ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম চলছে। মা ইলিশ রক্ষা করার জন্য ৪ অক্টোবর থেকে নদ-নদী এবং সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু অনেক জায়গাতেই জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মানছে না। মা ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জে ইলিশ-রক্ষা অভিযান চলাকালে নৌ-পুলিশের স?ঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাছ ধরা নিয়ে অতীতেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরা যাবে না সেটা জেলেদের অজানা নয়। তারপরও তারা কেন নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে জেল-জরিমানার শিকার হয় আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেইবা কেন জড়ায়- সেটা একটা প্রশ্ন।
মাছ না ধরলে জেলেদের সংসার চলবে কি করে, খাবার জুটবে কোত্থেকে? জীবন-জীবিকার দায় তো রয়েছেই তার ওপর অনেকের ঘাড়ে আছে ঋণ আর তার সুদের বোঝা। এ কারণে বাধ্য হয়ে অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞার মৌসুমেও মাছ শিকারে চলে যায়। আবার স্থানীয় একটি চক্র জেলেদেরকে নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে মাছ ধরার জন্য উসকানি দেয়, অন্যায় মদত দেয়।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের যে চাল দেয়া হয় তা যথেষ্ট নয়। আবার সেই চাল?ও অনেক জেলে পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। চাল দেয়ার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাছ ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে।
যারা নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের মাছ ধরায় অন্যায় মদত দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। কেবল জেলেদের জেল জরিমানা করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।
শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম চলছে। মা ইলিশ রক্ষা করার জন্য ৪ অক্টোবর থেকে নদ-নদী এবং সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু অনেক জায়গাতেই জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মানছে না। মা ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জে ইলিশ-রক্ষা অভিযান চলাকালে নৌ-পুলিশের স?ঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাছ ধরা নিয়ে অতীতেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে জেলেদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরা যাবে না সেটা জেলেদের অজানা নয়। তারপরও তারা কেন নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে জেল-জরিমানার শিকার হয় আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেইবা কেন জড়ায়- সেটা একটা প্রশ্ন।
মাছ না ধরলে জেলেদের সংসার চলবে কি করে, খাবার জুটবে কোত্থেকে? জীবন-জীবিকার দায় তো রয়েছেই তার ওপর অনেকের ঘাড়ে আছে ঋণ আর তার সুদের বোঝা। এ কারণে বাধ্য হয়ে অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞার মৌসুমেও মাছ শিকারে চলে যায়। আবার স্থানীয় একটি চক্র জেলেদেরকে নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে মাছ ধরার জন্য উসকানি দেয়, অন্যায় মদত দেয়।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের যে চাল দেয়া হয় তা যথেষ্ট নয়। আবার সেই চাল?ও অনেক জেলে পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে। চাল দেয়ার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মাছ ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে।
যারা নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের মাছ ধরায় অন্যায় মদত দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। কেবল জেলেদের জেল জরিমানা করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না।