দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীর হাটে আসা গরুর ট্রাকগুলোর কাছ থেকে থানা পুলিশ, হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ, স্থানীয় মাস্তানদের চাঁদা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি হাটে ঢুকতে ও পছন্দমতো জায়গা পেতেও ইজারাদারের লোকজনদের চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দেয়ায় গতকাল শুক্রবার ফেনী শহরের সদর হাসপাতালসংলগ্ন হাটে শাহাজালাল নামের এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এটা শুধু রাজধানী বা ফেনীর চিত্র নয়, দেশের সব স্থানের প্রতি বছরের চিত্র। কোরবানি এলেই এমন চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হন। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো-যাদের চাঁদাবাজি বন্ধ করা বা ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেয়ার কথা, তাদের বিরুদ্ধেই চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ উঠলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
কোরবানির পশু বেচাকেনা দেশের অর্থনীতির অন্যতম খুঁটি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (খামার) জানান, প্রতি বছর কোরবানির পশু থেকে গড়ে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বেচাকেনা হয়। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে, কোরবানির চামড়াকে কেন্দ্র করে দেশে প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি খাতে প্রতি বছর চাঁদাবাজি হচ্ছে অথচ তার কোন প্রতিকার নেই।
আসন্ন ঈদুল আজহায় হাট-বাজারে যাতে চাঁদাবাজি বা ডাকাতি না হয় এজন্য সম্প্রতি মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কোরবানির পশুবাহী যানবাহন যাতে চাঁদাবাজি বা হয়রানি ছাড়াই নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে এক সভায়, সুনির্দিষ্ট তথ্য বা অভিযোগ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী যানবাহন না থামানোর জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী এবং পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কঠোর নির্দেশনার পরেও কোরবানির পশু বহনকারী ট্রাকে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
ট্রাকচালক এবং ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, গরু নিয়ে আসার সময় মাস্তানদের পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাইওয়ে এবং ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি থামিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। অন্তত ১০০-৫০০ টাকা চাঁদা না দিলে ছাড়া পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে তাদের গন্তব্যে আসতে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়।
চাঁদার এ ভার শেষ পর্যন্ত বহন করতে হয় যারা কোরবানি দেন তাদের। চাঁদাবাজির কারণে পশুর দাম বেড়ে যায়, বাড়তি দামেই কোরবানিদাতাকে পশু কিনতে হয়। কোরবানির পশুর ট্রাক এবং হাট থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। যারা চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীর হাটে আসা গরুর ট্রাকগুলোর কাছ থেকে থানা পুলিশ, হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ, স্থানীয় মাস্তানদের চাঁদা দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি হাটে ঢুকতে ও পছন্দমতো জায়গা পেতেও ইজারাদারের লোকজনদের চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দেয়ায় গতকাল শুক্রবার ফেনী শহরের সদর হাসপাতালসংলগ্ন হাটে শাহাজালাল নামের এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এটা শুধু রাজধানী বা ফেনীর চিত্র নয়, দেশের সব স্থানের প্রতি বছরের চিত্র। কোরবানি এলেই এমন চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হন। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো-যাদের চাঁদাবাজি বন্ধ করা বা ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেয়ার কথা, তাদের বিরুদ্ধেই চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগ উঠলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
কোরবানির পশু বেচাকেনা দেশের অর্থনীতির অন্যতম খুঁটি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (খামার) জানান, প্রতি বছর কোরবানির পশু থেকে গড়ে ৫০ থেকে ৫৫ হাজার কোটি টাকা বেচাকেনা হয়। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে, কোরবানির চামড়াকে কেন্দ্র করে দেশে প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি খাতে প্রতি বছর চাঁদাবাজি হচ্ছে অথচ তার কোন প্রতিকার নেই।
আসন্ন ঈদুল আজহায় হাট-বাজারে যাতে চাঁদাবাজি বা ডাকাতি না হয় এজন্য সম্প্রতি মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কোরবানির পশুবাহী যানবাহন যাতে চাঁদাবাজি বা হয়রানি ছাড়াই নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে এক সভায়, সুনির্দিষ্ট তথ্য বা অভিযোগ ছাড়া কোরবানির পশুবাহী যানবাহন না থামানোর জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী এবং পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কঠোর নির্দেশনার পরেও কোরবানির পশু বহনকারী ট্রাকে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
ট্রাকচালক এবং ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, গরু নিয়ে আসার সময় মাস্তানদের পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাইওয়ে এবং ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি থামিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। অন্তত ১০০-৫০০ টাকা চাঁদা না দিলে ছাড়া পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে তাদের গন্তব্যে আসতে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়।
চাঁদার এ ভার শেষ পর্যন্ত বহন করতে হয় যারা কোরবানি দেন তাদের। চাঁদাবাজির কারণে পশুর দাম বেড়ে যায়, বাড়তি দামেই কোরবানিদাতাকে পশু কিনতে হয়। কোরবানির পশুর ট্রাক এবং হাট থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। যারা চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।