স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে হয়েছেন ১ হাজার ৫৮ জন। শুধু জুলাইয়ের প্রথম ১৫ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৬ জন, যা গত ৬ মাসে আক্রান্তের প্রায় দ্বিগুণ। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭২ জন। তাছাড়া ডেঙ্গু সন্দেহ দুজনের মৃত্যুর কথাও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু হয়তো বাড়তে পারে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে। তবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই সময় ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। যদিও এই প্রবণতা এখন পর্যন্ত রাজধানীতেই বেশি। মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমেই এ জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তবে সারা বছরই যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। বর্ষা মৌসুম এখনও শেষ হয়নি। কাজেই ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার যে বংশবিস্তার ঘটবে সেটি অনুমেয়। করোনা সংক্রমণের কারণে এমনিতেই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়ছে। বাস্তবতা হচ্ছে করোনা রোগীদের ভিড়ের কারণে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। এরপর যদি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়, তাহলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার পক্ষে সেই চাপ সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।
ডেঙ্গুজ্বর রোধ করার একমাত্র উপায় এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। তাই সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত মশা নিধন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। লোক দেখানো নিধন বা অভিযান চালালেই শুধু হবে না। তবে এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই এ মশা জন্মাতে পারে। ঘরের ভেতরে খালি পাত্রে জমে থাকা পানি এবং ঘরের বাইরে ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনে জমা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব অনেক। তাদের সতর্কতা ও সচেতনা জরুরি। এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
আমরা আশা করব, বর্ষার বাকিটা সময় সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। এডিস নির্মূল করতে না পারলে কোভিড মহামারীর সময় ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া কঠিন হবে বলে চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন।
রোববার, ১৮ জুলাই ২০২১
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে হয়েছেন ১ হাজার ৫৮ জন। শুধু জুলাইয়ের প্রথম ১৫ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৬ জন, যা গত ৬ মাসে আক্রান্তের প্রায় দ্বিগুণ। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৬ মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭২ জন। তাছাড়া ডেঙ্গু সন্দেহ দুজনের মৃত্যুর কথাও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আশঙ্কা করা হচ্ছিল যে, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু হয়তো বাড়তে পারে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে। তবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা যাচ্ছে না। দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই সময় ডেঙ্গুজ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। যদিও এই প্রবণতা এখন পর্যন্ত রাজধানীতেই বেশি। মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে জুন থেকে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমেই এ জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তবে সারা বছরই যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। বর্ষা মৌসুম এখনও শেষ হয়নি। কাজেই ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার যে বংশবিস্তার ঘটবে সেটি অনুমেয়। করোনা সংক্রমণের কারণে এমনিতেই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ বাড়ছে। বাস্তবতা হচ্ছে করোনা রোগীদের ভিড়ের কারণে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। এরপর যদি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়, তাহলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার পক্ষে সেই চাপ সামলানো কঠিন হয়ে যাবে।
ডেঙ্গুজ্বর রোধ করার একমাত্র উপায় এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। তাই সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত মশা নিধন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। লোক দেখানো নিধন বা অভিযান চালালেই শুধু হবে না। তবে এডিস মশার বংশবিস্তারের যে ধরন তাতে সিটি করপোরেশনের চেয়ে নগরের বাসিন্দাদের দায়িত্ব বেশি। বৃষ্টিপাতের কারণে ঘরের ভেতরে ও বাইরে দুই জায়গায়ই এ মশা জন্মাতে পারে। ঘরের ভেতরে খালি পাত্রে জমে থাকা পানি এবং ঘরের বাইরে ডাবের খোসা, নির্মাণাধীন ভবনে জমা পানিতে এ মশা বংশ বিস্তার করে। এজন্য নগরবাসীর দায়িত্ব অনেক। তাদের সতর্কতা ও সচেতনা জরুরি। এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
আমরা আশা করব, বর্ষার বাকিটা সময় সিটি করপোরেশন ও নগরবাসী সম্মিলিতভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। এডিস নির্মূল করতে না পারলে কোভিড মহামারীর সময় ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া কঠিন হবে বলে চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন।