জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ-উদ্দীপনা কোন অংশে কম থাকে না। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তা বেশিই থাকে। স্থানীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। তবে এই নির্বাচন নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষও কম ঘটে না। তাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে প্রায়ই।
অতীতে সব সরকার আমলেই কমবেশি সংঘাত-সংঘর্ষ ঘটেছে। এবারের ইউপি নির্বাচনেও তার পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রথম দফার ইউপি নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয় ধাপের প্রায় সাড়ে আটশ’ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আজ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়েছে।
নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘাত-সংঘর্ষের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর একশ্রেণীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দায়ী করা হয়। সাম্প্রতিক কালের ইউপি নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল ছাড়া বাকি দলগুলোর আগ্রহ ও অংশগ্রহণ দুটোই কমেছে। যদিও বড় সব দল থেকেই অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে তারা নির্বাচনী মাঠে সুবিধা করতে পারেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা কোণঠাসা হয়ে থাকেন। নির্বাচনের মাঠে তাদের উপস্থিতি সরব নয়।
কোন কোন স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীও নেই। দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮১ জন চেয়ারম্যান পদে, ৭৬ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে এবং ২০৩ জন সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে। তাহলে সংঘাত-সংঘর্ষটা হচ্ছে কীভাবে, কারা করছে এগুলো- এটা একটা প্রশ্ন।
নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের অন্তর্কলহ আর স্বার্থের সংঘাতকে দায়ী করা হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। প্রসঙ্গক্রমে কক্সবাজারের কথা বলা যায়। নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা রোধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই অবাস্থয় দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা নিয়ে ইসির মধ্যেও ‘উদ্বেগ’ রয়েছে। তারা যথারীতি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার অঙ্গীকার করেছে। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বর্তমান ইসির মেয়াদ আর বেশি দিন নেই। আমরা আশা করব, বিদায় বেলায় অন্তত তারা অঙ্গীকার অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ-উদ্দীপনা কোন অংশে কম থাকে না। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তা বেশিই থাকে। স্থানীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। তবে এই নির্বাচন নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষও কম ঘটে না। তাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে প্রায়ই।
অতীতে সব সরকার আমলেই কমবেশি সংঘাত-সংঘর্ষ ঘটেছে। এবারের ইউপি নির্বাচনেও তার পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রথম দফার ইউপি নির্বাচনে সংঘাত-সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয় ধাপের প্রায় সাড়ে আটশ’ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আজ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত সংঘর্ষ আরও তীব্র হয়েছে।
নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘাত-সংঘর্ষের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর একশ্রেণীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দায়ী করা হয়। সাম্প্রতিক কালের ইউপি নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল ছাড়া বাকি দলগুলোর আগ্রহ ও অংশগ্রহণ দুটোই কমেছে। যদিও বড় সব দল থেকেই অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। তবে তারা নির্বাচনী মাঠে সুবিধা করতে পারেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা কোণঠাসা হয়ে থাকেন। নির্বাচনের মাঠে তাদের উপস্থিতি সরব নয়।
কোন কোন স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীও নেই। দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮১ জন চেয়ারম্যান পদে, ৭৬ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে এবং ২০৩ জন সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে। তাহলে সংঘাত-সংঘর্ষটা হচ্ছে কীভাবে, কারা করছে এগুলো- এটা একটা প্রশ্ন।
নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের অন্তর্কলহ আর স্বার্থের সংঘাতকে দায়ী করা হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। প্রসঙ্গক্রমে কক্সবাজারের কথা বলা যায়। নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা রোধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই অবাস্থয় দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা নিয়ে ইসির মধ্যেও ‘উদ্বেগ’ রয়েছে। তারা যথারীতি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার অঙ্গীকার করেছে। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বর্তমান ইসির মেয়াদ আর বেশি দিন নেই। আমরা আশা করব, বিদায় বেলায় অন্তত তারা অঙ্গীকার অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করবে।