alt

সম্পাদকীয়

হাসপাতালটি কেন সিআরবিতেই করতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

চট্টগ্রাম নগরীর ফুসফুস হিসেবে পরিচিত সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি) এলাকায় একটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) এই হাসপাতাল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। অন্যদিকে ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত শতাব্দী প্রাচীন সুউচ্চ বৃক্ষরাজি ঘেরা এলাকায় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশবিদ, নগর বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হাসপাতালের প্রয়োজন আছে। আবার প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সবুজ প্রকৃতিও থাকা চাই। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মানুষের আবিষ্কৃত নিরাময় কেন্দ্র। আর গাছপালা প্রকৃতির নিরাময় কেন্দ্র। প্রাকৃতির সান্নিধ্যে থাকলে অনেক রোগ-বালাই এমনিতেই দূরে থাকে। অব্যাহত ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে বড় বড় শহর থেকে এমনিতেই প্রাণ-প্রকৃতি হারিয়ে যাচ্ছে, সবুজ কমে যাচ্ছে। এক চিলতে সবুজের দেখা মেলা ভার।

চট্টগ্রামে উক্ত স্থানে হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথা হচ্ছে। পরিবেশবাদী সংগঠনসহ সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের দাবি, সিআরবিতে শতবর্ষী বৃক্ষরাজি, পাহাড়, টিলা ও উপত্যকা ঘেরা এই এলাকাটি হরেক প্রজাতির পাখ-পাখালি ও প্রাণির আবাস। হাসপাতাল হলে এগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। একবার বাণিজ্যিক আগ্রাসন শুরু হলে সেটা আর আটকানো যাবে না। পৌনে এক কোটি মানুষের এই নগরীতে নান্দনিক ও উন্মুক্ত সবুজ চত্বর বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) বলেছেন, হাসপাতাল হলে শতবর্ষী কোন গাছ কাটা পড়বে না, শিরীষতলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবে রেল কলোনি এলাকার কিছু ছোট গাছ কাটা পড়তে পারে।

সিআরবিতে হাসপাতাল চান না খোদ রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীরা। এরই মধ্যে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। তাদের দাবি এ ধরনের হাসপাতাল করার মতো চট্টগ্রাম নগরীতে রেলওয়ের অনেক জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সিআরবিতে না করে, অন্যত্র হাসপাতালটি হতে পারে।

আমরা মনে করি, হাসপাতাল স্থানান্তর সম্ভব, কিন্তু প্রকৃতির স্থানান্তর সম্ভব নয়। সিআরবিতে হাসপাতাল করা নিয়ে বিতর্ক না হওয়াই কাম্য। হাসপাতালকে সুবিধাজনক জায়গায় সরিয়ে নেয়া হলে ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং প্রাণ-প্রকৃতি যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি মানুষের রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা পাওয়াও সম্ভব হবে।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

হাসপাতালটি কেন সিআরবিতেই করতে হবে

বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

চট্টগ্রাম নগরীর ফুসফুস হিসেবে পরিচিত সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি) এলাকায় একটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) এই হাসপাতাল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। অন্যদিকে ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত শতাব্দী প্রাচীন সুউচ্চ বৃক্ষরাজি ঘেরা এলাকায় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশবিদ, নগর বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হাসপাতালের প্রয়োজন আছে। আবার প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য সবুজ প্রকৃতিও থাকা চাই। চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান মানুষের আবিষ্কৃত নিরাময় কেন্দ্র। আর গাছপালা প্রকৃতির নিরাময় কেন্দ্র। প্রাকৃতির সান্নিধ্যে থাকলে অনেক রোগ-বালাই এমনিতেই দূরে থাকে। অব্যাহত ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে বড় বড় শহর থেকে এমনিতেই প্রাণ-প্রকৃতি হারিয়ে যাচ্ছে, সবুজ কমে যাচ্ছে। এক চিলতে সবুজের দেখা মেলা ভার।

চট্টগ্রামে উক্ত স্থানে হাসপাতাল নির্মাণ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথা হচ্ছে। পরিবেশবাদী সংগঠনসহ সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের দাবি, সিআরবিতে শতবর্ষী বৃক্ষরাজি, পাহাড়, টিলা ও উপত্যকা ঘেরা এই এলাকাটি হরেক প্রজাতির পাখ-পাখালি ও প্রাণির আবাস। হাসপাতাল হলে এগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। একবার বাণিজ্যিক আগ্রাসন শুরু হলে সেটা আর আটকানো যাবে না। পৌনে এক কোটি মানুষের এই নগরীতে নান্দনিক ও উন্মুক্ত সবুজ চত্বর বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) বলেছেন, হাসপাতাল হলে শতবর্ষী কোন গাছ কাটা পড়বে না, শিরীষতলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবে রেল কলোনি এলাকার কিছু ছোট গাছ কাটা পড়তে পারে।

সিআরবিতে হাসপাতাল চান না খোদ রেলওয়ের শ্রমিক-কর্মচারীরা। এরই মধ্যে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। তাদের দাবি এ ধরনের হাসপাতাল করার মতো চট্টগ্রাম নগরীতে রেলওয়ের অনেক জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সিআরবিতে না করে, অন্যত্র হাসপাতালটি হতে পারে।

আমরা মনে করি, হাসপাতাল স্থানান্তর সম্ভব, কিন্তু প্রকৃতির স্থানান্তর সম্ভব নয়। সিআরবিতে হাসপাতাল করা নিয়ে বিতর্ক না হওয়াই কাম্য। হাসপাতালকে সুবিধাজনক জায়গায় সরিয়ে নেয়া হলে ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং প্রাণ-প্রকৃতি যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি মানুষের রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসা পাওয়াও সম্ভব হবে।

back to top