alt

সম্পাদকীয়

পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদামগুলো সরিয়ে নিন

: শনিবার, ০৫ জুন ২০২১

পুরান ঢাকার নিমতলীতে ২০১০ সালের ৩ জুন রাসায়নিক দেকান ও গুদামে আগুন লেগে ১২৪ জন মারা গিয়েছিল। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চুরিহাট্টায় একইরকম দুর্ঘটনায় মারা যায় ৭১ জন। পুরান ঢাকায় এর মাঝে ছোট-বড় অনেক অগ্নিকান্ডের ঘটনাই ঘটেছে। গত ২৩ এপ্রিল আরমানিটোলার একটি রাসায়নিক গুদামে আগুন লেগে মারা যায় ৫ জন।

পুরান ঢাকায় বারবার অগ্নিকান্ডে মানুষের মৃত্যু ও সম্পদহানির ঘটনার পরেও রাসায়নিক পণ্যের বৈধ ও অবৈধ ব্যবসা এবং গুদাম আছে বহাল তবিয়তে। নিমতলীর অগ্নিকান্ডের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের দোকান ও গুদাম দ্রুত স্থনান্তর করা হবে। এজন্য গঠন করা হয়েছিল কমিটি ও টাস্কফোর্স। কিন্তু গত ১১ বছরে সেসবের কিছুই হয়নি। কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, কমিটি তদন্ত করে, সুপারিশ আকারে সেই তদন্ত জমাও দেয়। কিন্তু সেগুলোর বাস্তয়ন হয় না।

পুরান ঢাকায় রয়েছে প্রায় ২৫ হাজারের মতো রাসায়নিক এবং প্লাস্টিকের কারখানা ও গুদাম। আক্ষরিক অর্থে রাসায়নিক বোমায় পরিণত হয়েছে উক্ত এলাকা। এর মাঝেই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে বসবাস করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বিপজ্জনক রাসায়নিকের গুদাম না সরানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যসায়ীদের আর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সরকারকে দোষারোপ করা হয়।

নিমতলীর অগ্নিকান্ডের পর রাসায়নিক শিল্পপল্লী নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল রাসায়নিকের পুরান ঢাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হবে। শিল্পপল্লী প্রতিষ্ঠার আগে শ্যাপপুর ও টঙ্গীতে অস্থায়ী গুদামে সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল। সেটাও এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। আর মুন্সীগঞ্জে ৩১০ একর জমিতে রাসায়নিক শিল্পপল্লী প্রকল্পের মাটি ভারাটের কাজ শুরু হয়েছে মাত্র।

যেকোন মূল্যে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক পণ্যের ব্যবসা সরাতে হতে। এ সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। নিমতলী বা চুড়িহাট্টার মতো দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে চাই না।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদামগুলো সরিয়ে নিন

শনিবার, ০৫ জুন ২০২১

পুরান ঢাকার নিমতলীতে ২০১০ সালের ৩ জুন রাসায়নিক দেকান ও গুদামে আগুন লেগে ১২৪ জন মারা গিয়েছিল। ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চুরিহাট্টায় একইরকম দুর্ঘটনায় মারা যায় ৭১ জন। পুরান ঢাকায় এর মাঝে ছোট-বড় অনেক অগ্নিকান্ডের ঘটনাই ঘটেছে। গত ২৩ এপ্রিল আরমানিটোলার একটি রাসায়নিক গুদামে আগুন লেগে মারা যায় ৫ জন।

পুরান ঢাকায় বারবার অগ্নিকান্ডে মানুষের মৃত্যু ও সম্পদহানির ঘটনার পরেও রাসায়নিক পণ্যের বৈধ ও অবৈধ ব্যবসা এবং গুদাম আছে বহাল তবিয়তে। নিমতলীর অগ্নিকান্ডের পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক পদার্থের দোকান ও গুদাম দ্রুত স্থনান্তর করা হবে। এজন্য গঠন করা হয়েছিল কমিটি ও টাস্কফোর্স। কিন্তু গত ১১ বছরে সেসবের কিছুই হয়নি। কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, কমিটি তদন্ত করে, সুপারিশ আকারে সেই তদন্ত জমাও দেয়। কিন্তু সেগুলোর বাস্তয়ন হয় না।

পুরান ঢাকায় রয়েছে প্রায় ২৫ হাজারের মতো রাসায়নিক এবং প্লাস্টিকের কারখানা ও গুদাম। আক্ষরিক অর্থে রাসায়নিক বোমায় পরিণত হয়েছে উক্ত এলাকা। এর মাঝেই উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা নিয়ে বসবাস করছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বিপজ্জনক রাসায়নিকের গুদাম না সরানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যসায়ীদের আর ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সরকারকে দোষারোপ করা হয়।

নিমতলীর অগ্নিকান্ডের পর রাসায়নিক শিল্পপল্লী নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল রাসায়নিকের পুরান ঢাকা থেকে সরিয়ে নেয়া হবে। শিল্পপল্লী প্রতিষ্ঠার আগে শ্যাপপুর ও টঙ্গীতে অস্থায়ী গুদামে সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল। সেটাও এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। আর মুন্সীগঞ্জে ৩১০ একর জমিতে রাসায়নিক শিল্পপল্লী প্রকল্পের মাটি ভারাটের কাজ শুরু হয়েছে মাত্র।

যেকোন মূল্যে পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিক পণ্যের ব্যবসা সরাতে হতে। এ সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। নিমতলী বা চুড়িহাট্টার মতো দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা দেখতে চাই না।

back to top