alt

সম্পাদকীয়

সেতু নির্মাণ আর সংস্কারের খেলা

: মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১

যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদের উপর ৮৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছরের ২২ নভেম্বর সেতুটি উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের ১১ মাসের মাথায় সেটি আবার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কারণ সেতুটির পূর্বপাশে সংযোগ সড়কের প্রতিরক্ষা দেয়াল ধসে পড়ছে। সংযোগ সড়ক ও প্রতিরক্ষা দেয়ালের মধ্যে দেখা দিয়েছে লম্বা ফাটল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সেতু নির্মাণ করা হয় জনগণের কল্যাণে। কিন্তু এই সেতুটি সেই উদ্দেশ্য সাধনে সক্ষম কিনা-সেটা একটা প্রশ্ন। সেতুর সংযোগ সড়কের ডান দিকে প্রতিরক্ষা দেয়াল উঁচুনিচু হয়ে আছে। কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা দেয়ালের ব্লক দেবেও গেছে। এখানেই শেষ নয়, প্রতিরক্ষা দেয়ালের নিচের দিকে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ২৫টি বাড়ি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এখানে নির্মাণ কাজের পরিকল্পনাহীনতার ছাপ সুস্পষ্ট।

এলজিইডির অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বালির পরিমাণ বেশি। তাই ভারি বৃষ্টিতে সংযোগ সড়কের প্রতিরক্ষা দেয়ালের ব্লক ধসে পড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেতুটি নির্মাণের আগে যথাযথ সমীক্ষা করা হয়েছিল কিনা। সেতু নির্মাণের আগেই মাটি পরীক্ষা করা এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা। ভৈরব নদের উপর সেতুটি যথাযথ নিয়ম মেনে নির্মাণ করলে বছর ঘুরতে না ঘুরতে সেটা সংস্কার করার প্রয়োজন পড়বে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। অতীতে সমীক্ষা ছাড়া সেতু নির্মাণ করার নজির দেশে অনেক রয়েছে।

সঙ্গত কারণে ভৈরব নদের উপর নির্মাণ করা সেতুটি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ নির্মাণের পর বছর পার হতে না হতেই সংযোগ সড়কে ফাটলসহ নানা ত্রুটি দেখা দিয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দায় এখন কে বহন করবে?

সেতু নির্মাণ অনিয়ম ও দুর্নীতির একটা বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। অপরিকল্পিত ও মানহীন সেতু নির্মাণ করায় জনগণের করের টাকা গচ্চা যাচ্ছে। এ অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। আমরা মানহীন সেতু নির্মাণ আর সংস্কারের খেলার অবসান চাই। সেতুটি নির্মাণে ঠিকাদার বা এলজিইডির কর্মকর্তাদের কোন গাফিলতি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হবে। তবে পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার কাজে যেন নতুন করে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

সেতু নির্মাণ আর সংস্কারের খেলা

মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১

যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদের উপর ৮৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছরের ২২ নভেম্বর সেতুটি উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের ১১ মাসের মাথায় সেটি আবার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কারণ সেতুটির পূর্বপাশে সংযোগ সড়কের প্রতিরক্ষা দেয়াল ধসে পড়ছে। সংযোগ সড়ক ও প্রতিরক্ষা দেয়ালের মধ্যে দেখা দিয়েছে লম্বা ফাটল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সেতু নির্মাণ করা হয় জনগণের কল্যাণে। কিন্তু এই সেতুটি সেই উদ্দেশ্য সাধনে সক্ষম কিনা-সেটা একটা প্রশ্ন। সেতুর সংযোগ সড়কের ডান দিকে প্রতিরক্ষা দেয়াল উঁচুনিচু হয়ে আছে। কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা দেয়ালের ব্লক দেবেও গেছে। এখানেই শেষ নয়, প্রতিরক্ষা দেয়ালের নিচের দিকে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ২৫টি বাড়ি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এখানে নির্মাণ কাজের পরিকল্পনাহীনতার ছাপ সুস্পষ্ট।

এলজিইডির অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বালির পরিমাণ বেশি। তাই ভারি বৃষ্টিতে সংযোগ সড়কের প্রতিরক্ষা দেয়ালের ব্লক ধসে পড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেতুটি নির্মাণের আগে যথাযথ সমীক্ষা করা হয়েছিল কিনা। সেতু নির্মাণের আগেই মাটি পরীক্ষা করা এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা। ভৈরব নদের উপর সেতুটি যথাযথ নিয়ম মেনে নির্মাণ করলে বছর ঘুরতে না ঘুরতে সেটা সংস্কার করার প্রয়োজন পড়বে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। অতীতে সমীক্ষা ছাড়া সেতু নির্মাণ করার নজির দেশে অনেক রয়েছে।

সঙ্গত কারণে ভৈরব নদের উপর নির্মাণ করা সেতুটি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ নির্মাণের পর বছর পার হতে না হতেই সংযোগ সড়কে ফাটলসহ নানা ত্রুটি দেখা দিয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দায় এখন কে বহন করবে?

সেতু নির্মাণ অনিয়ম ও দুর্নীতির একটা বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। অপরিকল্পিত ও মানহীন সেতু নির্মাণ করায় জনগণের করের টাকা গচ্চা যাচ্ছে। এ অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। আমরা মানহীন সেতু নির্মাণ আর সংস্কারের খেলার অবসান চাই। সেতুটি নির্মাণে ঠিকাদার বা এলজিইডির কর্মকর্তাদের কোন গাফিলতি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হবে। তবে পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার কাজে যেন নতুন করে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

back to top