alt

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে কোন কারণে

: রোববার, ০৬ জুন ২০২১

বাজেট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেল। বাজেটে এমন কিছু নেই, যে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে অথচ বাজেট ঘোষণার পরপরই বেড়ে গেল বাজারে উত্তাপ আর এ উত্তাপে নিম্নবিত্ত তো বটেই, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পকেট কাটা পড়ছে।

সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দুই দফায় কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। দেশে এখন পেঁয়াজের মৌসুম চলছে। এখনই দামে ঊর্ধ্বগতি! মৌসুম শেষ হলে এর দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা ভেবে সাধারণ মানুষ শঙ্কিত। পেঁয়াজের সঙ্গে বেড়েছে রসুনের দামও। বাজারে চিকন, মাঝারি ও মোটা সব ধরনের চালের দাম গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে। দাম বেড়ে চিকন চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায়, মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। বোরো মৌসুম শেষে নতুন চাল বাজারে আসার পরেও চালের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। এছাড়াও চালের সঙ্গে বেড়েছে আটা, ময়দা ও ডালের দাম। গরুর মাংস ও দেশি মুরগির দামও চড়া।

বিশ্ববাজারের দামের দোহাই দিয়ে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা চলছেই। কয়েক দফা বাড়ার পরে সপ্তাহের ব্যবধানে এর দাম লিটারপ্রতি ১২-১৪ টাকা বেড়েছে। বিশ্ববাজারে আমদানি পণ্যের দাম যতটা বাড়ে, দেশের বাজারে বাড়ে তার চেয়ে বেশি। অভিযোগ রয়েছে, বড় বড় কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপ দেশের আমদানি পণ্য নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা এসব কারসাজির বিষয়ে জানলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ী, বাজারে কোন পণ্যের সরবরাহ কমলে দাম বাড়ে আর সরবরাহ বাড়লে দাম কমে কিন্তু আমাদের দেশে সবসময় এ নিয়ম খাটে না। বাজরে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে, তার কোনটিরই সরবরাহে ঘাটতি নেই আবার সামনে রোজা বা ঈদের মতো বড় ধরনের কোন উৎসবও নেই যে চাহিদা-সরবরাহের পার্থক্য হবে। বাস্তবতা হচ্ছে, পণ্যের দাম বাড়ার জন্য কোন উপলক্ষের দরকার হয় না। ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়ায় বা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে।

বাজারে কার্যকর মনিটরিংয়ের ঘাটতি আছে। দাম বাড়লে মাঝে মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হুঙ্কার ছাড়ে যে, ব্যবস্থা নেয়া হবে। লোক দেখানো কিছু অভিযান চালালেও নিত্যপণ্যের দামের ওপর এর টেকসই কোন প্রভাব দেখা যায় না। নিত্যপণ্যের বাজারে লাগাম টানতে হলে নিয়মিত মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে তারা নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে এ ধরনের অপতৎপরতা চালানোর সাহস না দেখায়।

বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে মানুষের আয় কমেছে অন্যদিকে ব্যয় বেড়েছে। অধিকাংশ পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দাম সীমিত আয়ের মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ এসব পণ্যের দাম বাড়লে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন তারাই। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম আরেক দফা বাড়া মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো। দেশের নাগরিকদের এ ‘খাঁড়ার ঘা’ থেকে রক্ষা করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কার্যকর ব্যবস্থা নেবেÑ এটা আমাদের প্রত্যাশা।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে কোন কারণে

রোববার, ০৬ জুন ২০২১

বাজেট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেল। বাজেটে এমন কিছু নেই, যে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে অথচ বাজেট ঘোষণার পরপরই বেড়ে গেল বাজারে উত্তাপ আর এ উত্তাপে নিম্নবিত্ত তো বটেই, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পকেট কাটা পড়ছে।

সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দুই দফায় কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। দেশে এখন পেঁয়াজের মৌসুম চলছে। এখনই দামে ঊর্ধ্বগতি! মৌসুম শেষ হলে এর দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটা ভেবে সাধারণ মানুষ শঙ্কিত। পেঁয়াজের সঙ্গে বেড়েছে রসুনের দামও। বাজারে চিকন, মাঝারি ও মোটা সব ধরনের চালের দাম গত কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে। দাম বেড়ে চিকন চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায়, মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। বোরো মৌসুম শেষে নতুন চাল বাজারে আসার পরেও চালের বাজার স্থিতিশীল হচ্ছে না। এছাড়াও চালের সঙ্গে বেড়েছে আটা, ময়দা ও ডালের দাম। গরুর মাংস ও দেশি মুরগির দামও চড়া।

বিশ্ববাজারের দামের দোহাই দিয়ে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা চলছেই। কয়েক দফা বাড়ার পরে সপ্তাহের ব্যবধানে এর দাম লিটারপ্রতি ১২-১৪ টাকা বেড়েছে। বিশ্ববাজারে আমদানি পণ্যের দাম যতটা বাড়ে, দেশের বাজারে বাড়ে তার চেয়ে বেশি। অভিযোগ রয়েছে, বড় বড় কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপ দেশের আমদানি পণ্য নিয়ন্ত্রণ করে। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা এসব কারসাজির বিষয়ে জানলেও কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ী, বাজারে কোন পণ্যের সরবরাহ কমলে দাম বাড়ে আর সরবরাহ বাড়লে দাম কমে কিন্তু আমাদের দেশে সবসময় এ নিয়ম খাটে না। বাজরে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে, তার কোনটিরই সরবরাহে ঘাটতি নেই আবার সামনে রোজা বা ঈদের মতো বড় ধরনের কোন উৎসবও নেই যে চাহিদা-সরবরাহের পার্থক্য হবে। বাস্তবতা হচ্ছে, পণ্যের দাম বাড়ার জন্য কোন উপলক্ষের দরকার হয় না। ক্রেতাদের চাহিদা বুঝে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়ায় বা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে।

বাজারে কার্যকর মনিটরিংয়ের ঘাটতি আছে। দাম বাড়লে মাঝে মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হুঙ্কার ছাড়ে যে, ব্যবস্থা নেয়া হবে। লোক দেখানো কিছু অভিযান চালালেও নিত্যপণ্যের দামের ওপর এর টেকসই কোন প্রভাব দেখা যায় না। নিত্যপণ্যের বাজারে লাগাম টানতে হলে নিয়মিত মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই। অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে তারা নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে এ ধরনের অপতৎপরতা চালানোর সাহস না দেখায়।

বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে মানুষের আয় কমেছে অন্যদিকে ব্যয় বেড়েছে। অধিকাংশ পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দাম সীমিত আয়ের মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ এসব পণ্যের দাম বাড়লে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন তারাই। এ অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম আরেক দফা বাড়া মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো। দেশের নাগরিকদের এ ‘খাঁড়ার ঘা’ থেকে রক্ষা করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কার্যকর ব্যবস্থা নেবেÑ এটা আমাদের প্রত্যাশা।

back to top