সড়কপথের বিশৃঙ্খলা নৌপথেও সংক্রমিত হচ্ছে। নিবন্ধনবিহীন যান, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রশিক্ষিত চালক যেমন সড়ক পথের সমস্যা তেমনই নৌপথেরও সমস্যা।
গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন নৌপথে যাত্রীবাহী প্রায় দুই হাজার স্পিডবোট চলাচল করে। এর মধ্যে নিবন্ধন আছে মাত্র ৫৬৯টির। আবার যারা এসব নৌযান চালাচ্ছে তাদের অনেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক, অধিকাংশের নেই কোন প্রশিক্ষণ।
সংকট আছে অনেক, কিন্তু স্পিডবোটগুলো বছরের পর বছর ধরে নির্বিঘ্নেই চলছে। এর বিরুদ্ধে নেওয়া হয় না কোন ব্যবস্থা। বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষ তখন নড়েচড়ে বসে। তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা নেয়, তারপর যথারীতি পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়।
নাগরিক জীবন গতিশীল হয়েছে। অন্যান্য পথের মতো নৌপথেও মানুষ দ্রুতগতিতে যাতায়াত করতে চায়। তাই স্পিডবোটের মতো দ্রুতগতির নৌযানের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে হাওর ও উপকূলীয় এলাকা, পদ্মার মাওয়া ও আরিচার ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন নৌপথে স্পিডবোটের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এ প্রবণতা বজায় থাকলে এর চাহিদা আগামীতে আরও বাড়বে; কিন্তু এগুলো যদি বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলতে থাকে তাহলে যাত্রী সাধারণসহ চালকের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
স্পিডবোট চলতে পারে তাতে কোন সমস্যা নেই। তবে সেটা চালতে হবে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-কানুন মেনে। স্পিডবোটগুলো চালাতে হবে নিবন্ধন নিয়ে। সেগুলো যেন প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রশিক্ষিত চালক চালায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মৌসুম ও সময় মেনে চালাতে হবে।
অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা স্পিডবোটের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাই তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসন চাইলেও সব সময় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে না। এসব নৌযান চলাচলে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হলে এগুলোকে ঘিরে যে প্রভাবশালী চক্র রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
রোববার, ১৭ অক্টোবর ২০২১
সড়কপথের বিশৃঙ্খলা নৌপথেও সংক্রমিত হচ্ছে। নিবন্ধনবিহীন যান, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রশিক্ষিত চালক যেমন সড়ক পথের সমস্যা তেমনই নৌপথেরও সমস্যা।
গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন নৌপথে যাত্রীবাহী প্রায় দুই হাজার স্পিডবোট চলাচল করে। এর মধ্যে নিবন্ধন আছে মাত্র ৫৬৯টির। আবার যারা এসব নৌযান চালাচ্ছে তাদের অনেকেই অপ্রাপ্তবয়স্ক, অধিকাংশের নেই কোন প্রশিক্ষণ।
সংকট আছে অনেক, কিন্তু স্পিডবোটগুলো বছরের পর বছর ধরে নির্বিঘ্নেই চলছে। এর বিরুদ্ধে নেওয়া হয় না কোন ব্যবস্থা। বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষ তখন নড়েচড়ে বসে। তাৎক্ষণিক কিছু ব্যবস্থা নেয়, তারপর যথারীতি পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়।
নাগরিক জীবন গতিশীল হয়েছে। অন্যান্য পথের মতো নৌপথেও মানুষ দ্রুতগতিতে যাতায়াত করতে চায়। তাই স্পিডবোটের মতো দ্রুতগতির নৌযানের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে হাওর ও উপকূলীয় এলাকা, পদ্মার মাওয়া ও আরিচার ফেরিঘাটসহ বিভিন্ন নৌপথে স্পিডবোটের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এ প্রবণতা বজায় থাকলে এর চাহিদা আগামীতে আরও বাড়বে; কিন্তু এগুলো যদি বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলতে থাকে তাহলে যাত্রী সাধারণসহ চালকের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
স্পিডবোট চলতে পারে তাতে কোন সমস্যা নেই। তবে সেটা চালতে হবে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম-কানুন মেনে। স্পিডবোটগুলো চালাতে হবে নিবন্ধন নিয়ে। সেগুলো যেন প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রশিক্ষিত চালক চালায় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মৌসুম ও সময় মেনে চালাতে হবে।
অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতারা স্পিডবোটের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাই তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসন চাইলেও সব সময় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে না। এসব নৌযান চলাচলে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হলে এগুলোকে ঘিরে যে প্রভাবশালী চক্র রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।