alt

সম্পাদকীয়

করোনাকাল ও দারিদ্র্য বিমোচন দিবস

: রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

সারা বিশ্বের মানুষকেই মহামারী করোনার কারণে বহুমুখী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহামারীর ফলে অর্থনীতিতে যে চাপ তৈরি হয়েছে তার খেসারত সবচেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে।

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯-এর প্রভাবে বিশ্বে নতুন করে হতদরিদ্রের কাতারে নেমে গেছে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা অনুযায়, মহামারী কালে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন দেড় কোটির বেশি মানুষ।

আজ ‘আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস’। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দারিদ্র্যের অবসান, আমাদের পৃথিবী এবং সবার প্রতি সম্মান : একসঙ্গে গড়ি আগামী।’

মহামারীর আগ পর্যগন্ত দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ ঠিক পথেই এগোচ্ছিল বলে মনে হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এই সাফল্য স্বীকৃতি পেয়েছে। ছন্দপতন ঘটে মহামারীতে। সরকারি হিসাবই বলছে যে, মহামারীতে দেড় কোটির বেশি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। এর আগে দেশ এগিয়েছে মূলত গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর ভর করে। দারিদ্র্য কমাতে মূল ভূমিকা রেখেছে কৃষি খাত, রেমিট্যান্স আর তৈরি পোশাক খাত। এই তিন খাতের ওপর ভর করে বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।

২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রশ্ন হচ্ছে, উক্ত তিন খাতের ওপর নির্ভর করে সেই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে কিনা। কৃষি আর রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে মহামারীর বিপদ মোকাবিলা করা গেলেও মানুষের দরিদ্র হওয়া বন্ধ করা যায়নি।

সরকারকে এমন নীতি ও উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করতে হবে যার ফলে টেকসইভাবে দারিদ্র্য দূর করার পাশাপাশি উন্নতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াজাত শিল্প, রাসায়নিক শিল্প এবং সংযোজন শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। পরামর্শটি সংশ্লিষ্টদের ভাবনার খোরাক জোগাতে পারে।

দারিদ্র্য বিমোচনে শহর ও গ্রামের ব্যবধান লক্ষণীয়। অভিযোগ রয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে শহরাঞ্চল যথাযথ মনোযোগ পাচ্ছে না। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুও গ্রাম। শহরের দরিদ্রদের উপেক্ষা করার নীতি পরিহার করা জরুরি বলে আমরা মনে করি। শহুরে দরিদ্রদের প্রতিও মনোযোগী হতে হবে। তাদেরকেও ব্যাপকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আনতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

করোনাকাল ও দারিদ্র্য বিমোচন দিবস

রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১

সারা বিশ্বের মানুষকেই মহামারী করোনার কারণে বহুমুখী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মহামারীর ফলে অর্থনীতিতে যে চাপ তৈরি হয়েছে তার খেসারত সবচেয়ে বেশি দিতে হচ্ছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে।

বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯-এর প্রভাবে বিশ্বে নতুন করে হতদরিদ্রের কাতারে নেমে গেছে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা অনুযায়, মহামারী কালে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন দেড় কোটির বেশি মানুষ।

আজ ‘আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য বিমোচন দিবস’। জাতিসংঘ ঘোষিত দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘দারিদ্র্যের অবসান, আমাদের পৃথিবী এবং সবার প্রতি সম্মান : একসঙ্গে গড়ি আগামী।’

মহামারীর আগ পর্যগন্ত দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ ঠিক পথেই এগোচ্ছিল বলে মনে হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এই সাফল্য স্বীকৃতি পেয়েছে। ছন্দপতন ঘটে মহামারীতে। সরকারি হিসাবই বলছে যে, মহামারীতে দেড় কোটির বেশি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। এর আগে দেশ এগিয়েছে মূলত গ্রামীণ অর্থনীতির ওপর ভর করে। দারিদ্র্য কমাতে মূল ভূমিকা রেখেছে কৃষি খাত, রেমিট্যান্স আর তৈরি পোশাক খাত। এই তিন খাতের ওপর ভর করে বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন।

২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রশ্ন হচ্ছে, উক্ত তিন খাতের ওপর নির্ভর করে সেই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে কিনা। কৃষি আর রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে মহামারীর বিপদ মোকাবিলা করা গেলেও মানুষের দরিদ্র হওয়া বন্ধ করা যায়নি।

সরকারকে এমন নীতি ও উন্নয়ন কৌশল গ্রহণ করতে হবে যার ফলে টেকসইভাবে দারিদ্র্য দূর করার পাশাপাশি উন্নতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াজাত শিল্প, রাসায়নিক শিল্প এবং সংযোজন শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। পরামর্শটি সংশ্লিষ্টদের ভাবনার খোরাক জোগাতে পারে।

দারিদ্র্য বিমোচনে শহর ও গ্রামের ব্যবধান লক্ষণীয়। অভিযোগ রয়েছে, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে শহরাঞ্চল যথাযথ মনোযোগ পাচ্ছে না। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুও গ্রাম। শহরের দরিদ্রদের উপেক্ষা করার নীতি পরিহার করা জরুরি বলে আমরা মনে করি। শহুরে দরিদ্রদের প্রতিও মনোযোগী হতে হবে। তাদেরকেও ব্যাপকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আনতে হবে।

back to top