alt

সম্পাদকীয়

সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : স্বাস্থ্যবিধিতে ছাড় নয়

: শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১

দেশের সীমান্তবর্তী ১৫ জেলায় নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত। এসব জেলায় আরও আগেই করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। প্রতিবেশী ভারতে চলমান করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কোন কোন বিশেষজ্ঞ। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে আরও আগেই। সীমান্তের ৮ জেলায় দেয়া হয়েছে লকডাউন। তা সত্ত্বেও এসব জেলা থেকে সংক্রমণ দেশের অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দূর হয়নি। দেশে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে, মৃত্যুও বাড়ছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি দেশের মানুষ। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা অনুযায়ী তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানলে সেটা মোকাবিলা করা কঠিন হবে। দেশে যেন করোনার ভারতীয় ধরন বিস্তৃত না হয় সেজন্য সরকার আরও আগেই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। সীমান্ত বন্ধ করা হলেও সেখানে নজরদারি বন্ধ করা যাবে না। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার নমুনা পরীক্ষার আওতা বৃদ্ধি করা জরুরি। ভারত থেকে আসা মানুষের করোনার নমুনা অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে। নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ হওয়া ব্যক্তিদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে অতীতের শৈথিল্য আর গাফিলতির পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।

সীমান্তবর্তী ১৫ জেলাসহ যে ২২ জেলায় করোনার সংক্রমণ এখন বাড়ছে সেসব জেলার হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও অক্সিজেন সংকট রয়েছে। অনেক স্থানেই নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) নেই। যেকারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জটিল রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ বাড়লে এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে। রাতারাতি হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব নয়। টিকারও সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। মানুষ যেন মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোঁয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া চলবে না। সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় ‘লকডাউন’ দেয়া হয়েছে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : স্বাস্থ্যবিধিতে ছাড় নয়

শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১

দেশের সীমান্তবর্তী ১৫ জেলায় নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত। এসব জেলায় আরও আগেই করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। প্রতিবেশী ভারতে চলমান করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কোন কোন বিশেষজ্ঞ। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে আরও আগেই। সীমান্তের ৮ জেলায় দেয়া হয়েছে লকডাউন। তা সত্ত্বেও এসব জেলা থেকে সংক্রমণ দেশের অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দূর হয়নি। দেশে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে, মৃত্যুও বাড়ছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি দেশের মানুষ। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা অনুযায়ী তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানলে সেটা মোকাবিলা করা কঠিন হবে। দেশে যেন করোনার ভারতীয় ধরন বিস্তৃত না হয় সেজন্য সরকার আরও আগেই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। সীমান্ত বন্ধ করা হলেও সেখানে নজরদারি বন্ধ করা যাবে না। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার নমুনা পরীক্ষার আওতা বৃদ্ধি করা জরুরি। ভারত থেকে আসা মানুষের করোনার নমুনা অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে। নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ হওয়া ব্যক্তিদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে অতীতের শৈথিল্য আর গাফিলতির পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।

সীমান্তবর্তী ১৫ জেলাসহ যে ২২ জেলায় করোনার সংক্রমণ এখন বাড়ছে সেসব জেলার হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও অক্সিজেন সংকট রয়েছে। অনেক স্থানেই নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) নেই। যেকারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জটিল রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ বাড়লে এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে। রাতারাতি হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব নয়। টিকারও সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। মানুষ যেন মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোঁয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া চলবে না। সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় ‘লকডাউন’ দেয়া হয়েছে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

back to top