যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদের উপর ৮৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছরের ২২ নভেম্বর সেতুটি উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের ১১ মাসের মাথায় সেটি আবার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কারণ সেতুটির পূর্বপাশে সংযোগ সড়কের প্রতিরক্ষা দেয়াল ধসে পড়ছে। সংযোগ সড়ক ও প্রতিরক্ষা দেয়ালের মধ্যে দেখা দিয়েছে লম্বা ফাটল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সেতু নির্মাণ করা হয় জনগণের কল্যাণে। কিন্তু এই সেতুটি সেই উদ্দেশ্য সাধনে সক্ষম কিনা-সেটা একটা প্রশ্ন। সেতুর সংযোগ সড়কের ডান দিকে প্রতিরক্ষা দেয়াল উঁচুনিচু হয়ে আছে। কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা দেয়ালের ব্লক দেবেও গেছে। এখানেই শেষ নয়, প্রতিরক্ষা দেয়ালের নিচের দিকে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ২৫টি বাড়ি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এখানে নির্মাণ কাজের পরিকল্পনাহীনতার ছাপ সুস্পষ্ট।
এলজিইডির অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বালির পরিমাণ বেশি। তাই ভারি বৃষ্টিতে সংযোগ সড়কের প্রতিরক্ষা দেয়ালের ব্লক ধসে পড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেতুটি নির্মাণের আগে যথাযথ সমীক্ষা করা হয়েছিল কিনা। সেতু নির্মাণের আগেই মাটি পরীক্ষা করা এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা। ভৈরব নদের উপর সেতুটি যথাযথ নিয়ম মেনে নির্মাণ করলে বছর ঘুরতে না ঘুরতে সেটা সংস্কার করার প্রয়োজন পড়বে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। অতীতে সমীক্ষা ছাড়া সেতু নির্মাণ করার নজির দেশে অনেক রয়েছে।
সঙ্গত কারণে ভৈরব নদের উপর নির্মাণ করা সেতুটি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ নির্মাণের পর বছর পার হতে না হতেই সংযোগ সড়কে ফাটলসহ নানা ত্রুটি দেখা দিয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দায় এখন কে বহন করবে?
সেতু নির্মাণ অনিয়ম ও দুর্নীতির একটা বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। অপরিকল্পিত ও মানহীন সেতু নির্মাণ করায় জনগণের করের টাকা গচ্চা যাচ্ছে। এ অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। আমরা মানহীন সেতু নির্মাণ আর সংস্কারের খেলার অবসান চাই। সেতুটি নির্মাণে ঠিকাদার বা এলজিইডির কর্মকর্তাদের কোন গাফিলতি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হবে। তবে পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার কাজে যেন নতুন করে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
মঙ্গলবার, ০৯ নভেম্বর ২০২১
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদের উপর ৮৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। গত বছরের ২২ নভেম্বর সেতুটি উদ্বোধন করা হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের ১১ মাসের মাথায় সেটি আবার সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কারণ সেতুটির পূর্বপাশে সংযোগ সড়কের প্রতিরক্ষা দেয়াল ধসে পড়ছে। সংযোগ সড়ক ও প্রতিরক্ষা দেয়ালের মধ্যে দেখা দিয়েছে লম্বা ফাটল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সেতু নির্মাণ করা হয় জনগণের কল্যাণে। কিন্তু এই সেতুটি সেই উদ্দেশ্য সাধনে সক্ষম কিনা-সেটা একটা প্রশ্ন। সেতুর সংযোগ সড়কের ডান দিকে প্রতিরক্ষা দেয়াল উঁচুনিচু হয়ে আছে। কয়েকটি স্থানে প্রতিরক্ষা দেয়ালের ব্লক দেবেও গেছে। এখানেই শেষ নয়, প্রতিরক্ষা দেয়ালের নিচের দিকে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ২৫টি বাড়ি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এখানে নির্মাণ কাজের পরিকল্পনাহীনতার ছাপ সুস্পষ্ট।
এলজিইডির অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বালির পরিমাণ বেশি। তাই ভারি বৃষ্টিতে সংযোগ সড়কের প্রতিরক্ষা দেয়ালের ব্লক ধসে পড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেতুটি নির্মাণের আগে যথাযথ সমীক্ষা করা হয়েছিল কিনা। সেতু নির্মাণের আগেই মাটি পরীক্ষা করা এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা। ভৈরব নদের উপর সেতুটি যথাযথ নিয়ম মেনে নির্মাণ করলে বছর ঘুরতে না ঘুরতে সেটা সংস্কার করার প্রয়োজন পড়বে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। অতীতে সমীক্ষা ছাড়া সেতু নির্মাণ করার নজির দেশে অনেক রয়েছে।
সঙ্গত কারণে ভৈরব নদের উপর নির্মাণ করা সেতুটি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কারণ নির্মাণের পর বছর পার হতে না হতেই সংযোগ সড়কে ফাটলসহ নানা ত্রুটি দেখা দিয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দায় এখন কে বহন করবে?
সেতু নির্মাণ অনিয়ম ও দুর্নীতির একটা বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। অপরিকল্পিত ও মানহীন সেতু নির্মাণ করায় জনগণের করের টাকা গচ্চা যাচ্ছে। এ অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। আমরা মানহীন সেতু নির্মাণ আর সংস্কারের খেলার অবসান চাই। সেতুটি নির্মাণে ঠিকাদার বা এলজিইডির কর্মকর্তাদের কোন গাফিলতি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতুটি পুনর্নির্মাণ করা হবে। তবে পুনর্নির্মাণ বা সংস্কার কাজে যেন নতুন করে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।