হয়ে পড়ে। বরাদ্দকৃত টাকা ছাড়ে দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটানো জরুরি।

মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা মাঠপর্যায়ে বরাদ্দ ব্যয় করার সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ব্যয় করার সক্ষমতাই যদি না থাকে তাহলে টাকা যথা সময়ে হাতে পেলেও কাজের কাজ কিছুই হবে না। আগে স্বাস্থ্য বিভাগকে ব্যয় করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগে জনবল ঘাটতির কথা শোনা যায়। প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষিত করতে হবে।

আমরা চাই, স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দকৃত টাকার পূর্ণাঙ্গ সদ্ব্যবহার হোক। তাতে দেশের স্বাস্থ্য সেবার মান আরও একটু উন্নত হবে, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় ও ভোগান্তি কমবে বলে আশা করা যায়।

back to top